(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)
পরাশক্তির দেশের নিজেদের সমস্যার
অভাব নাই অন্য দেশ নিয়ে মাথা ঘামায়
মেহেদি হাসান
আজ ১৬ই ডিসেম্বর পূর্ব আকাশে ভোরের সূর্য উদয়ের সাথে সাথে দিনের আলোর প্রথম
প্রহরে পত পত করে বাংলার আকাশে উড়ানো হবে লাল সবুজের পতাকার সুবর্ন জয়ন্তী ।
বাংলাদেশ যখন বিশ্ব দরবারে ম্যাজিকের মত পরিবর্তন হচ্ছে ঠিক তখনই বিজয়ের মাসে
বাংলার আকাশে আবারও শোনা যাচ্ছে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র। সুপার পাওয়ার দেশের
নিজেদের সমস্যার অভাব নাই অথচ একটা স্বাধীন দেশ নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করে
নিষেধাজ্ঞা অরোপ করে । আমার দেশের মানচিত্র . আমার দেশের সংবিধান . আমার দেশের
অভ্যান্তরিন বিষয় নিয়ে বিদেশী দেশের নাক গলানো অনাভিপ্রেত।
গত ১৩/১২/২০২১ইং সোমবার জাপানের জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যমে এনএইচকে মার্কিন
নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার যে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে
প্রতিবাদ জানিয়েছে তার একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের এলিট ফোর্স (RAB)
এর ছয়জন সাবেক এবং বর্তমান অফিসারদের আমেরিকান সরকার কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার বিষয়
নিয়ে নিউজ প্রকাশ করেছে । এনএইচকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানায় "মার্কিন
পদক্ষেপ অতিরঞ্জিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে এবং এর সাথে কোনো বাস্তবতার মিল নেই।"
যে মার্কিন মুল্লুক এতো বড় বড় মানবাধিকারের কথা বলছে, তাদের কি মনে আছে জর্জ
ফ্লয়েডের কথা? এক বছরেরও কম সময় আগে ২০২০ সালের মে মাসের ২৫ তারিখ মিনিঅ্যাপলিস
পুলিশ বিভাগের হাতে নির্মম ভাবে মৃত্যুবরণ করেন। যেখান থেকে শুরু হয়েছিলো "ব্ল্যাক
লাইভস ম্যাটার" আন্দোলন।
রোডনি কিং'কে ১৯৯১ সালের মার্চের ৩ তারিখ ক্যালিফোর্নিয়ায় কি পরিমাণ নির্যাতনের
শিকার হতে হয়েছিলো -মনে আছে? সেই মার্কিন পুলিশের হাতে। তাদের কি বিচার হয়েছিলো?
সব পুলিশ মুক্তি পেয়েছিলো। পুরো এলএ জুড়ে তা জন্ম দেয় ভয়ঙ্কর এক দাঙ্গার।
মিসৌরি'র ফার্গুসন'র কথা মনে আছে? ১৮ বছরের ছেলেটিকে বিনা বিচারে হত্যার জন্যে
কোনো পুলিশকে শাস্তি পেতে হয়েছিলো? কেউ পায়নি।
১৯৯৯ সালে ১৮ বছরের আমানদো ডিয়াল্লো'র বুকে ছোঁড়া হয়েছিলো ৪১টি বুলেট। পরের বছর
হত্যা করা হয় প্যাট্রিক ডোরিসমন্ডকে। এখানেও জুরিরা পুলিশকে নির্দোষ পান! এ রকম
আরও কত ঘটনা রয়েছে খোদ আমেরিকাতেই।
সিবিএস এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ২০২০ সালের প্রথম ৮ মাসে মার্কিন
পুলিশ ১৬৫ জন কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করেছে।
আজকে তারাই মানবাধিকার নিয়ে বড় বড় কথা বলছে আর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। আর আমাদের
দেশের একদল মানুষ তাতে আবার বেশ পুলকিত বোধ করছেন। যারা নিজেরাই নিজেদের পুলিশ
নির্মমতার বিচার করতে পারছে না - তারা দিচ্ছে কিনা মানবাধিকারের সার্টিফিকেট,
চমৎকার।
আমাদের দেশের বিরুদ্ধে এই সমস্ত অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমি আমার প্রতিবাদ জানাই।
র্যাব বাংলাদেশের মাটি আর মানুষের জীবন রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর দায়িত্ব পালন
করছে ।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |