[প্রথমপাতা]

 

 

 

দারাজের প্রতারণার বিরুদ্ধে জাপানে নিন্দা জ্ঞাপন
 


শুরু থেকে

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। জুলাই ১২, ২০১১ ।।

প্রতারক দারাজ আহমেদ (বদরুল ইসলাম)কে ধিক্কার জানিয়ে প্রবাসীরা গত রোববার এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। টোকিওর ওয়াইয়ামা গ্রীন হলে আয়োজিত নিন্দাজ্ঞাপন সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ লেখক-সাংবাদিক ফোরাম।

ফোরামের সভাপতি জনাব সজল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় স্বতস্ফুর্ত ভাবে উপস্থিত হয়ে জানিয়েছেন সকল প্রবাসীরাই এক নয়। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মনজুরুল হক, এনএইচকে বাংলা বিভাগের প্রধান ওয়াতানাবে, প্রফেসর কাজুও আজুমার সহধর্মিনী কেইকি আজুমা, দূতাবাস হেড অব দি চ্যান্সারী মাসুদুর রহমান, প্রথম সচিব নাজমুল হুদা, মুনসী কে আজাদ, এম ডি এস ইসলাম নান্নু, আরিফুর রহমান, সুখেন ব্রম্ম, রফিক ফারাজী, মীর রেজাউল করিম রেজা, দেবাশীষ বড়ুয়া, রাহমান মনি, মোফাজ্জল হোসেন, জামাল উদ্দিন, ফজলে মাহমুদ মুক্তা, ফেরদৌস আহমেদ, তসলিম উদ্দিন, এম এ এইচ এন শাহীন, বদরুল বোরহান, আনিসুর রহমান, গোলাম মাসুম জিকো এবং সজল বড়ুয়া। সভাটি পরিচালনা করেন কাজী ইনসানুল হক।

প্রফেসর আজুমার সহধর্মিনী কেইকো আজুমা প্রতারক দারাদের উদ্দেশ্যে প্রতারণার কথা স্বীকার করে এবং সম্পূর্ণ টাকা ফেরত চেয়ে বাংলাভাষায় একটি চিঠি লেখেন। চিঠিটি পড়ে শোনান এম এ এন শাহীন। এরপর প্রথম আলোর প্রতিবেদন তৈরিকারী সাংবাদিক মঞ্জুরুল হক প্রতিবেদন তৈরির বিশদ বর্ণনা প্রতিকুলতা এবং বাস্তবতা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। তিনি তরুন সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম হাসানকে রিপোর্টটি তৈরির পেছনসম্পুর্ণ কৃতিত্বদেন।

দূতাবাস কর্মকর্তারা বলেন, এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য তারাও দুঃখিত এবং দূতাবাস সরকারের কাছে বিস্তারিত জানিয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেবার অনুরোধ জানাবেন। দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়। যে কোন ধরনের প্রতারণার ঘটনা জানা থাকলে দূতাবাসকে অবহিত করার জন্য দূতাবাস কর্মকর্তারা প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানান।

উল্লেখ্য জাপান প্রবাসী জনৈক দারাদ আহমেদ সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রফেসর আজুমার কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা জাপান-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করার নামে হাতিয়ে নেয়। এই কেন্দ্রটি প্রফেসর আজুমার একটি স্বপ্ন ছিলো, তিনি সরল বিশ্বাসে দারাদের হাতে টাকাগুলি তুলে দেন।
প্রতারক দারদ প্রতারণার জন্য বেছে নেয় একটি মসজিদ এবং তার নিজের মা'কে। মসজিদের বিভিন্ন ছবি তুলে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং নিরক্ষর মাকে জাতিসংঘের সিভিল সার্জন বানিয়ে তার নামে চিঠি লিখে প্রতারণার মাধ্যমে প্রফেসর আজুমার স্বপ্নের জাপান-বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পুরো অর্থ আত্মসাৎ করে।

প্রবাসীরা দারাদের প্রতারণার নিন্দা এবং যে কোন ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার সংকল্প ব্যক্ত করেন এবং প্রফেসর আজুমার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেবার জন্য সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
 

[প্রথমপাতা]