প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

 এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাপানে পালিত হয়েছে বিজয় দিবস ২০১৮

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। ডেসেম্বর ১৭, ২০১৮ ।।

যথাযথ মর্যাদা ও বিভিন্ন কর্সূচির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের ৪৮ তম বিজয় দিবস ২০১৮ উদযাপন করেছে টোকিওস্ত বাংলাদেশ দূতাবাস । মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর রোববার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে দিনের কার্যক্রম শুরু হয় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে । জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া করা হয়।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে পরবর্তী অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বানী পাঠ করা হয়। বাণী গুলি পাঠ করে শুনান যথাক্রমে দূতাবাসের ইকোনোমিক মিনিস্টার ডঃ সাহিদা আক্তার , কাউন্সেলর ডঃ জিয়াউল আবেদিন , কাউন্সেলর ( শ্রম ) মোঃ জাকির হোসেন এবং দ্বিতীয় সচিব তুষিতা চাকমা । বাণী সমূহ পাঠশেষে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা সকলের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন । এছাড়াও প্রবাসী নেতৃবৃন্দগন শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন । জাপান জাতীয় সম্প্রচার কেন্দ্রের (এনএইচকে ) বাংলা বিভাগের প্রধান বাংলা বিভাগের প্রধান কাযুহিরো ওয়াতানাবে বাংলায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নিহত তাঁর পরিবারের সদস্যদের, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো সকল বীর নারীকে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও গতিশীল নেতৃত্বের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ উন্নয়ন আজ বিশ্বের জন্য মডেল। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় তিনি সবাইকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার এবং জাপানে বাংলাদেশের মর্যাদা অটুট রাখার আহ্বান জানান।

এরপর এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশাত্ববোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি ও জাপানি নাগরিক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত দেশি-বিদেশি অতিথিগণ মন্ত্রমুগ্ধের মতো সকল আয়োজন উপভোগ করেন। রাষ্ট্রদূত সকল শিল্পীকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন।

সবশেষে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় । এসময় জাপানী অতিথিরাও দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সন্মান জানান ।

বিজয় দিবস উপলক্ষে দূতাবাসের আয়োজনে এই প্রথমবারের মতো সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এর সময় সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয় নি । কেবল মাত্র আমন্ত্রণ প্রাপ্তরা –ই তল্লাশির মাধ্যমে দূতাবাসে প্রবেশের অনুমতি পান । স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় ।

মূল ধারার আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মীগন ও বিষয়টির সমালোচনা করেন । প্রবাসীরা মনে করেন জাতীয় দিবসগুলিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন কালে সকল বাংলাদেশীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা উচিত । কারন , দূতাবাসটি বাংলাদেশের এবং দূতাবাসে প্রবেশ করা প্রবাসীদের নাগরিক অধিকার । দল পরিচালনা করে সরকার আর দেশ হচ্ছে জনগনের । সকল নাগরিকদের সমান অধিকার থাকে স্বীয় দেশের দুতাবাসে ।

বিষয়টি দূতাবাস কর্মকর্তাগন অনুধাবন করে নিজ দায়িত্ব পালন করলে দেশ এবং দেশের কল্যাণ বয়ে আনবে বলে প্রতীয়মান ।


 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]