|
জাপানে জেল হত্যা দিবস পালিত
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
নভেম্বর ৯, ২০২০ ।।
৩ নভেম্বর। শোকাবহ জেলহত্যা দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কময়, রক্তঝরা ও
বেদনাবিধুর একটি দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় ।
বিশ্ব ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় বাংলাদেশের জেলহত্যা । বাংলাদেশের ইতিহাসে
অন্যতম এই ঘৃণিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের পেছনের কুশীলবদের চিহ্নিত করে
বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আওয়ামী লীগ জাপান শাখা যথাযোগ্য মর্যাদার
সঙ্গে পালন করেছে দিবসটি । জেলহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা ও
দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তারা এ দাবি জানান।
৮ নভেম্বর ২০২০ রোববার রাজধানী টোকিওর কিতা সিটি হিগাশিতাবাতা চিইকি শিমিন
সেন্টার হলে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ওহিদুল ইসলাম ।
জাপান আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহ্ মো. আরিফের সভাপতিত্বে আলোচনা ও দোয়া
মাহফিল আয়োজনে মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আসলাম হিরা।
আলোচনা সভার শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের
নিহত সদস্যবৃন্দ,জাতীয় চার নেতা এবং ’৭৫-এর কলঙ্কজনক হত্যাকাণ্ডের শিকার
সবার আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করার পর
তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও
মোনাজাত পরিচালনা করেন মোল্লা ওহিদুল ইসলাম ।
জেলহত্যা দিবসের তাৎপর্যে আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন চৌধুরী লিটন,
জহিরুল ইসলাম , মাসুদ আলম , নিয়াজ আহম্মেদ জুয়েল , জাকির হোসেন জোয়ারদার ,
মরিতা মনি, আব্দুর রাজ্জাক , মাসুদুর রহমান, খন্দকার আসলাম হিরা প্রমুখ।
ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনী বক্তব্য রাখেন সভাপতি সালেহ মোঃ আরিফ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন , ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা
কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে চার জাতীয় নেতা বাংলাদেশের প্রথম
অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ,
মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে
নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের
শত্রুরা সেদিন দেশ মাতৃকার সেরা সন্তান জাতীয় এই চার নেতাকে শুধু গুলি
চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে
ক্ষত-বিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল। প্রগতি-সমৃদ্ধির
অগ্রগতি থেকে বাঙালিকে পিছিয়ে দিয়েছিল। ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের
ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের
নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে
বিরল।
৩ নভেম্বর জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় দিন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের
এই দিনে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর আজীবন রাজনৈতিক সহচর এবং মহান
মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয় রাতের
অন্ধকারে। তারা হলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল
ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এম
মনসুর আলী এবং খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান।
বক্তারা বলেন, কুচক্রীমহল এখনো সক্রিয় রয়েছে । তাদের রুখে দিতে হবে। সেই
সাথে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পেছনের কুশীলবদের চিহ্নিত করে বিচারের
কাঠগড়ায় দাড় করাতে হবে।
সমাপনী বক্তব্যে সভাপতি সালেহ মোঃ আরিফ জেল হত্যার ইতিহাস তুলে ধরে
বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন সময়ে জাপানের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সভা পরিচালনা
করা হয়।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
|