প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

- অভিনন্দন প্রবীর বিকাশ সরকার -

 

 

 

 

শরাফুল ইসলাম
আবু হাসান শাহরিয়ার
কাজী ইনসানুল হক

 


(এক)
বন্ধুর সাফল্যে


শরাফুল ইসলাম

চারিদিকে শুধু ' করোনা'র দু:সংবাদ।কাগজের পাতায় কোন আশা জাগানিয়া খবর নেই। শুধুই খুন,রাহাজানি,ধর্ষণ,পিলে চমকানো প্রতারণা সহ নানান রকম হতাশার শিরোণামে সয়লাব গনমাধ্যম।
আর এ সময়ে একটি সুখবর মনটাকে চাঙ্গা করেদিল।তা আবার বন্ধুর সুখবর।বন্ধুর নাম প্রবীর বিকাশ সরকার।প্রাচীন বন্ধু।প্রবীরের অনেক গুলো বই বেরিয়েছে উল্লেখ করার মতো।সে বিষয়ে বিশাল প্রবন্ধ লেখা যাবে।
তবে সম্প্রতি যে বইটি বেরিয়েছে,সেটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন।ইতিমধ্যে অ্যামাজনের বেস্ট সেলারের শিরোণাম হয়েছে।বইটি জাপানিজ ভাষায় লেখা।নাম"নিহন গা আজিয়া অ মেজামে সাসেতা"আর বাংলা করলে হবে "জাপান এশিয়াকে জাগ্রত করেছে"।
বাংলাদেশের সিলেটের ছেলে প্রবীর বড় হয়েছে কুমিল্লায়।জাপানে ওর বসবাস প্রায় তিন যুগ।
কবি গুরু বরীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাপানে এসেছেন পাঁচবার। রবি ঠাকুরের এই জাপান ভ্রমণ নিয়ে নিরলসভাবে গবেষণা লব্ধ একাধিক বই আগেই বেরিয়েছে।জাপানের সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় নিয়েও বই উল্লেখযোগ্য বই লিখেছে প্রবীর।গল্প উপন্যাসের বইও বেরিয়েছে একাধিক।তবে প্রবীর কিন্তু সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেছিল ছড়া লিখে।আমরা তখন এক ঝাঁক তরুণ "ছড়াকার হবো, কবি হবো"-স্বপ্ন নিয়ে কাগজের পাতা দখল করেছিলাম।কেউ এখনো টিকে আছে, কেউ নেই।প্রবীর তখন চমৎকার ছড়া লিখতো।পরে হয়ে গেলো গবেষক।আমিও গবেষণায় চলে যাই।সাফল্যও পাই।
জাপানিজ ভাষায় প্রকাশিত প্রবীরের এ বইটি বড় বড় বইয়ের দোকান গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে।বেষ্ট সেলারের শীর্ষে স্থান করে নিয়ে আমাদের গর্বিত করেছে।কিন্ত বাংলাদেশের কোন কাগজে নিউজটি ছাপা হয়নি।

প্রবীর, কোন কাগজে নিউজ হলো কী হলোনা, তাতে কী আসে-যায়।তোর এই সাফল্যে 'হৃদয়ের একূল ওকূল'আনন্দে সয়লাব হয়ে গেছে দোস্ত।

————————————————-
(দুই)

আবু হাসান শাহরিয়ার


আমাজন বলছে— ২০২০ সালে প্রকাশিত এশিয়ার ইতিহাস বিষয়ক বইগুলোর মধ্যে বেস্টসেলার-তালিকার পয়লা নম্বরে আছে রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ প্রবীর বিকাশ সরকারের 'নিহোন গা আজিয়া অ মেজামে সাসেত' (বাংলায় 'জাপান এশিয়াকে জাগ্রত করেছে')।

