[প্রথমপাতা]

 

 

 

জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

 

New Page 2

 

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। মার্চ ৬, ২০১৩ ।।

গেল ২১শে ফেব্রুয়ারি '১৩, টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" উপলক্ষ্যে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একুশের ভোর বেলায় টোকিও শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পনের পর, সকাল ৯:৩৫ মিনিটে দূতাবাস প্রাঙ্গনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন শেষে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি পরম শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে, উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।

দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই দূতাবাসের সভা-কক্ষে ভাষা শহীদদের পবিত্র আত্মার পরম শান্তি কামনা করে বিশেষ ভাবে সম্মিলিত মোনাজাত করা হয়। অতঃপর বাংলাদেশ দূতাবাস- জাপানের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর মাসুদুর রহমানের পরিচালনায় শহীদ দিবসের তাৎপর্যের উপর ভিত্তি করে, শুরু হয়- নাতিদীর্ঘ আলোচনা সভা। আলোচনা সভার প্রারম্ভে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বাণী যথাক্রমে পাঠ করে শোনান- কমার্শিয়াল কাউন্সিলর রাশেদুল ইসলাম, পলিটিক্যাল কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান ও প্রথম সচিব (শ্রম) বেবী রাণী কর্মকার। এরপর বক্তব্য রাখেন- দূতাবাসের ইকনমিক মিনিস্টার ড. জীবন রঞ্জন মজুমদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াউল হক, সাংবাদিক কাজী ইনসানুল হক, আওয়ামী লীগ জাপান শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী মাহফুজুল হক লাল, তরুণ ব্যবসায়ী খোকন নন্দী, বিএনপি নেতা ফজলে মাহমুদ মুক্তা ও সাংবাদিক টি এম নাহিদ।

সবশেষে সমাপনি বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন- "ইতালিতে দু'টো শহীদ মিনার আছে এবং আমি নিজেও উল্লেখিত শহীদ মিনার নির্মাণের সাথে নানা ভাবে জড়িত ছিলাম। তাই জাপানে বিভিন্ন শহরেও "মাতৃভাষার প্রতীক" শহীদ মিনার আরো তৈরি করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে আমাদেরকে চেষ্টা করে দেখতে হবে।" আর এমন সুন্দর উদ্যোগ নেয়া হলে, প্রয়োজনে দূতাবাসও সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে, তিনি বিশেষ ভাবে আশ্বাস দেন। পাশাপাশি বিদেশে নিজেদের সন্তানদের "বাংলা শেখার" উপরেও তিনি খুব গুরুত্ব আরোপ করেন। রাষ্ট্রদূত সেই সাথে আরো বলেন- "আমি প্রতি রোববারে সানন্দে ও বিনা পারিশ্রমিকে আমার সহধর্মিণীর সহায়তায় দূতাবাসে শিশু-কিশোরদের বাংলা শেখাতে ভীষন আগ্রহী। আশা করি এ বিষয়ে আপনারা আমাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন।" বক্তব্যের শেষাংশে ব্যস্ততম কর্ম দিবসেও সেদিনের জাতীয় অনুষ্ঠানে আসার জন্যে, তিনি উপস্থিত প্রবাসীদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

সবশেষে দূতাবাসে সকালের চা-বিস্কুটের আয়োজন করা হয়।
 

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]