|
২১তম টোকিও বৈশাখী মেলা ও কারি ফেস্টিভ্যাল ২০২২ উদযাপিত
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। মে ১০, ২০২২ ।।
টোকিও বৈশাখী মেলা জাপান প্রবাসিদের মিলন মেলা। সকলেই অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা
করতে থাকেন দিনটির জন্য।
বৈশাখী মেলাকে ঘিরে জাপান প্রবাসীদের মধ্যে বছরব্যাপী এক ভালো লাগার অনুভূতি
কাজ করতে থাকে। এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যিনি বৈশাখী মেলা বিরোধী। মেলা কমিটি
নিয়ে হয়তো অনেকেরই আপত্তি আছে কিন্তু, মেলার আয়োজন নিয়ে নয়।
টোকিও বৈশাখী মেলা জাপানের মাটিতে খোলা ময়দানে জাপানীদের সমন্নয়ে জাপানে
বসবাসরত প্রবাসীদের দ্বারা আয়োজিত সর্ববৃহৎ আয়োজন একথা এখন আর শুধু দাবীই নয়,
সর্বজনবিদিত সত্য।
তাই, প্রতিটি টোকিও এবং আশেপাশের জাপান প্রবাসী মাত্রই টোকিও বৈশাখী মেলা আয়োজন
উদযাপন করা করার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকেন ।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার পরিপ্রেক্ষিতে পর পর ২ বছর বৈশাখী মেলা সম্ভব হয়ে উঠেনি
। তারপর এবছর বাংলা নববর্ষ পবিত্র রমজান মাসে হওয়ায় যৌক্তিক কারণেই যথা সময়ে
আয়োজন সম্ভব ছিলনা। তাই, ২৪ দিন পর আজ ৮ মে উদযাপন করা হয় ।
ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কটি ২০২০ গ্রীষ্মকালীন টোকিও অলিম্পিক ও প্যারা
অলিম্পিক কে ঘিরে নতুন করে অবকাঠামো উন্নয়নের কারনে ২০১৯ সালে সান শাইন সিটি
সংলগ্ন পার্কে মেলা আয়োজন করতে হয়েছিল। তাই ৩ বছর পর এবং সকলের পরিচিত স্থানে
মেলা করার কারনে প্রবাসীদের উচ্ছ্বাসটা একটু বেশীই ছিল । যার প্রতিফলন দেখা গেছে
মেলা প্রাঙ্গনে । করোনা এবং সময় স্বল্পতার কারনে এবছর দেশ থেকে শিল্পী আমন্ত্রন
করা সম্ভব হয়নি , প্রচারও তেমন করা হয়নি স্বল্প সময়ে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে
আয়োজন করার পরও তারপরও উপচে পড়া দর্শক সমাগম ছিল লক্ষ্যনীয় ।
করোনাকালীন জাপানের স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলার আয়োজন করা হয়।
এ বছর বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা রাখা সম্ভব হয়নি বাস্তবতার কারনে । তবে ,
মহিলা এবং পুরুষদের নামাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হয় ।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহামেদ ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন তোশিমা সিটি মেয়র ইয়ুকিও তাকানো, ডেপুটি মেয়র মিয়ুকি তাকাগিয়া,
তোশিমা সিটি পর্যটন পরিষদের প্রেসিডেন্ট শোওতেন ওউমি এবং আয়োজক সংগঠন জেবিএস
চেয়ারম্যান ওসামু ওৎসুবো।
সকাল ১০ টায় যথারীতি সমবেত কণ্ঠে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘এসো হে বৈশাখ’
মেলার উদ্ভোধন করা হয় । দিনটি ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মদিন।
অনুষ্ঠান পরিচালক নারমিন হক তা স্মরণ করিয়ে দেন।
এরপর শিশুকিশোরদের উন্মুক্ত অনুষ্ঠান, জাপানী অনুষ্ঠান , ভি আই পি অতিথি
অভ্যর্থনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেলার সমাপ্তি করা হয়। প্রধান
সমন্বয়ক ডঃ শেখ আলিমুজ্জামান মেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন ।
মেলায় জাপানী তরুণীদের শাড়ী পড়ে বঙ্গ ললনা সাঁজে এবং বাংলাদেশী খাদ্য কিনার
জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে অপেক্ষা করা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করা সত্যিকার
অর্থেই বাংলাদেশী সংস্কৃতিকে জাপানে উপস্থাপন করা জাপান প্রবাসীদের সাফল্য অবাক
করার মতো ।
এবছর মেলার অন্যতম পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল , বাংলাদেশ দুতাবাস, জাপান পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় এবং তোশিমা সিটি।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
|