@
[প্রথমপাতা] @ |
@
@
শ্রেষ্ঠ নবীন গবেষক আওয়ার্ড পেলেন জাপান প্রবাসী গবেষক নজরুল ইসলাম
@
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। মে ২৩, ২০১৩ ।।
ড.মো.নজরুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়,সাভার,ঢাকা,বাংলাদেশ; তিনি তার উচ্চতর গবেষনার সাফল্যস্বরুপ
gযুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ইকোলোজিক্যাল মডেলিং সোসাইটিh কর্তৃক
gশ্রেষ্ঠ নবীন গবেষক আওয়ার্ড, ২০১১-২০১২ লাভ করেছেন। এবছরের ২৮-৩১ অক্টোবর
মাসে ফ্রান্সে আন্তর্জাতিক ইকোলোজিক্যাল মডেলিং সোসাইটির ১৯তম কন্ফারেন্সের
উদ্বোধনী অনুষ্টানে আনুষ্টানিকভাবে তাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। সমগ্র
বিশ্বের যে সমস্ত গবেষক ইকোলোজিক্যাল মডেলিং বিষয়ে গবেষনা করেন এবং তাদের
গবেষনালব্দ জ্ঞান আন্তর্জাতিকমানের গবেষনা জার্নালে প্রকাশিত হয় তার
ভিত্তিতে একটি উচ্চতর মূল্যায়ন কমিটি দুই বছরের গবেষনাকর্মের বৈজ্ঞানিক
অবদান ও উচ্চমান সম্পুর্ন গবেষনা প্রবন্ধের গুনগত ও প্রয়োগিক দিক বিবেচনা
করে এ আওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন প্রদান করেন।সমগ্রবিশ্ব থেকে এবারে অসংখ্য
গবেষকের মধ্য থেকে বিগত ২০১১ও ২০১২ সালে উচ্চতর গবেষনা ও আন্তর্জাতিকমানের
গবেষনা জার্নালে প্রকাশিত গবেষনা প্রবন্ধের ভিত্তিতে ড.মো.নজরুল ইসলাম কে
২০১১-২০১২ সালের জন্য gশ্রেষ্ঠ নবীন গবেষক আওয়ার্ডh ও প্রথম পুরস্কারে
ভূষিত করেছেন।এ পুরস্কারের ক্ষেত্রে তার নিন্মোক্ত গবেষনা প্রবন্ধটি
শ্রেষ্ঠ গবেষনা প্রবন্ধ হিসাবে মনোনিত হয়েছেঃ gNumerical modeling on
transition of dominant algae in Lake Kitaura, Japanh. ড.মো.নজরুল ইসলাম,
জাপান সরকারের মনোবসু বৃত্তির অধীনে ইউনিভার্সিটি অব টোকিও থেকে ২০১২ সালে
সফলতার সাথে gজলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ে ইকোলোজিক্যাল মডেলিং এর উপর পিএইচডি
ডিগ্রী অর্জন করেন।বর্তমানে তিনি জাপান সোসাইটি ফর দি প্রমোশন অব সায়েন্স
পোষ্ট ডক্টোরাল ফেলো হিসাবে সমুদ্রের পরিবেশ ও বাস্তব্যবিদ্যার উপর উচচতর
গবেষণারত রয়েছেন।
বৈষ্ণিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের জলাভূমি, উপকুলীয় অঞ্চল ও সমুদ্রের
পরিবেশ সাংঘাতিক হুমকির সন্মূখীন।তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বৃষ্টিপাতের ব্যাপক
তারতম্যের কারনে এবং নানাবিধ দূষনের সংমিশ্রনে জলাশয়, লেক ও সমুদ্রের পানি
বাপকহারে দুষিত হচ্ছে। পাশাপাশি ক্ষতিকর শ্যাওলা জাতীয় এলগি বিস্তার লাভ
করছে। এসব এলগির সব প্রজাতি ক্ষতিকর না হলেও ড.মো.নজরুল ইসলাম তার গবেষনার
পেয়েছেন ষে, এশীয়-প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের স্বাধুপানি ও সমুদ্রের পানিতে
সাধারনতঃ মাইক্রোসিস্টিস এরোগিনোসা, মাইক্রোসিস্টিস ভিরিডিস,
মাইক্রোসিস্টিস আইসোথোব্যালোভি এবং মাইক্রোসিস্টিস ওয়াসেনবার্জি নামক
ক্ষতিকর শ্যাওলা বা এলগি বা সায়ানোব্যাকটেরিয়া উপযুক্ত পরিবেশে নিজেদের
কোষে মাইকোসিস্টিন নামক টক্সিন সঞ্চয় করে। ষা পরবর্তীতে পানিতে,অন্যান্য
ফাটোপ্লাংকটন, জুপ্লাংটন, মৎস্যসম্পদ ও সামুদ্রিক খাবারে সংক্রমিত হচ্ছে।
যা অদুর ভবিষ্যতে বিশুদ্ধ পানির সংকটসহ সামুদ্রিক খাদ্য মানবদেহের জন্য
হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে।
ডঃ নজরুল বর্তমানে প্রশান্ত মহাসগরের সামুদ্রিক পরিবেশ ও বাস্তব্যবিদ্যার
উপর উচচতর পোষ্ট ডক্টোরাল গবেষণারত রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বংলাদেশের মত
জনবহুল ও দারিদ্রপূর্ন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কিভাবে সামুদ্রিক সম্পদকে
খাদ্যভান্ডার হিসাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন। তার
বিশ্বাস অদুর ভবিষ্যতে তিনি বঙ্গপোসাগরের উপকুলীয় এলাকাকে এদেশের মানুযের
খাদ্যের বিকল্প ভান্ডার হিসাবে তৈরি করতে সরকারি পৃষ্টপোষকতাকে উৎসাহিত
করতে সক্ষম হবেন। আর এজন্য তিনি জাপান,স্কটল্যান্ডস,দক্ষিন কোরিয়া ও
যু্ক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা ও সার্বিক সহযোগীতা কাজে লাগাবেন যদি বাংলাদেশের
সরকারী ও বেসরকারি পর্যায়ের অনুমোদন ও সার্বিক সহযোগিতা পান। এছাড়া তিনি
পড়াশোনা ও পরিবেশ বিষয়ক সেমিনারে গবেষণাধর্মী প্রবন্দ্ধ পাঠের জন্য
জাপান,যু্ক্তরাষ্ট্র,যু্ক্তরাজ্য,নেদারল্যান্ডস,অস্ট্রেলিয়া,চীন,জার্মানী,ফ্রান্স,
বেলজিয়াম, দক্ষিন কোরিয়া, সিংগাপুর, মালেশিয়া ও থাইল্যান্ড গমন করেন।
@
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
|