প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

@

@

@

@

@

জাপানে ক্রিকেট জনপ্রিয় করছে প্রবাসী বাংলাদেশী দল "রাইজিং স্টারh

@

@

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। এপ্রিল ১৮, ২০১৮ ।।
@

কাজী ইনসানূল হক
উপদেষ্টা সম্পাদক
community.skynetjp.com


জাপানীদের প্রিয় খেলা বেসবল।বেসবলের পাশাপাশি সকার(ফূটবল) বেশ জায়গা করে নিতে পারলেও ক্রিকেটের অবস্হা প্রকৃতই eহাঁটি হাঁটি পা পাf।ক্রিকেটের সাথে বেসবলের অনেক মিল থাকলেও খেলাটা দেশের ক্রীড়াংগনের মূলধারার সাথে যুক্ত হয়নি এখনও।

দেড়শত বছর আগে জাপানে প্রথম ক্রিকেট খেলা হয়েছে এটা জানতে পেরে বেশ আশ্চর্যই হতে হয়েছে।জাপানে বসবাসরত রাজকীয় সেনাবাহিনীর অফিসার ও বৃটিশ ব্যাবসায়ী ক্রিকেট প্রেমীরা ১৮৬৩ সালে ইয়োকোহামার ঘাসবিহীন পিচে নিয়মিত ক্রিকেট খেলতেন।পরবর্তিতে আমেরিকার সাথে জাপানের বানিজ্যিক ও কূটনৈতিক মিত্রতার কারণে বেসবল বেশ জনপ্রিয় ,বলা যায় একমাত্র জনপ্রিয় খেলা হিসেবে জায়গা করে নেয়।

১৯৮৬ সালে জাপানের জাতীয় ক্রিকেট দল আত্নপ্রকাশ করে।আই সি সির সহযোগী সদস্য জাপান।সারা জাপান জূড়ে দূই শতাধিক ক্রিকেট ক্লাবে তিনহাজারের অধিক ক্রিকেটর এখন নিয়মিত-অনিয়মিত খেলছে।

শুরুটা হয় টোকিওর পাশের জেলা শহর গূনমা -র eসানোh সিটিতে ক্রিকেট খেলার উপযোগী কিছু মাঠ দিয়েই।সানো শহরটি জাপানের eক্রিকেট শহরfহিসেবে পরিচিত।এখানে উল্লেখ্য যে জাপানে প্রথম আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট ষ্টেডিয়ামও উদ্বোধন হতে যাচ্ছে সানোতেই চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এবং সবচেয়ে আনন্দের খবরটি হচ্ছে ঐ ষ্টেডিয়ামের যাত্রাই শুরু হচ্ছে Embassy Cup দিয়ে, যা কিনা প্রবাসী বাংলাদেশীদের দল রাইজিং স্টারস এর উদ্যোগে ও জাপান ক্রিকেট এর সহায়তায় ক্রিকেট প্রেমী বাংলাদেশ সহ ছয়টি দেশের দুতাবাসকে নিয়ে আয়োজিত হবে।
বাংলাদেশের রাইজিং স্টার এ সানোর পূরোনো স্চেডিয়ামেই প্রাকটিস করে এবং এখানেই তারা জাপান কাপ, জাপান ক্রিকেট লীগ, করপোরেট টূর্নামেনট ও প্রীতি ম্যাচ গূলো খেলেছে।

রাইজিং স্টারের ক্রিকেট পাগল কজন যূবক জাপানের মত gটাইম ইজ মানিh র দেশে শত প্রতিকূলতা কাটিয়ে কিভাবে ক্রিকেটকেনিয়ে মেতে আছে এবং জাপানে ক্রিকেট ও বাংলাদেশকে একসাথে পরিচয় করিয়ে চলেছে সেটা এক বিশ্ময়।

(২)

ক্রিকেট ভালো লাগার পাশাপাশি জাপানের মাটিতে বাংলাদেশের নামটি আরও দৃর করার প্রচেষটা থেকেই এই ক্লাবটির জন্ম। কমিউনিটিতে খেলাধুলার মাধ্যমে সবার অংশগ্রহন নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে
তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সাথে ক্লাব সদস্যরা

ক্লাবটির প্রতিটি সদস্য হবে বাংলাদেশী। প্রায় ২৫ জন সদস্য নিয়ে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মত জাপানে একমাএ T20 প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করে।

