|
ফুলে ফুলে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে গুলশানের হোলি আর্টিজান-এ
নিহতদের স্মরণ করলেন জাপান প্রবাসীরা
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
জুলাই ২, ২০১৭ ।।
১ জুলাই ২০১৭ ছিল হোলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের এক বছর ।
ফুলেল শ্রদ্ধ্বায় নিহতদের স্মরন করেছে সর্বস্তরের জাপান প্রবাসীরা । ১
জুলাই বাংলাদেশীদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন জাপানস্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের
দ্বিতীয় সচিব এবং দুতালয় প্রধান মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন । এছাড়াও অনেক
জাপানীজ সুহৃদরা উপস্থিত ছিলেন ।
বিশ্বজিত দত্ত বাপ্পার পরিচালনায় শোক ও স্মরন শুরুতেই ১ জুলাই ২০১৬ তে
নিহতদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধ্বা এবং শান্তি কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট
নীরবতা পালন করা হয় ।
এরপর দুতালয় প্রধান
মোহাম্মদ জোবায়েদ হসেন এর নেতৃত্বে ফুলেল শ্রদ্ধ্বা জানানো হয় । দুতাবাস
শ্রদ্ধ্বা জানানো শেষে প্রবাসীরা সারিবদ্ধ ভাবে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান ।
ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষ হলে দুতালয় প্রধান মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান ।
এছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন, মীর রেজাউল করিম রেজা ,
খন্দকার আসলাম হিরা,কাজী ইনসানুল হক ,মোঃ সহিদুল ইসলাম নান্নু , সুখেন
ব্রহ্ম , মুনশী কে, আজাদ , কাজুহিরো হানদা ,এমডি, নাসিরুল হাকিম এবং সালেহ
মোঃ আরিফ প্রমুখ ।
বক্তারা বলেন,বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অসাম্প্রদায়িক চেতনার। সেই
জায়গাটিতে হোলি আর্টিজানের ঘটনা বড় আঘাত। আমরা কখনই ভাবিনি এ রকম একটি ঘটনা
ঘটতে পারে। জাতি এ জন্য প্রস্তুত ছিল না। তারা বলেন , ইসলাম ধর্মের অর্থ
হচ্ছে শান্তির ধর্ম । অশান্তি সৃষ্টিকারীদের এখানে কোন স্থান নেই । কোন
ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে ইসলাম সমর্থন করেনা, অথচ আজ সারা বিশ্বে
ইসলামের নামে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছে ।
বিশ্বে ইসলাম ধর্ম হেয় করা হচ্ছে, যা কাম্য নয় । ইসলামের সাথে জঙ্গি
সংঘটনের কোন সম্পর্ক নেই । শান্তি প্রিয় প্রতিটি মানুষই এই ধরনের নারকীয়
হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে এই ধরনের
সন্ত্রাসীদের কোন স্থান নেই ।
বক্তারা আরো বলেন, ১ জুলাই বাংলাদেশে নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি অনাকাঙ্খিত হলেও
এটি একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া আর কিছু নয় । কোন বাংলাদেশির
পক্ষে এহেন কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্ভব নয় । তৃতীয় কোন শক্তি এর পিছনে
কাজ করে থাকতে পারে। হতে পারে তা আন্তর্জাতিক কোন নোংরা রাজনীতির শিকার ।
কারন জাপান আমাদের পরম বন্ধু । প্রতিটি বাংলাদেশি জাপান এবং জাপানিদের
ভালবাসে । তাই কোন বাংলাদেশির পক্ষে জাপানিজদের মারা সম্ভব নয় ।
আয়োজনটির পৃষ্ঠপোষকতা করেন জনাব মোঃ সহিদুল ইসলাম নান্নু (এনকে
ইন্টারন্যাশনাল ) , জনাব বাদল চাকলাদার (পদ্মা কোম্পানি লিমিটেড), জনাব হিমু
উদ্দিন( রিও ইন্টারন্যাশনাল), চৌধুরী শাহীন ( চৌধুরী ট্রেড কোম্পানি
লিমিটেড ), এমডি,নাসিরুল হাকিম (হাট কোম্পানি লিমিটেড)।
এছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটির ব্যানারে আয়োজনটির সহযোগিতা করেছেন সাপ্তাহিক
বাংলাদেশ এবং জাপান প্রবাসী সকলের সংগঠন প্রবাস প্রজন্ম জাপান।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
|