|
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাপান আওয়ামীলীগের আলোচনা সভা
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
জানুয়ারি ১৬, ২০১৮ ।।
বাংলার অবিসংবাদিত নেতা , মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
জাপান শাখা এক আলোচনা সভার আয়োজন করে ।
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ রোববার টোকিওর কিতা সিটি আকাবানে বুনকা সেন্টার সান্ধ্যকালীন
এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাপান শাখার সভাপতি সালেহ মোঃ
আরিফ । এ সময় মঞ্চে আরো উপবিষ্ট ছিলেন জাপান শাখা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা
সভাপতি কাজী মাহফুজুল হক লাল এবং সহসভাপতি সনত বড়ুয়া
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাপান শাখার সহ সাধারন সম্পাদক রায়হান কবির ভূঁইয়ার
পরিচালনায় আলোচনা সভার শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু , মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব
দানকারী জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দাঁড়িয়ে এক মিনিট
নীরবতা পালন করা হয় ।
দিবসটির তাৎপর্যে উপস্থিতদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন মাসুদ পারভেজ , আব্দুস
সাত্তার ,সেলিম আহমেদ ,মরিতা মনি , মাহবুব হাসান , রহমান লিটন চৌধুরী ,
আক্তারুজ্জামান , মোঃ মাসুদ পারভেজ , টি, এম, ফারুক , ডাঃ খলিলুর রহমান ,
আব্দুর রহমান , জি, এম, সিরাজ , মোঃ ওয়াহিদ মোল্লা , মোঃ এমদাদ হোসেন , মোঃ
মাসুদুর রহমান , মোঃ নাজমুল হোসেন রতন ,হারুন উর রশিদ , কাজী মাহফুজুল হক লাল ,
সনত বড়ুয়া , সালেহ মোঃ আরিফ প্রমুখ ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন , ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের
বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু
স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।
তারা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম সরকারের সাফল্য ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ
পুনর্গঠন এবং প্রায় এক কোটি শরণার্থীর পুনর্বাসন। বঙ্গবন্ধু সরকার অত্যন্ত
সাফল্যের সাথে এই গুরু দায়িত্ব সম্পন্ন করে। দুর্ভিক্ষের যে আশংকা করা হয়েছিল
সরকার তা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করে।
বঙ্গবন্ধু যদি ফিরে না আসতেন তাহলে বাংলাদেশ এক গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হত । সেই
গৃহ যুদ্ধ থেকে আজও পরিত্রাণ পাওয়া যেত কিনা সন্দিহান রয়েছে । কারন , দেড় কোটি
মানুষের হাতে তখন অস্র ছিল । কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এক নির্দেশে এক কথায় সবাই তা জমা
দিয়ে দেন । বঙ্গবন্ধু বলেই তা সম্ভব হয়েছে ।
বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞায় অতি অল্প সময়ের মধ্যে সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন গড়ে তোলা হয়।
১৪৪টি রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে আদায়ে সক্ষম হয়।
স্বাধীনতালাভের তিন মাসের মধ্যেই বাংলার মাটি থেকে ভারতীয় সৈন্যদের
প্রত্যাবর্তন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছিল ।
তারা আরো বলেন ,বঙ্গবন্ধু তনয়া ,মাদার অব হিউমিনিটি , বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
সভানেত্রী , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী , জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের
বর্তমানের ধারা কে এগিয়ে নিতে হবে । আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখনই দেশের
উন্নতি হয় । আর এই জন্যই আওয়ামীলীগ সরকার বারবার দরকার ।
বক্তারা বলেন , জননেত্রীর উন্নয়নের এই আহবান কে জনগনের দ্বার প্রান্তে পৌঁছাতে
হবে । জাপান থেকেও আমাদের অনেক করনীয় রয়েছে , আসুন আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয়
নেত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে একযোগে ঝাপিয়ে পড়ি ।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
|