|
দলের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করল জাপান শাখা আওয়ামীলীগ
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। জুলাই ১০, ২০১৮ ।।
দলের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাপান শাখা ।
এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাপান শাখা
আওয়ামীলীগ ।
৮ জুলাই ২০১৮ রোববার টোকিওর কিতা সিটি আকাবানে বুনকা সেন্টার ( বিভিও হল ) এ
আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাপান শাখা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি সালেহ মোঃ
আরিফ। মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি সনত কুমার বড়ুয়া
, সহ সভাপতি বাদল চাকলাদার এবং সাধারন সম্পাদক খন্দকার আসলাম হিরা ।
জাকির হোসেন জোয়ারদার এর পরিচালনায় দিবসটির তাৎপর্যে বক্তব্য রাখেন সুখেন
ব্রহ্ম , নিয়াজ আহমেদ জুয়েল , আব্দুর রাজ্জাক , গোলাম মাসুম জিকো , মোঃ মিজানুর
রহমান , মাসুদ পারভেজ , চৌধুরী সাইফুর রহমান লিটন , কাজী ইনসানুল হক , মোল্লা
মোঃ আলমগীর হোসেন , মোল্লা অহিদুল ইসলাম , ডাঃ শাহরিয়ার এম, শামস সামি , মোঃ
মাসুদুর রহমান , মোঃ ফারুক আহমেদ , বাদল চাকলাদার , সনত কুমার বড়ুয়া , খন্দকার
আসলাম হিরা , সালেহ মোঃ আরিফ প্রমুখ ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন , বাংলার মানুষের মুক্তি আর অধিকার আদায়ের জন্য
গঠিত হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। পুরান ঢাকার
স্বামীবাগের ১৫০ নম্বর মোগলটুলির বিখ্যাত রোজ গার্ডেনে এ দলটির জন্মলাভের মধ্য
দিয়েই রোপিত হয়েছিল বাঙালীর হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ।
বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী লীগ-স্বাধীনতা এই তিনটি শব্দ অমলিন, অবিনশ্বর। ইতিহাসে এই
তিনটি শব্দ একই সূত্রে গাঁথা। গৌরব ও ইতিহাসের নানা বাঁক পেরিয়ে আজ ৭০ বছরে পা
দিয়েছে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী আর বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী
লীগ।
তারা বলেন , ১৯৪৯ সালের তেইশে জুন দলটি আত্মপ্রকাশের ছয় বছরের মাথায় দলের নাম
থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দেয়া হয়, উদ্দেশ্য দলে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চ্চা
এবং অসাম্প্রদায়িকতা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ।
১৯৬৬ সালে আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে যে ছয় দফা দাবি তুলে ধরা হয় আওয়ামী
লীগের তরফ থেকে সেটাকেই মনে করা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম একটি
পদক্ষেপ। এরপর ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থানে আওয়ামী লীগের ভূমিকা দলটিকে এই
অঞ্চলের একক বৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত করে ফেলে , আর শেখ মুজিবর রহমান পরিণত হন
দলের অবিসংবাদিত নেতায়। এর সাথে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা যুক্ত হওয়ায় শেখ
মুজিব আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং বলা হয় সেই জনপ্রিয়তাই সত্তর
সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল বিজয় এনে দেয়।
তারা আরো বলেন , আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও
সংগ্রামের ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে
স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ
অর্জন, তার মূলে রয়েছে জনগণের এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব। জন্মলগ্ন থেকে এখন
পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস জনগণ, শক্তির উৎস সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের
নেতাকর্মীরা। এ দেশের সকল গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল আন্দোলনের সাহসী মিছিলের নাম
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জনগণের ভেতর থেকে উত্থিত একটি প্রগতিশীল সংগ্রামী
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ হচ্ছে সমাজের অগ্রসর চিন্তা-চেতনা, আদর্শ,
লক্ষ্য ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রবাহিনী। নেতা-কর্মীদের ইস্পাতদৃঢ় মনোবল এবং
ঐক্যবদ্ধতার ফলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হয়নি, কোনোদিন হবেও
না। আওয়ামী লীগের নিযুত নেতাকর্মীরা আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ
হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
বক্তারা বলেন , সাত দশকের লড়াই-সংগ্রামের অভিযাত্রায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য
নিরন্তর সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগের অর্জিত সাফল্যের ধারাবাহিকতায়
বাংলার জনগণ বিশ্বাস করে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্র
হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
দলের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
হিসেবে কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ( এমপি ) উপস্থিত থাকার
কথা থাকলেও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন এবং রাষ্ট্রীয় কাজে
ব্যাস্ত থাকায় শেষ পর্যন্ত তিনি উপস্থিত হতে পারেন নি ।
এক ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে ইচ্ছা স্বত্বেও উপস্থিত হতে না পারার কারনে দলের
নেতাকর্মী এবং উপস্থিত সকলের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করেন
। তিনি বলেন , বাংলাদেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নেতাকর্মীরাও আজ জাতির জনক
বঙ্গবন্ধুর তনয়া দেশরত্ন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি
অবিচল থেকে উন্নয়নের কাজে অংশীদার । জাপানেও আপনারা আরিফ-হিরাদের নেতৃত্বে
ঐক্যবদ্ধ থেকে নেত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করবেন বলে আমি আশা করি । শিঘ্রই আমি
জাপান আসার আশা করি । তখন আপনাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা
যাবে ।
পরে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে
প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ।
আলোচনা পর্ব শেষ হলে শিশুকিশোরদের নিয়ে কেক কেটে ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন
কে স্মরণীয় করে রাখা হয় ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি ফজলুর রহমান রতন এর পরিচালনায় উত্তরণ বাংলাদেশ কালচারাল
গ্রুপ পরিবেশন করে । উত্তরণ এর শিল্পী ছাড়াও শিশু শিল্পী তনুতা ঘোষ এবং শাম্মী
সঙ্গীত পরিবেশন করেন । বাচ্চু ,মান্না ,বাপ্পা এবং পাপ্পু যন্ত্রে সহযোগিতা
করেন ।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
|