এখানে জানিয়ে রাখা ভাল শীতপ্রধান দেশ জাপানে বছরের প্রায় অর্ধেকটা সময় ক্রিকেট খেলা হয়না, বাকি অর্ধেকেও খেলা হয় শুধু সাপ্তাহিক ছুটিগুলোতে। মুলত এপ্রিলের শুরু থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝির মধ্যেই শেষ হয় যত ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। খেলোয়াড় সংখ্যার দিক থেকে জাপানীদের পাশাপাশি ভারতীয়, পাকিস্তানি এবং শ্রীলংকানদের অংশগ্রহন উল্লেখ করার মত।

এছারাও অস্টেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড এর মত ক্রিকেট প্রেমিদের সংখ্যাটাও কম নয়।

এরি মাঝে বিভিন্ন সময় উচ্চতর শিক্ষা এবং জীবিকার তাগিদে বাংলাদেশ থেকে আসা কিছু বাংলাদেশীও জাপানের বিভিন্ন ক্লাবে খেলে আসছে প্রায় অনেক আগে থেকেই।সে তখন থেকেই জাপান প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে ক্রিকেটর উপর আগ্রহ ধীরে ধীরে

বাড়তে থাকে এবং ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশের উন্নতির ধারবাহিকতাও অন্যতম একটি কারন। তাই প্রথম থেকেই রাইজিং স্টার ক্লাবটির উদ্দেশ্য ছিল সবকিছুর পাশাপাশি যাতে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে পারফরমেন্সর গ্রাফটাও যেন উর্ধমুখী থাকে।

বর্তমান রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা g২০১৬ অ্যাওয়ার্ড নাইটh-এ

প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর এসে ক্লাবটি জাপানের পূর্ব বিভাগের T20 প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয় এবং এবছর, ২০১৮ তে প্রথমবারের মত দীর্ঘ পরিসরের প্রতিযোগিতা JCL ( জাপান ক্রিকেট লীগ ) এ অংশগ্রহনের যোগ্যতা অর্জন করে।


ইতিমধ্যেই ক্লাবটি চতুর্থ বছরে পা রাখে এবং প্রতিবারের মত এবারও gরাইজিং স্টারস অ্যাওয়ার্ড নাইট-২০১৭ g অনুষ্ঠীত হয়ে গেল টোকিও, মারুনচি এলাকায়। যেখানে নতুন

পুরাতন সদস্য, পৃষ্ঠোপোশক , শুভাকাংক্ষীদের পাশাপাশি উপস্হিত ছিল বাংলাদেশ দুতাবাসের Economic Minister ডঃ শহীদা আক্তার,
২০১৭ এর অ্যাওয়ার্ড নাইট পুরস্কার বিজয়ীদের সাথে সম্মানিত অতিথিরা

Commercial Counsellor মোহাম্মদ হাসান আরিফ এবং Second Secretary মোহাম্মদ বেলাল হোসেন। যেখানে খেলোয়ারদের পুরস্কৃত করার পাশাপাশি তুলে ধরা হয়, কিভাবে রাইজিং স্টারস ক্লাবটি তাদের বিভিন্ন সামাজিক জনকল্যান মূলক কাযর্ক্রম অব্যাহত করে আসছে সুদূর বাংলাদেশও। বাৎসরিক বাজেটের একটি অংশ বাংলাদেশের গরীব ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য বরাদ্দ করা হয়ে থাকে।

এছারাও ক্লাবের সদস্যরা জাপানে

ক্রিকেট প্রচারের লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। জনপ্রিয়তায় পিছিয়ে থাকা ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে ২০১৬ সাল থেকে রাইজিং স্টারস জাপান ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সাথে কাজ করে
জেনমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে ক্লাব সদস্যরা
আসছে। ইতিমধ্যেই ক্লাবটির সহযোগিতায় সায়তামাতে জেনমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর এখানে পুরো ব্যাপারটাই হয়ে থাকে কোনো ধরনের আর্থিক প্রনোদন ছাড়াই। ক্লাবের সদস্যরা সম্পুর্ণ সেচ্ছাসেবী হয়েই ক্রিকেট প্রচারে কাজ করে আসছে, যা নিতান্তই প্রশংসার দাবীদার।

প্রবাসে ক্রিকেট খেলাকে পুঁজি করে সবার আন্তরিক সহযোগিতায় রাইজিং স্টারস জাপানের মাটিতে ক্রিকেট খেলে এবং ক্রিকেট খেলাটিকে ছড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের নামটি আরও সমুন্নত করুক সেই কামনা রইল ।


বিশেষ কৃতজ্ঞতা:কাজী মূরাদ

 

@

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]