|
হিগাশি জুজো'তে হাঁস পার্টি
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। মার্চ ৭, ২০১৮ ।।
টোকিওর কিতা সিটি'তে চতুর্থবারের মতো আয়োজন করা হয়েছিলো হাঁস পার্টি।
৪ মার্চ রোববার সান্ধ্যকালীন এ আয়োজনে প্রতিবারের মতো এবার ও কোন মঞ্চ, কোন
বক্তা , এমনকি বক্তব্য পর্ব বা ব্যানার ঝুলানো কিছুই রাখা হয়নি । অথচ ৩ শতাধিক
লোক কে বিনা বিনিময়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে । জাপানের রাজধানী টোকিওর মতো ব্যায়বহুল
শহরে , বিষয়টি ভাবিয়ে তুলে প্রবাসীদের । যেখানে চেয়ার এবং ব্যানার এর জন্য
মনোমালিন্য এমন কি মারামারি করে সংগঠন ভাগ হওয়াটা নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা । এমন
কি ১ বা ২ সদস্য বিশিষ্ট সংগঠনের অস্তত্ব ও রয়েছে এই জাপানে ।সেখানে এমন একটি
আয়োজন প্রশংসার দাবী রাখে ।
জাপান প্রবাসীদের দ্বারা আয়োজিত যেসব অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকে তার
মধ্যে ধর্মীয় আয়োজন ছাড়াও মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুর সোসাইটি জাপান কর্তৃক ঈদ পরবর্তী
কোরবানির মাংসে আপ্যায়ন বা ঈদ পুনর্মিলনী সর্বজনবিদিত। সম্প্রতি পিঠাপুলি বা
পান্তা ইলিশে আপ্যায়নের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। তবে এগুলো প্রায় সবটারই কোনো না
কোনো ব্যানারে এবং কোনো না কোনো উদ্দেশ্যে দর্শক সমাগত বা প্রবাসীদের আকৃষ্ট
করার জন্যই আপ্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়।
গত ৪ বছর ধরে জাপানে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের মাধ্যমে প্রবাসীদের কেবল
ভুঁড়িভোজের জন্য একত্রিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর এই ভুঁড়িভোজের নামটিও
অভিনব এবং নতুনত্ব রয়েছে বৈ কি। আয়োজনটির নাম দেওয়া হয়েছে 'হাঁস পার্টি।'
হাঁস পার্টি টি মূলত হিগাশি জুজো ওয়েল ফেয়ার এর আয়োজনে হয়ে থাকে । কিন্তু
আয়োজকরা এই নামে কৃতিত্ব নিতে ও নারাজ ।
টোকিওর কিতা সিটি হিগাশি জুজোতে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির উদ্যমী কিছু যুবক
এই হাঁস পার্টির আয়োজন করে আসছে। আর এই ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনটির জন্য তারা কোনো
স্পন্সর না নিয়ে সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে নিজেরা চাঁদা দিয়ে এবং নিজেরা রেঁধে সকলকে
আপ্যায়নের ব্যবস্থা করছেন। তাদের নেই কোনো আবেদন বা নিজেদেরকে পরিচিত করানোর
কোনো প্রয়াস। সম্পূর্ণ নিস্বার্থভাবেই, নিরলস পরিশ্রম করেই তারা প্রবাসীদের
কিছুটা হলেও ব্যতিক্রমধর্মী বা ভিন্ন ধারায় স্বাদগ্রহণের সুযোগ দিতে পারায়
আনন্দেই তারা উদ্বেলিত, কারণ এই আয়োজনে গতানুগতিক কোনো খাবার নয়, ভিন্নধর্মী
খাবার পরিবেশন করা হয়। হাঁসের মাংসের সঙ্গে রুটি, মূল খাবারের মেন্যুর সঙ্গে
অন্যান্য। যারা হাঁস এর মাংস খান না তাদের জন্য ও ভিন্ন মেন্যুর ব্যাবস্থা রাখা
হয় ।
অনুসন্ধানে জানা যায় , যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এমন একটি মহতী আয়োজন সম্পন্ন হয়
তারা হচ্ছেন নুর খান রনি , ওমর ফারুক রিপন , মোঃ আবুল খায়ের , মোঃ কাউসার খান ,
আব্দুল জাব্বার , মুজাহিদুল ইসলাম জুয়েল , মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জনি , মোঃ
ফারুক , সুমন ইঞ্জিনিয়ার , মোঃ তাহের , বর্মণ , টিটু , মোঃ রুবেল , রাজিব
বিন্দাশ , রাসেল মাঝি,
হুমায়ুন কবির, এমডি মনির হোসেন, সাইফুল ইসলাম টুটু প্রমুখ ।
এই আয়োজনের ব্যাখ্যা দিয়ে আয়োজকদের একজন নুর খান রনি বলেন , প্রথম শুরুটা
হয়েছিল কেবলি বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে , এর পর জাপান প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠনের
নেতৃবৃন্দদের নিয়ে , আর এখন সবার জন্য উন্মুক্ত । বলতে পারেন এখন কিছুটা
দায়িত্ব পড়ে গেছে নিজেদের অজান্তে । কারন , এখন অনেকেই খোঁজ নিয়ে জানতে চান 'হাঁস
পার্টি'টি কবে হচ্ছে । তার অর্থ সবাই এখন হাঁস পার্টির জন্য অপেক্ষায় থাকেন ।
প্রায় চার শত অতিথির আপ্যায়নেও কোন রকম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি পরিলক্ষিত হয় নি
কোথাও । সবাই আপ্যায়নে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা সহ আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা
জানিয়েছে । আয়োজকরাও যেন আপ্যায়ন করাতে পেরে সন্তুষ্ট ।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
|