|
জাপানে জেলহত্যা দিবস পালিত
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
নভেম্বর ৬, ২০১৮ ।।
জাপানে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে বিশ্ব ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায়
বাংলাদেশের জেলহত্যা দিবস ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে
হত্যার পর ৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে
জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম,
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী
এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। একাত্তরের
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রুরা সেদিন দেশ মাতৃকার সেরা সন্তান জাতীয় এই
চার নেতাকে শুধু গুলি চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, কাপুরুষের মতো গুলিবিদ্ধ দেহকে
বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে একাত্তরের পরাজয়ের জ্বালা মিটিয়েছিল।
প্রগতি-সমৃদ্ধির অগ্রগতি থেকে বাঙালিকে পিছিয়ে দিয়েছিল। ইতিহাসের এই
নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, স্তম্ভিত হয়েছিল
সমগ্র বিশ্ব। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের
হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
দিবসটি স্মরণে জাপান শাখা আওয়ামীলীগ এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে
।
৪ নভেম্বর ২০১৮ রোববার রাজধানী টোকিওর কিতা সিটি অজি হোকু তোপিয়া হলে
আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক মোল্লা অহিদুল ইসলাম। সভায় দূর-দূরান্ত থেকে নেতাকর্মীরা ছাড়াও
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের
প্রথম সচিব মোঃ বেলাল হোসেন ।
জাপান আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহ্ মো. আরিফের সভাপতিত্বে আলোচনা ও দোয়া
মাহফিল আয়োজনে মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন জাপান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
খন্দকার আসলাম হিরা এবং দূতাবাসের প্রথম সচিব মোঃ বেলাল হোসেন ।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মোঃ মাসুদুল আলম মাসুদ ।
সভার শুরুতে আলোচনা সভার শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,
তার পরিবারের নিহত সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চার নেতা এবং '৭৫-এর কলঙ্কজনক
হত্যাকাণ্ডের শিকার সবার আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট
নীরবতা পালন করা হয় ।
জেলহত্যা দিবসের তাৎপর্যে আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন কাজী ইনসানুল হক
, কাম্রুল হাসান লিপু , রাহমান মনি , মাসুদ পারভেজ ফিরোজ , মোরিতা মনি
জুয়েল , মোল্লা আলমগীর হোসেন , তপন ঘোষ , চৌধুরী রহমান লিটন , ডঃ খলিলুর
রহমান , ডাঃ তাজবীর আহমেদ , ডাঃ শাহরিয়ার সামি , টি এম ফারুক , নাজমুল
হোসেন রতন , মোঃ মাসুদুর রহমান , জাকির হোসেন জোয়ারদার , সনত কুমার বড়ুয়া ,
খন্দকার আসলাম হিরা , মোঃ বেলাল হোসেন প্রমুখ । ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনী
বক্তব্য রাখেন সভাপতি সালেহ মোঃ আরিফ ।
বক্তারা বলেন, শিশুর জন্য যেমন মায়ের কোল নিরাপদ আশ্রয়স্থল, তেমনি জেলখানাও
হচ্ছে আটককৃতদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র। সেই নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা জাতীয়
বীরসন্তানদের অন্যতম চার নেতার হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের
জানা নেই। এই হত্যাকাণ্ডে যারা কলকাঠি নেড়েছে তাদের বিচারের সম্মুখীন করে,
সঠিক বিচার করে, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিতকরণ একমাত্র নিহতদের
আত্মার শান্তি এনে দিতে পারে । এ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
৩ নভেম্বর জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় দিন উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের
এই দিনে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধুর আজীবন রাজনৈতিক সহচর এবং মহান
মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয় রাতের
অন্ধকারে। তারা হলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল
ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এম
মনসুর আলী এবং খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান।
সভায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ কে পুনরায় নির্বাচিত করে জননেত্রী
শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন ।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
|