ড. ইউনুসের বরখাস্তের তালিকায় হাজার হাজার সেনা কর্মকর্তাঃ ওয়াশিংটন পোস্ট
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
একটি দ্রুত বিকাশমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনাকে এ বছরের ৫ আগষ্ট দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিলো। এর মাত্র
কয়েকদিন পর ১০ আগষ্ট দেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে পদত্যাগ করতে
বাধ্য করা হয়। উভয় ঘটনা দেশের মানুষকে হতবাক করেছে, ইতিমধ্যেই
উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ড.মুহাম্মাদ ইউনুসের
নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার যে কোনো মূল্যে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকেও
পদত্যাগে বাধ্য করতে জঙ্গী কার্যকলাপের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করা ছাত্র
গোষ্ঠির মাধ্যমে বিক্ষোভ সংগঠিত করার পরিকল্পনা করেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ না করায় অন্তর্বর্তী সরকার
অস্বস্তিতে রয়েছে। শারীরিকভাবে দেশ থেকে অনুপস্থিত থাকা সত্বেও শেখ হাসিনা
সংবিধানের অধীনে বৈধ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন, যা অন্তর্বরর্তী
নেতৃত্বকে একটি অনিশ্চিত অবস্থানে ফেলেছে।
তদুপরি, দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি, সাহাবুদ্দিন যিনি শেখ হাসিনার সরকারের
সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন, তিনি তার পদেই বহাল রয়েছেন। বর্তমান রাজনৈতিক
পরিস্থিতিতে জটিলতার আরেকটি স্তর যুক্ত হয়েছে। সংবিধানের অধীনে তার
রাষ্ট্রপতি থাকার বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ নয়, যা রাষ্ট্রযন্ত্রের উপর পূর্ণ
নিয়ন্ত্রণ জাহির করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে যে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার সহ ৩,৮৭২
জন সামরিক কর্মকর্তা সহ ৬৭ জন সিনিয়ার সেনা কর্মকর্তাকে তাদের পদ থেকে
বরখাস্ত করার জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ তালিকা চুড়ান্ত করেছে। এই পদক্ষেপ
দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে একটি বড় ধরণের পুনর্গঠন প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে
যা হবে একটি সংবেদনশীল রাজনৈতিক পরিবর্তন।
বরখাস্তের তালিকাটি উচ্চ-পর্যায়ের সূত্র থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, ধারণা করা
হচ্ছে সামরিক বাহিনীর বিস্তৃত পরিসরকে প্রভাবিত করবে যা সশস্ত্র বাহিনীর
স্থিতিশীলতা এবং অপারেশনাল প্রস্তুতির উপর সম্ভাব্য প্রভাব সৃষ্টি করবে বলে
উদ্বেগ রয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে যৌক্তিকতা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা হয়নি, তবে
বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন যে এটি সামরিক বাহিনীর উপর বেসামরিক কর্তৃত্ব
একচ্ছত্র করার এবং অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে কোনো হস্তক্ষেপ রোধ করার একটি
প্রচেষ্টা হতে পারে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা উদ্বেগ
প্রকাশ করেছেন যে বড় আকারের বরখাস্তের ফলে সামরিক বাহিনীতে অস্থিরতা বা
অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে। উপরন্ত, বিরোধী দল এবং সুশীল সমাজের গোষ্ঠিগুলি
সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে তাদের আশংকা প্রকাশ করেছেন, তারা আশঙ্কা করছেন যে
ইতিমধ্যেই উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও অস্থিতিশীলতার দিকে উস্কে
দিতে পারে।
-জ্যাকি আলেমানি। 'ওয়াশিংটন পোস্ট' অবলম্বনে।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা]
|