বামনরা উচ্চতাকে ভয় পায়। উচ্চমানব রবীন্দ্রনাথকে ভয় পায় বলে দুই পৃষ্ঠা পাঠ না-করেই অগণন বামনবাঙালি তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়। আরেক উচ্চমানব শেখ মুজিবকে ঘুমরাতে পরিবার-পরিজনসহ নৃশংসভাবে হত্যা করে। জন্মশতবর্ষে তার ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। তা না-হলে গণমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে পরিবেশিত হতো এ খবর। 'ভাইরাল' হতো সামাজিক মাধ্যমে। পুস্তকব্যবসায়ীদের শুভেচ্ছায় পৌষে বৃষ্টিস্নাত হতেন লেখক। শেয়ারে-শেয়ারে ঢেউ ঢেউ ভালোবাসার নদী হতো প্রবীর বিকাশ সরকারের আজকের ফেসবুকীয় 'স্ট্যাটাস'। মম্তব্যের ঘরে কেবল অভিনন্দন জানিয়ে তৃপ্ত না-হওয়ায় আমার মতো সার্বভৌম 'স্ট্যাটাস' দিত অনেকেই। একুশ শতাব্দীর ধর্মকবলিত আমবাঙালির কাছে এসব আশা করাও বোকামি।

প্রবীর বিকাশ সরকার'কে আলিঙ্গন।
তার বৈদগ্ধ্যকে কুর্নিশ।

——————————————————
বন্ধূ প্রবীরের জন্য ভালবাসা
 

কাজী ইনসানুল হক


সাকুরা টিভি চ্যানেলে বন্ধূ প্রবীর বিকাশ সরকারের বই "নিহোন গা আজিয়া অ মেজামে সাসেতা" নিয়ে আলোচনা হচ্ছে!

গত সপ্তাহে বইটি আমাজনে বেস্ট সেলারের তালিকায় ১ম অবস্হানে ছিল। আমাজন ঘোষনা দিয়েছে,এশিয়ার ইতিহাসবিষয়ক যত বই গত বছর প্রকাশিত হয়েছে সেসবের মধ্যে বিক্রিতে ১ম স্থান দখল করেছে।

আমি পুলকিত,আনন্দিত,গর্বিত।

জাপান প্রবাসী কোন বাংলাদেশীর এতবড় অর্জন আগে কখনও হয়নি। তার এই অর্জন ব্যাক্তি প্রবীরকে ছাড়িয়ে জাপানের সীমানা ছাড়িয়ে বাংলাদেশকে জাপানে নতুন পরিচয়ে সিক্ত করেছে ,প্রায় ষোল হাজার প্রবাসী বাংলাদেশীকে তিনি সম্মানিত করেছেন।

এরকম একজন লেখককে আমরা জাপান প্রবাসীরা গন সম্বর্ধনা দিতে বিলম্ব কেন করছি?

বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে লাল সবুজ কাগজে মোড়ানো বাংলাদেশের ভালবাসার সুবাস ছড়ানো একগুচ্ছ সতেজ ফুল রাস্ট্রদূতের পক্ষ থেকে প্রবীর বিকাশ সরকারের টোকিওর বাসায় পাঠাতে কত ইয়েন রাস্ট্রের ব্যায় হতো?

জাপানে এত লেখক, এত কবি,এত নেতা,
এত সংগঠন দূ একজন ছাড়া তাদের কজন এই লেখককে
কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি?

অথচ জাপানের বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, সম্পাদক এবং সংগঠক মিউরা কোতারোও সান। স্বনামধন্যা জাপানি রাজনীতিবিদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব, সাবেক দুবার সাংসদ এবং উজবেকিস্তানে প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মাদাম নাকায়ামা কিওকো সান,বিখ্যাত লেখক মিয়াজাকি মাসাহিরো সহ বাংলাদেশের পরম জাপানী বন্ধুরা জাপানী ভাষার নতুন বাংলাদেশী লেখককে সাধুবাদ জানিয়ে যাচ্ছেন।

সামান্য টিপস:
জাপানে ৬৪ ইয়েনের পোস্টকার্ডে অভিনন্দন পাঠানো যায়।
৫০০ ইয়েনে অন লাইনে লেখকের কাছে ফুল পাঠানো যায়।
বিনে পয়সায় ভার্চুয়াল অভিনন্দন জানানো যায়।

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]