জাপান প্রবাসীর দাফন সম্পন্নঃ মৃত্যুর রহস্য কাটেনি
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। আগস্ট ২১, ২০১৬।।
জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক
কর্মকর্তা আবু মোহাম্মাদ রওশন আলমের (৮৭) দাফন গত শুক্রবার সম্পন্ন হয়েছে।
তাকে ইবারাকি মুসলিম কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
জনাব আলম গত রোববার
তার ইয়ামাগাতা প্রিফেকচারের ৎসুরুওকা"র বাসভবন থেকে সকাল ১১টার কিছু আগে
হাঁটতে বের হয়ে নিখোঁজ হন। মঙ্গলবার সকালে তার মৃতদেহ দুই কিলোমিটার দূরে
একটি বাড়ির আঙিনা থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন
সাধারণতঃ তিনি এক-ঘন্টার মধ্যেই ঘরে ফিরে আসেন। ঐ দিন দু'ঘন্টা অতিক্রম করে
যাওয়ার পরও না ফেরায় তারা পুলিশকে অবহিত করেন।
পুলিশ কুকুর নিয়েও
অনুসন্ধান চালায় কিন্তু কুকুর নিকটস্থ একটি পার্ক পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করে।
স্বাভাবিক সময়ে তিনি ঐ পার্কেই আসতেন।
বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় "মৃত্যুর সঠিক কারণ সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি"। ময়না
তদন্তের এই রিপোর্ট অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে।
পুলিশ স্বীকার
করেছে, ঘটনাস্থলে অর্থাৎ যেখানে লাশ পাওয়া যায় সেখানে তার পক্ষে লাঠি'তে ভর
হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়। মাটিতে কোনো পায়ের ছাপও নেই। আশেপাশের কোনো সিসিটিভি
ক্যামেরার ফুটেজে তাকে দেখা যায়নি। তাহলে তিনি সেখানে কী করে গেলেন তার
জবাব পাওয়া যায়নি।
ময়না তদন্তে মৃত্যুর সময় রোববার বিকেল ৪টা বলে
উল্লেখ করা হয়েছে, প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এতোক্ষণ তিনি কোথায় ছিলেন। হাঁটতে
গিয়ে তিনি পথ হারালে বা বিবেচনা শক্তি হারিয়ে রাস্তা দিয়ে চললে পথচারীরাই
পুলিশকে খবর দেয়ার কথা -বলে পুলিশ উল্লেখ করে। সুতরাং তার নিখোঁজের অন্ততঃ
চারঘন্টা সময় তিনি কোথায় ছিলেন তা প্রশ্নবিদ্ধ রয়েই গেছে।
তার জামার
ভেতর পরা গেঞ্জির বুকের অংশ রক্তমাখা ছিলো, বাম হাঁটুর কাছে ৪x৫
সেন্টিমিটার স্থানে কোন চামড়া ছিলোনা, হাতে কাটা দাগ ছিলো। স্বাভাবিক
মৃত্যুর ক্ষেত্রে এ গুলো কী করে হতে পারে পুলিশ সে সব প্রশ্নের কোনো সঠিক
ব্যাখ্যা দেয়নি।
যে বাড়ির আঙিনায় লাশ পাওয়া যায় তারা দু'দিন ধরেও
জানতেন না যে সেখানে একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। যা একটি জাপানি পরিবারের জন্যে
খুব একটা বাস্তবসম্মত নয়।
জনাব আলমের এই রহস্যজনক মৃত্যু প্রবাসীদের
মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা কিনা তা নিয়ে
অনেকেই প্রশ্ন করেছেন।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly
prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |