ওকিনাওয়ার যুদ্ধঃ নারী ও শিশুদের যুদ্ধে যেতে বাধ্য করা হয়েছিলো
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। জুন ২৭, ২০১৫
।।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ লগ্নে ওকিনাওয়া যুদ্ধে জাপানি সেনাবাহিনী অনেক
নারী ও শিশুকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে বাধ্য করা হয়েছিলো। এদের
মধ্যে টিনএজ শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপও ছিলো এবং তাদের প্রশিক্ষক তাদেরকে
সম্মুখ যুদ্ধে ঠেলে দেন। যুদ্ধে বেঁচে যাওয়া সদস্যরা তাদের সেই দুঃসময়ের
স্মৃতি গুলো নতুন প্রজন্মের কাছে বর্ণনা করে শান্তির প্রয়োজনীয়তা তুলে
ধরছেন।
হিমেইউরি শান্তি যাদুঘর একটি স্মৃতি যাদুঘর যেখানে এক তরুণী নার্সের কাহিনী
বর্ণনা করা হয়েছে। যাদুঘরের পরিচালক ইয়োশিকো শিমাবুকুরো ২৪০ জনের হিমেইউরি
স্টুডেন্ট কোর্পস'র সদস্য ছিলেন। গ্রুপের অর্ধেকই ওকিনাওয়া'র যুদ্ধে প্রাণ
হারান।
অনেক তরুণীকে সামরিক হাসপাতালে সেবিকার কাজে পাঠানো হয়। এসব সামরিক
হাসপাতাল গুলো ছিলো গুহার ভেতর। তাদেরকে আহতদের সেবাযত্নের কাজে পাঠানো হয়
কিন্তু তারা নিজেদেরকে শেষ পর্যন্ত প্রচন্ড যুদ্ধের মাঝে আবিস্কার করেন।
শিমাবুকুরো তার অনেক সাথীর মৃত্যু প্রত্যক্ষ করেছেন। অনেক সাথীরা জাপানি
সেনাবাহিনীর সরবরাহকৃত গ্রেনেড নিয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁছে নেন। "আমাদের
বন্ধুদেরকে ছেড়ে যেতে হয়েছিলো যা আমি কখনোই ভুলতে পারিনা, আমরা যুদ্ধের
লেলিহান শিখা থেকে তাদেরকে কোনো সাহায্য করতে পারিনি" তিনি বলেন "যুদ্ধ শেষ
হওয়ার ৪০ বছর পরও আমরা বলতে পারিনি যে আমরা হিমেইউরি স্টুডেন্ট কোর্পস এর
সদস্য ছিলাম"।
যুদ্ধে বেঁচে যাওয়াদের অনেকেই এখন ৮০ কোঠা পেরিয়ে ৯০ ছুঁই ছুই। যখন তাদের
কেউই বেঁচে থাকবেন না সে দিনের জন্যে তারা প্রস্তুত হচ্ছেন। তারা যাদুঘরের
প্রদর্শনীকে পুন: সংস্কার করেছেন। তবে তারা মনে করেন করার আরো অনেক কিছু
আছে।
এই গ্রুপের বেঁচে থাকা সদস্যরা ২০০৩ সালে আশউইটজ বন্দী-শিবির পরিদর্শন
করেন। নৎসীরা সেখানে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেন বলে ধারণা হয়। এসব
নিহদের বেশির ভাগই ইহুদি। হিমেইউরি গ্রুপে তরুণ গাইড ছিলেন যাদের যুদ্ধের
কোনো সরাসরি অভিজ্ঞতা ছিলো না। যাদুঘর কর্মকর্তারা তরুণ প্রজন্মের কাছে
তাদের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। এনএইচকে।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |