|
৭ই নভেম্বর পালন করলো জাপান বি এন পি
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। নভেম্বর ১৪, ২০১৭ ।।
যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর পালন করেছে বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জাপান শাখা ৭ই নভেম্বর ( বিপ্লব ও সংহতি দিবস )
পালন উপলক্ষ্যে জাপান বিএনপি এক আলোচনা সভার আয়োজন করে ।
১২ নভেম্বর রোববার টোকিওর কিতা সিটি অউজি হোকু তোপিয়া হলে আয়োজিত আলোচনা
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাপান বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মোফাজ্জল হোসেন
। এ সময় মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন জাপান বিএনপির সাধারন সম্পাদক মীর রেজাউল
করিম রেজা , সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আলমগির হোসেন মিঠু এবং উপদেষ্টা কাজী
এনামুল হক ।
পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করা হয় । পবিত্র
কোরআন তেলোয়াত করেন আবু তাহের রিপন । জাপান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক
সম্পাদক নুর খান রনির উপস্থাপনায় দিবসটির তাৎপর্যে বক্তব্য রাখেন সেলিম
আহমেদ , শাওন আহমেদ , ইমন , সফিকুল আলম সফিক , আবু তাহের রিপন , মাসুদ
পারভেজ , হেলাল , সাদেকুল হায়দার বাব্লু , ওমর ফারুক রিপন , মোস্তাফিজুর
রহমান জনি , রবিউল আলম , হাইয়ুল ইসলাম , জুয়েল পাঠান , মোঃ আবুল খায়ের ,
মোল্লা দেলোয়ার , মোঃ আশরাফুল ইসলাম শেলি , কাজী ইনসানুল হক , লিটন মাহমুদ
, মোঃ আলমগির হোসেন মিঠু , মীর রেজাউল করিম রেজা , কাজী এনামুল হক , মোঃ
মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ ।
বক্তারা বলেন, ৭ই নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫
সালের এই দিনে সৈনিক-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিলো জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও
হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে। ৭ই নভেম্বরের
ঐতিহাসিক বিপ্লব তাই অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত। এইদিন বলা যায় বাংলাদেশ
দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীনতা পায় । যা , ৫ জানুয়ারী ২০১৪ তে আবার খর্ব হয় ।
বক্তারা আরো বলেন , বাঙ্গালী জাতি সংগ্রামী জাতি । সংগ্রাম করেই এইজাতি
ব্রিটিশদের তাড়িয়েছে । ১৯৫২ সালে ভাষার জন্য , ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুধ্ব
, ১৯৯০ স্বৈরাচার হটানো সব ই এসেছে আন্দোলনের মাধ্যমে । ইনশা আল্লাহ এই
জালিম সরকারও আন্দোলনের মাধ্যমেই বিদায় করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধ্বার করা হবে
এবং তা দেশমাতা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই ।
তারা বলেন , তাদের বিদায় ঘন্টার ধ্বনি ইতোমধ্যে তারা শুনা শুরু করেছে ,
খালেদা জিয়া দেশে ফিরে আসায় তাদের ভীত কেঁপে গেছে , আর জনস্রোত দেখে রীতিমতো
ভড়কে গেছে সরকার । অঘোষিত হরতাল দিয়েও তারা জনস্রোত থামাতে পারেনি। তারা আরো
বলেন , অভিভাবকরা যেমন শাসনের মাধ্যমে প্রেমিক – প্রেমিকার সম্পর্কচ্ছেদ
করতে পারেনা , তেমনি হামলা মামলা , ভয়ভীতি দেখিয়েও শহীদ জিয়ার আদর্শের
সৈনিকদের ও হটানো যাবে না । বক্তারা বলেন , দেশে যখনি ক্রান্তিকাল এসেছে ,
তখনি শহীদ জিয়া কান্ডারী হয়ে শক্ত হাতে হাল ধরেছেন । আজ জিয়া নেই , কিন্তু
জিয়ার আদর্শ রয়ে গেছে । দেশমাতা খালেদা জিয়া এবং তারুন্যের অহঙ্কার তারেক
জিয়া নেতৃত্বে বাংলাদেশ কে আবার স্বনির্ভর সোনার বাংলা করে গড়ে তোলা হবে ।
সেইদিন আর বেশী দূরে নয় । আমাদের হতাশ হলে হবে না । আমরা হতাশ নই । রাত যতো
গভীর হয় , সকাল ও ততো নিকটে চলে আসে । একটি সুন্দর সকালের জন্য সবাই
অপেক্ষায় থাকে । বাংলাদেশের জনগন তেমনি সুন্দর , নিরাপদ , ভোটাধিকার ফিরে
পাবার স্বপ্ন নিয়ে গভীর অপেক্ষায় ।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
|