প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

জাপানে আজ উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা

 

 

মরোক্কো'র রাজধানী রাবাত'র উপকন্ঠে দরিদ্র মানুষের কাছে ঈদ-উল-আযহা বিশেষ অর্থ বহন করে। কর্মহীন ছেলে-মেয়ে ও টিনএজার'রা ভেড়ার মাথা ও পা ভেজে বিক্রি করে পয়সা উপার্যনের চেষ্টা করে। তারা ঈদের দিন দেশের বাড়িতে বাড়িতে ছুটে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে, বদলে পায় এসব বস্তু। কারিমা হ্রানেম/ মরোক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ।

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫ ।।

ঈদ মুবারক। জাপানে আজ উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। সিলভার উইক'র টানা ৫ দিন সরকারি বন্ধের পর জাপানে ঠিক আজ ঈদের দিনেই কর্ম দিবস শুরু হচ্ছে! কেউ কেউ অবশ্য কর্মস্থল থেকে বৃহস্পতি ও শুক্রবার আগেই ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটিকে দীর্ঘায়িত করেছেন। তবে বেশির ভাগ প্রবাসীদের জন্যেই আজকের দিনটি হবে অন্য সাধারণ দিন গুলোর মতো।

সপ্তাহের শেষে আসলে শুরু হচ্ছে জাপান প্রবাসীদের ঈদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান। জাপান জুড়ে প্রবাসীদের ঈদের অনুষ্ঠান গুলো একেবারে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত থাকছে।

আল্লাহর জন্য নিজের জান-মাল ও প্রিয়তম জিনিস সন্তুষ্টচিত্তে বিলিয়ে দেয়ার এক সুমহান শিক্ষা নিয়ে প্রতি বছর ঈদ-উল-আযহা আমাদের মাঝে ফিরে আসে। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী কুরবানী করা ওয়াজিব। আল কুরআনের সূরা কাউসারে বলা হয়েছে, “অতএব তোমার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড় এবং কুরবানী কর।’’ সূরা হজ্জে বলা হয়েছে, “কুরবানী করার পশু মানুষের জন্য কল্যাণের নির্দেশনা।’’

কুরবানির ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন। সৃষ্টির প্রথম মানব হযরত আদম (আ.)-এর দু’পুত্র হাবিল ও কাবিল সর্বপ্রথম কুরবানী করেন। এ প্রসঙ্গে সূরা মায়েদায় ২৭ নম্বর আয়াতে উল্লেখ রয়েছে, “আপনি তাদের আদমের দু’পুত্রের বাস্তব অবস্থা পড়ে শোনান। যখন তারা উভয়েই কিছু কুরবানী করেছিল তখন তাদের একজনের কুরবানী কবুল হয়েছিল এবং অপরজনেরটি হয়নি।’’

কুরবানী হযরত ইব্রাহীম (আ.)-এর সুন্নাহ। আল্লাহ ইব্রাহীম (আ.)কে তাঁর শেষ বয়সে প্রিয়তম পুত্র ইসমাইল (আ.)কে কুরবানী করার নির্দেশ দেন। হযরত ইব্রাহীম (আ.) ৮৫ বছর বয়সে হযরত ইসমাইল (আ.)কে পান। এ অবস্থায় ছেলেকে কুরবানী দেয়া এক কঠিন পরীক্ষা। কিন্তু তিনি তাঁর মহান রবের হুকুমে নত হলেন। নিষ্পাপ পুত্র ইসমাইল (আ.)ও নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। একপর্যায়ে পিতা তাঁর পুত্রকে জবাই করতে যখন উদ্যত ঠিক তখনই মহান আল্লাহর কাছে ঈমানের কঠিন পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হলেন। চোখ বাঁধা অবস্থায় তিনি জবাই করেন। চোখ খুলে দেখেন তাঁর প্রিয় পুত্র অক্ষত রয়েছে আর কুরবানী হয়েছে একটি চতুষ্পদী দুম্বা।

আল কুরআনে এই মহিমান্বিত ত্যাগের ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়েছে, ‘অতঃপর সে (ইসমাইল) যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হলো তখন ইব্রাহীম (আ.) তাকে বললেন, হে বৎস! আমি স্বপ্ন দেখেছি তোমাকে জবাই করছি। এখন তোমার অভিমত কি? সে বললো, হে পিতা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তাই করুন। আল্লাহ চাইলে আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন। যখন পিতা-পুত্র উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করলো এবং ইব্রাহীম (আ.) তাকে জবাই করার জন্য শায়িত করলেন তখন আমি তাকে ডেকে বললাম, হে ইব্রাহীম তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে। আমি এভাবেই সৎকর্মীদের প্রতিদান দিয়ে থাকি। নিশ্চয়ই এটা সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তার পরিবর্তে জবাই করার জন্য দিলাম এক মহান জন্তু।” হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর অনুপম ত্যাগের অনুসরণে হাজার হাজার বছর ধরে বিশ্ব মুসলমানরা কুরবানী করে আসছে। তাঁরই নিদর্শন স্বরূপ প্রতি বছর হজ্জ পালনকারীরা কুরবানী দিয়ে থাকেন। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, কুরবানির পূর্বশর্ত আল্লাহ ভীতি ও একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আকাংখা। হাদীস শরীফে আছে, ‘মানুষের আমলের প্রতিফল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। সূরা হজ্জে বলা হয়েছে, “এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু তোমাদের তাকওয়া পৌঁছে যায়।’’ প্রত্যেক আর্থিক সামর্থ্যবান মুসলমানের ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব। রাসূল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকার পরও কুরবানী দিলো না, সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে।” (মুসনাদে আহমদ)

জিলহজ্জ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের যে কোন একদিন কুরবানী করা যায়। গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ শ্রেণীর প্রাণী দ্বারা কুরবানী করা যায়। কুরবানিকৃত পশুর ৩ ভাগের ১ ভাগ গরিব-মিসকিন, একভাগ আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বিলিয়ে দিতে হয়। আবার পুরোটাই বিলিয়ে দেয়া যায়।

এদিকে ৯ জিলহজ্জ ফযর নামাযের পর থেকে ১৩ জিলহজ্জ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরয নামাযের পর তাকবীরে তালবিয়া পাঠ করা ওয়াজিব। তালবিয়াহ হলো, ‘‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।’’
 


WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]