অন্তিম যাত্রার পথে শামীমা
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
মার্চ ১৫, ২০১৯ ।।
স্বামীর হাতে হত্যাকান্ডের শিকার সাইতামা'র গৃহবধু শামীমা আকতারের নামাযে
জানাযা বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় টোকিও'র ওৎসুকা মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।
পূর্বে ১টা ৩০ মিনিটে হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে তা সময় মতো অনুষ্ঠিত
হতে পারেনি।
লাশ ওৎসুকা মসজিদে পৌঁছানোর পর তিন জাপানি মুসলিম নারী এবং প্রবাসী
বাংলাদেশী মহিলাদের সহায়তায় নিহতের গোসল সম্পন্ন করা হয়। এরপর মরহুমার
নামাযে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
সময় মতো জানাযা অনুষ্ঠিত না হতে পারার কারণে অনেকে দুপুরে ওৎসুকা মসজিদে
অপেক্ষা করে চলে যান। কিন্তু তা সত্বেও পরবর্তীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক
প্রবাসী নিহত শামীমা আকতারের জানাযায় সামিল হন।
শুক্রবার দুপুরে বাক্সবন্দী হয়ে শামীমা চিরদিনের মতো জাপান ছেড়ে যাবেন।
বাংলাদেশে তার বড় ভাই বিমানবন্দর থেকে লাশ বুঝে নেবেন। ঢাকার উত্তরার
আশুলিয়ায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পর সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
ছোট ভাই রুহুল আমিন কমিউনিটি নিউজকে জানান, "এতোদিন দুই ভাই-বোন একসাথে
ছিলাম। আজকে ও চলে যাচ্ছে -আমি একদম একা হয়ে গেলাম।"
পুলিশের ঘোলাটে বক্তব্যঃ
কীভাবে হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে তা নিয়ে জাপান পুলিশের বক্তব্য অস্পষ্ট।
তারা নিহতের ছোট ভাই রুহুল আমিনকে জানান স্বামী শাহাদাত হোসেন পেছন থেকে "কালো
যাদুর শক্তি বলে" শামীমাকে আঘাত করেন, ফলে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ কীভাবে "কালো
যাদুর শক্তি"র কথা বলতে পারে তা কিছুতেই বোধগম্য নয়।
পরদিন শাহাদাত হোসেন উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়ান বলে উল্লেখ করা হয়েছে
পুলিশের বক্তব্যে। কিন্তু পুলিশ বলতে পারেনি এ সময়ে তিনি কোথায় কোথায় ছিলেন।
দু'জনের ব্যবহৃত মোবাইল দু'টিও নিরুদ্দেশ। শাহাদাত হোসেন যদি মানসিক বিভ্রমে
থাকবেন মোবাইল ফোন যে সরিয়ে ফেলতে হবে সে সম্পর্কে তিনি কী করে চিন্তা
করলেন? এ প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
পুলিশ একবার রুহুল আমিনকে জানায়, শাহাদাত হোসেন পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন, তাই
তিনি এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন। কীভাবে পুলিশ তা জানতে পারলো যে তিনি পরকীয়ায়
জড়িত ছিলেন তার কোনো উত্তর নেই। মোবাইল কল রেকর্ডও পুলিশ বের করেনি, অথচ
পুলিশ একবার বলছে তার মানসিক রোগ থেকে আবার বলছে পরকীয়া থেকে এই হত্যাকান্ড।
আবার তাদের তদন্তও চলছে।
রহুল আমিনের অভিযোগ বিদেশী বলে পুলিশ একরকম দায়সারা ভাবে মামলাটির নিষ্পত্তি
করে ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে চাইছে। উল্লেখ্য জাপানি পুলিশদের ব্যাপারে এই
অভিযোগ নতুন নয়। অতীতেও বিদেশীদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো
দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর ক্ষেত্রে জাপান পুলিশের তদন্ত হয় নাম কা ওয়াস্তে।
প্রবাসীরা দীর্ঘদিন ধরেই এ সব অন্যায্য আচরণের শিকার হয়ে আসছেন।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |