|
বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জাপান শাখার উদ্যোগে জাপানে শোক দিবস উদযাপিত
অগাষ্ট ২১, ২০১৪ ।।
গত ১৭ আগস্ট জাপানে ভাবগম্ভীর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হল জাতীয় শোক দিবস।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ জাপান শাখা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি শেখ এমদাদ হোসেইন। প্রধান অতিথি ছিলেন
জাপানস্থ বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন
জাপানের সংসদ সদস্য , তানুমা তাকাশি।
কোরান তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করার
পর জাতীয়সঙ্গীত বাজানো হয়। এরপর আগত অতিথিবৃন্দ, প্রবাসী এবং জাপানিরা
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
দ্বিতীয় পর্বে ছিল আলোচনা অনুষ্ঠান। আলোচনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য টিএইচ তসলিম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রাক্তন সদস্য কবি
মোতালেব শাহ আউইব, জাপান জাতীয় পার্টির সভাপতি নবীউল্লাহ আসিফ, শহীদুল
ইসলাম, মোঃ নাহিদ, শহিদুর রহমান হিরু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
এবং আওয়ামী লীগ জাপান শাখার প্রাক্তন সভাপতি কাজী মাহফুজুল হক লাল প্রমুখ।
বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্মকান্ড এবং সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কথা
বলেন। বাংলার মানুষ তাঁর অপরিসীম অবদানের কথা কোনোদিন ভুলতে পারে না বলেও
বক্তারা উল্লেখ করেন।
উপস্থিত অতিথি মিসেস মাসুদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুদীর্ঘ লড়াইয়ে
বঙ্গবন্ধুর কী ভূমিকা ছিল, তিনি কীভাবে একটি পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতা এনে
দিলেন। এটা একদিনে সম্ভব হয়নি, তার জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে,
অনেক রক্ত দিতে হয়েছে।
প্রধান অতিথি মাননীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, জাপান বঙ্গবন্ধুকে যে সম্মান প্রদান
করেছিল ১৯৭৩ সালে তা অবিস্মরণীয়। তাঁর সুযোগ্য কন্যা বর্তমানে বাংলাদেশের
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি জাপান সফর করেছেন। দুই
দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক বিরাজ করছে যার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন
বঙ্গবন্ধুই। এবার প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরকালে নাগাসাকি শান্তি উদ্যানে একটি
শান্তিস্তম্ভ স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছেন সে অনুযায়ী শিগগীরই সেটা স্থাপিত
হবে।
তিনি এ দিনের শোকসভায় উপস্থিত থাকার জন্য জাপানের ডায়েট সদস্য তানুমা তাকাশি
এমপিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ধন্যবাদ জানান বঙ্গবন্ধু পরিষদ জাপান শাখার
সদস্যদেরও অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য।
বিশেষ অতিথি তানুমা তাকাশি এমপি তার বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। তিনি বলেন, আজ থেকে দেড়শ বছর আগে
মেইজি যুগে নতুন জাপান প্রতিষ্ঠাকালে একাধিক ব্যক্তি জীবন উৎসর্গ করেছেন।
বহু জাপানি প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন জাপানকে বহির্বিশ্ব থেকে রক্ষা করার জন্য।
সেদিক থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও
অবদান কতখানি গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ আমরা অনুধাবন করতে পারি। বাংলাদেশ ও
জাপানের এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যাতে আরও শক্তিশালী করা যায় তার জন্য জাপান
কাজ করে যাবে।
সভাপতির ভাষণে শেখ এমদাদ হোসেইন বলেন, আমরা জাপানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের
সৈনিকরা একাত্মভাবে থাকতে চাই, দেশের জন্য কাজ করতে চাই। কিন্তু জাপানে কিছু
সংখ্যক আমাদের মধ্যে বিভাগ-বিভাজনের সৃষ্টি করছেন। যাদেরকে মূল্যায়ন করার
তাদেরকে অবজ্ঞা করছেন যা কাম্য নয়। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন সোনার বাংলা
গড়ার লক্ষ্যে আসুন সবাই মিলে কাজ করি এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে
শক্তিশালী করি। অহেতুক রাগ-বিরাগ, দ্বন্ধ-সংঘাতের মাধ্যমে আমরা পিছিয়ে যেতে
চাই না।
সভাপতি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানেন। অনুষ্ঠান
শেষে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
|