|
জাপানে জেল হত্যা দিবস পালিত
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
নভেম্বর ৭, ২০১৭ ।।
বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম ঘৃণিত রাজনৈতিক হত্যাকান্ড হচ্ছে জেল হত্যা ।
শিশুর জন্য যেমন মায়ের কোল সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় । তেমনি , জেলখানা হচ্ছে
অন্যতম খন্ডকালীন নিরাপদ আশ্রয় । সেই নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা জাতীর বীর
সন্তানদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই ।
এইভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করে ৪২তম জেলহত্যা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে পালন
করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জাপান শাখা ।
৪৩তম জেলহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে জাপান আওয়ামীলীগ এক আলোচনা সভার আয়োজন করে
। ৫ নবেম্বর রোববার টোকিওর কিতা সিটি তাকিনোগাওয়া বুনকা সেন্টার এ আয়োজিত
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাপান আওয়ামীলীগ সভাপতি সালেহ মোঃ আরিফ । এসময়
মঞ্চে আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারন সম্পাদক খন্দকার আসলাম হিরা এবং আব্দুর
রহমান ।
সভা শুরুর প্রাক্কালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান , নিহত চার
নেতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ।
এরপর জাতির পিতা , জাতীয় চার নেতা সহ ১৯৭৫ এর হত্যাকান্ডের শিকার সকলের
রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা করা হয় । মোনাজাত পরিচালনা
করেন মোল্লা অহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক রায়হান কবির ভুঁইয়া সুমন
এর পরিচালনায় দিবসটির তাৎপর্যে বক্তব্য রাখেন , কাজী ইনসানুল হক , কামরুল
আহসান জুয়েল , হুসাইন মুনীর , হারুন উর রশিদ , ডাঃ খলিলুর রহমান , শামীম
আহসান জোসেফ , সিরাজুল ইসলাম , কাজী মাক্সুদ , মাসুদ পারভেজ ফিরোজ , আব্দুল
কুদ্দুস , হাসান মাহবুব , নাজমুল ইসলাম রতন , মোঃ জহিরুল হক , চৌধুরী লিটন
, সুখেন ব্রহ্ম , মোঃ মোতাহার হোসেন , মুক্তা চৌধুরী , শাহ আলম , মোঃ
মাসুদুর রহমান , মোল্লা অহিদুল ইসলাম , আব্দুর রহমান , খন্দকার আসলাম হিরা
, সালেহ মোঃ আরিফ প্রমুখ ।
বক্তারা বলেন , ৩ নভেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় দিন। ১৯৭৫ সালের
এই দিনে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন
রাজনৈতিক সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতাকে হত্যা
করা হয়। তারা হলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রথম রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম,
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এম মুনসুর আলী,
খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান।
বক্তারা আরো বলেন , 'জেলহত্যা দিবসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার-
বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার'। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ,মাদার অব
হিউমিনিটি, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী , জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে
বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছে । চারিদিকে আজ
উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে । এধারা অব্যাহত রাখতে হবে কিন্তু একটি মহল দেশের
উন্নয়নে বিঘ্ন ঘটানোর পায়তারা করছে । দেশের উন্নয়ন চায় বলেই তারা এইধরনের
ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত । কিন্তু , বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন চায় । তাই , দেশের
জনগন-ই তাদের এই হীন কাজের সঠিক জবাব দিবে ।
তারা আরো বলেন , "১৫ অগাস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা।
ইতিহাসের মানবতাবিরোধী খলনায়করাই এ ধরনের ঘৃণ্য ও জঘন্য হত্যকাণ্ড চালিয়েছে।"
তারা বলেন , রোহিঙ্গা মোকাবেলায় সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে মাননীয় প্রধান
মন্ত্রী আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম কুড়িয়েছেন , একজন শাসক , একজন নেতা ,
একজন মা হিসেবে মানবতার পরিচয় দিয়েছেন । কুচক্রী মহলের তা সহ্য হচ্ছে না ।
তাই , ত্রান দেওয়ার নামে তারা নাটক করে অরাজকতার সৃষ্টির মাধ্যমে ষড়যন্ত্র
করছেন । আমাদের ওঁই সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে । একতাদবদ্ধ থেকে
প্রধান মন্ত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে । প্রবাস থেকে জাপান
আওয়ামীলীগকেই নেতৃত্ব দিতে হবে । আমরা সবাই তার জন্য প্রস্তুত রয়েছি ।
সভায় ইতিহাসের নিকৃষ্টতম হত্যাকান্ডের এই দিন টিকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক
সাধারন ছুটি ঘোষণার দাবী জানানো হয় । উপস্থিত সকলে তা সমর্থন করেন ।
উল্লেখ্য কাকতলীয় ভাবে ৩ নবেম্বর জাপানে সরকারী ছুটির দিন । এইদিন জাপানে
জাতীয় সংস্কৃতি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly
prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
|