|
সংগঠনের ৩০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করল "উত্তরন"
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
অক্টোবর ৯, ২০১৮ ।।
প্রবাসীদের প্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন 'উত্তরণ বাংলাদেশ কালচারাল গ্রুপ জাপান'
তাদের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে ।
৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন কে জমকালো এবং স্মরণীয় করে রাখার জন্য এক
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উত্তরণ । বিশ্বজিত দত্ত বাপ্পার সম্পাদনায়
বের করা হয় একটি স্মরণিকা ।
৭ অক্টোবর ২০১৮ রোববার টোকিওর কিতা সিটি তাকিনোগাওয়া কাইকান-এ আয়োজিত
সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এপিএফএস এর
সভাপতি ইয়োশিদা মায়ুমি । উপস্থিত ছিলেন এপিএফএস এর উপদেষ্টা ইয়োশিনারি
কাতসুও , বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হোরিগুচি মাতসুশিরো
সহ বিপুল সংখ্যক জাপানী এবং বাংলাদেশী নাগরিক বৃন্দ ।
নিয়াজ আহমেদ জুয়েল ও মৌটুসি দত্ত'র উপস্থাপনায় শুভেচ্ছা ও স্বাগত বক্তব্য
রাখেন ম্যানেজার শরাফুল ইসলাম।
উত্তরণ লিডার মোঃ নাজিম উদ্দিন তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন ,
উত্তরণ,বাংলাদেশ কালচারাল গ্রুপ জাপান এর ত্রিশ বছর পূর্তি উৎসবে জানাই
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমাদের এই দীর্ঘ পথ চলায় আপনারা যারা অকৃপন ভাবে সহযোগীতা করেছেন সকলের কাছে
আমরা কৃতজ্ঞ এবং ঋণী । বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাই বিভিন্ন
আঞ্চলিক,সামাজিক,রাজনৈতিক সংগঠন,ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং এর নেতৃবন্দ গনকে
যারা আমাদেরকে আর্থিক সহায়তা সহ নানাবিধ ভাবে সহযোগিতা দিয়ে আমাদের এই ৩০
বছরের এই পথ চলাকে সু প্রসন্ন করেছেন। আগামীতেও আমরা উত্তরণ, প্রবাসে
বাংলার মুখ হয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনার প্রত্যয় ব্যাক্ত করছি।
পরিশেষে বলতে চাই,
শহীদ যারা অমর তারা
ভাষার জন্য দেশের জন্য
তাঁদের ত্যাগের কথা স্মরণ করে
আমরা এগিয়ে চলবো।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন , বিদেশের মাটিতে শত
ব্যাস্ততার মাঝেও দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করা নিঃসন্দেহে
প্রশংসনীয় । দীর্ঘ ৩০ বৎসর ধরে উত্তরণ জাপানের মাটিতে বাংলাদেশের
বাংলাদেশের সংস্কৃতি চর্চায় যে সক্রিয় ভুমিকা পালন করে চলেছে তা
সর্বজনবিদিত । আমি প্রত্যাশা করব 'উত্তরন' এর এই প্রয়াস আগামীতেও অব্যাহত
থাকবে ।
এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন , এপিএফএস এর সভাপতি মায়ুমি ইয়শিদা এবং
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মাতসুশিরো হরিগুচি প্রমুখ ।
উত্তরন এপর্যন্ত যাদের কাছ থেকে সন্মাননা পেয়েছে তাদের কে সন্মানিত করে ।
এদের মধ্যে বাংলাদেশ দুতাবাস ( রাষ্ট্র ) , পরবাস ( বিলুপ্ত ) , নরসিংদী
সোসাইটি ( বিলুপ্ত প্রায় ) , বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি জাপান ( অধুনা
আত্মপ্রকাশিত ) এবং স্বরলিপি কালচারাল একাডেমী টোকিও । বিষয়টি এমন যে ,
কাজের স্বীকৃতি নয় , তুমি আমাকে দিয়েছো , তাই , তোমাকে আমি দিলাম ।
সবশেষে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৩০ বর্ষ পূর্তিকে
স্মরনীয় করে রাখা হয় ।
৩০ বছর পূর্তির আয়োজনে কোন বৈচিত্র্য ছিলনা বললেই চলে । ছিল না বিনোদনের
জন্য নাটকের আয়োজন । গত বছর থেকেই উত্তরণ কোনরুপ পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই নাটক
বন্ধ রেখেছে । যদিও প্রোগ্রামে নাটকের উপস্থিতি রাখা হয়নি , তথাপি দর্শকরা
এপর্যন্ত যা পেয়ে এসেছে তা আশা করে । অন্তত ৩০ বছর পূর্তির মতো বিশেষ
আয়োজনে । একটি ঘোষণা দিয়ে দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেত ।
শব্দ এবং আলোক বিন্যাস দুর্বলতা ছিল প্রকট । বিশেষ করে আলোক বিন্যাস ।
এবছর শিশু শিল্পীদের সকলেই ভাল করেছে । দৃপ্ত , ইমন , নাশরা , রিভু , শব্দ
তাদের প্রতিভা প্রকাশে সক্ষম হয়েছে । দর্শক মিস করেছে রুমির গান ।
প্রতি বছরের মতো সর্বশেষে দলীয় সঙ্গীত চলা কালে ফুল দেওয়া নিয়ে বিশৃঙ্খলা
দেখা দেয় এবছর ও । একদিকে গান এবং একই সাথে ফুল দেওয়াতে , কে কার হাতে ফুল
দিচ্ছে তা বুঝতে কষ্ট হয়ে যায় । ফুল দেয়ার জন্য পাঁচটি মিনিট বরাদ্ধ্ব
রাখলে এমন কি ক্ষতি হয়ে যায় ? নিয়মিত অনুশীলন , প্রোগ্রাম সেটিং করার পর ও
তো একটি গান থেকে আরেকটি গানে যেতে শিল্পী এবং যন্ত্রীদের মধ্যে শলা
পরামর্শ করতে ও তো সময় লেগে যায় । যদিও সবকিছুই পূর্ব নির্ধারণ করা । তাহলে
ফুল দেয়া এবং দলীয় সংগীত পরিবেশনায় এতো তাড়াহুড়া কিসে ?
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
|