|
জাপানে 'জেল হত্যা দিবস’ ২০১৯ পালিত
কমিউনিটি নিউজ ।। নভেম্বর ৫, ২০১৯ ।।
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যে জাপানে পালিত হয়েছে ৩ নভেম্বর, শোকাবহ
জেলহত্যা দিবস। মানব সভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কময়, রক্তঝরা ও বেদনাবিধুর একটি
দিন।
দিবসটি স্মরণে জাপান শাখা আওয়ামীলীগ এক দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করে ।
৩ নভেম্বর ২০১৯ টোকিওর কিতা সিটি আকাবানে বিভিও হল-এ জাপান আওয়ামীলীগ সভাপতি
সালেহ মোঃ আরিফ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন যুগ্ম
সম্পাদক মোঃ ওয়াহেদুল ইসলাম মোল্লা।
এ সময় মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি সনত বড়ুয়া, সহ সভাপতি হারুন উর
রশিদ, সহ সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন জোয়ারদার এবং সাধারন সম্পাদক খন্দকার
আসলাম হিরা।
সভার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ‘৭৫ এ তার পরিবারের
নিহত সকল সদস্যবৃন্দ জাতীয় চার নেতা , ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে
শিকার এবং ১৯৫২ সাল থেকে স্বাধিকার আন্দোলনে নিহত সকলের আত্মার প্রতি
সন্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন হাজী মোঃ আকতার হোসেন। একই দোয়া মাহফিলে জাপানে
সদ্য প্রয়াত মোঃ মাহবুবুর রহমান এবং জাপান আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক
খন্দকার আসলাম হিরার বড় বোন এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
দিবসটির তাৎপর্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুল কুদ্দুস, মোঃ মাসুম হোসেন, ফয়সাল
ইমতিয়াজ, যুবরাজ, ডাঃ তাজবীর আহমেদ, তপন কুমার ঘোষ, গুল মোহাম্মদ ঠাকুর,
মরিতা মনি, মাসুদ আলম পারভেজ, হারুন মোল্লা, নাজমুল হোসেন রতন, কাম্রুল
আহসান জুয়েল, আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ মাসুদুর রহমান মাসুদ, জাকির হোসেন
জোয়ারদার, মোঃ হারুন উর রশিদ, সনত বড়ুয়া খন্দকার আসলাম হিরা প্রমুখ ।
৩ নভেম্বর জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় দিন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের
১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩
নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার
নেতা,বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও পরিচালক ,বাংলাদেশের
প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ,
মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম, মনসুর আলী এবং ,এ, এই্ এম, কামরুজ্জামানকে
নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন দেশমাতৃকার সেরা সন্তান
জাতীয় এই চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো
গুলিবিদ্ধ দেহকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের
জ্বালা মিটিয়েছিল। প্রগতি-সমৃদ্ধির অগ্রগতি থেকে বাঙালিকে পিছিয়ে দিয়েছিল।
ইতিহাসের এই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়,
স্তম্ভিত হয়েছিল সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায়
বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
তারা আরো বলেন , বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রেতাত্মা রাজাকারের বংশধররা এখনো
নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ায় , এদের প্রজন্ম এই জাপানেও অবস্থান করছে। সুযোগ
পেলেই তারা ছোবল মারবে। এদের এখনই যদি স্তব্ধ করা না যায়, তাহলে নিজেদের
অস্তিত্ব আর থাকবে না।
সভাপতি সালেহ মোঃ আরিফ তার সমাপনী বক্তব্যে জেল ইতিহাসের কলঙ্কিত এবং
বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের উপর বিস্তারিত আলোচনা করে জননেত্রী শেখ হাসিনার
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। সভাপতি বলেন, জননেত্রী
শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছেন জাপান
আওয়ামীলীগ তার সাথে ১০০% সমর্থন জানায়।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly
prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
|