|
জাপানে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
মার্চ ৮, ২০২০ ।।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের পরতে পরতে মিশে আছে জাতির পিতার
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর ভাষণ। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীণ পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর
রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লাখো
জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকণ্ঠে ১৮ মিনিটব্যাপী যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা
ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।
মূলতঃ ৭ই মার্চ এর ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার
যে ডাক দিয়েছিলেন
তাঁর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বীর বাঙ্গালী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর
বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে আনে।
দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনে টোকিওস্ত বাংলাদেশ দূতাবাস এক মহতী অনুষ্ঠানের
আয়োজন করে।
প্রথম সচিব আরিফ মোহাম্মদ এর পরিচালনায় দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ৭মার্চ
‘২০ শনিবার আয়োজিত অনুস্টানের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে
অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্য এবং মহান
মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ
মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রথম সচিব আরিফ মোহাম্মদ।
দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী
পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের কাউন্সেলর ড. জিয়াউল আবেদিন ও ড. আরিফুল হক।
এরপর দূতাবাসের চার্জ দ্যা এফ্যায়েরস ড. শাহিদা আকতার সকলের উদ্দেশ্যে
বক্তব্য প্রদান করেন, এসময় তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন স্বাধীন
বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।তিনি ১৯৭১
সালে ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে মুক্তিকামী লাখো জনতার সামনে
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের যাদুকরী প্রভাব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে বলেন,
৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর সেই অগ্নিঝরা ভাষণ, পুরো বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধীনতা
যুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেছিলো, এই ভাষণ ছিলো স্বাধীনতার অমর কবিতা । তিনি
উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান এবং মুজিব বর্ষ উপলক্ষে দূতাবাসের আয়োজনে
বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদাত্ত আহবান
জানান। একই সাথে মুজিব বর্ষে প্রবাসীদের যেকোন আয়োজনে দূতাবাসের সহযোগিতার
আশ্বাস দেন।
চার্জ দ্যা এফ্যায়েরস ড. শাহিদা আকতার এর বক্তব্য শেষে দিবসটির তাৎপর্যে
উম্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির
নেতৃবৃন্দ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে জাপান শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি সালেহ মোঃ আরিফ বলেন , আমরা
আমাদের পাঠ্যসূচীতে সুদূর আমেরিকার ‘গেটিসবারগ এড্রেস’পড়তে পারি অথচ আমাদের
মহান নেতার ৭ই মার্চ এর ভাষণ পড়তে পারিনা। এটা আমাদের জন্য কষ্টদায়ক।
আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষার্থীদের
পাঠ্যসূচিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনী অন্তর্ভুক্ত করার। এটা আমাদের আশা জাগায়।
জাপান শাখা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খন্দকার আসলাম হিরা দূতাবাসের প্রতি
অনুরোধ জানিয়ে বলেন, মুজিব বর্ষে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত অনুস্টানগুলো যেনো
প্রবাসীদের অংশ গ্রহনের সুবিধার্থের কথা চিন্তা করে গ্রহন করা হয়।
সবশেষে জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো
কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের বজ্রকন্ঠে ৭ই মার্চের ভাষণের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র
প্রদর্শন করা হয়। প্রামাণ্যচিত্রে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে মুল্যায়ন
করে বিভিন্ন বানী স্থান পায়।
অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের সাথে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ উপস্থিত
ছিলেন ।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
|