প্রবাসীদের সাথে
সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার চেষ্টা করেছিঃ বিদায়ী সম্বর্ধণায় রাষ্ট্রদূত
মজিবুর রহমান
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। জুলাই ৯, ২০১১ ।।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ কে এম মজিবুর রহমান ভূঁইয়া বলেছেন,
দূতাবাসে থাকাকালীন সময়ে প্রবাসীদের সহযোগিতায় সামনে এগিয়ে যাবার চেষ্টা
করেছেন। তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় দূতাবাসে আয়োজিত তার বিদায়ী সম্বর্ধণায় এ
কথা বলেন।
"আমার সামনে অনিশ্চিত পথ" উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ অনিশ্চিত পথ তার
জন্য ভালোও হতে পারে আবার খারাপও হতে পারে। তবে নিজেকে একজন আশাবাদী মানুষ
হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন তিনি সব সময়ে সামনের দিকে তাকাতে চান। তিনি
পূর্বের পদেই ফিরে যাচ্ছেন বলে জানান।
অস্বাভাবিকতা তার জীবনের অংগ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তার চাকুরি জীবনেও
অনেক অস্বাভাবিকতার মুখে পড়তে হয়েছে। এই বয়সে পূর্ণ রাষ্ট্রদূতের মর্যাদা
পাওয়াটা কিছুটা অপ্রত্যাশিত এবং তিনি চাইছিলেন আরো কিছুদিন পর তিনি এ
মর্যাদা পান কিন্তু সরকারি আদেশে তাকে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রদূত করা হয়।
জনাব মজিবুর রহমান বলেন, একজন রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে যেমন আইনী ব্যবস্থা
নেয়া যায়না তেমনি একজন রাষ্ট্রদূতও এভাবে আইনীব্যবস্থা নিতে পারেননা। তাই
তার বিরুদ্ধে আনা
অভিযোগ ধোঁয়াশাই থেকে যেতে পারে। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি তার
বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন সত্যাতা পায়নি। তার ধারণা হয়ত এসব অভিযোগের পেছনে
কেউ কাজ করছে।
তিনি বলেন, দূতাবাস প্রবাসীদের সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছে।
প্রবাসীরাও তাকে সহযোগিতা প্রদান করেছেন।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, সবসময়েই কিছু কিছু অগ্রগতি হয়। আগের রাষ্ট্রদূতের করে
যাওয়া অংশকে তিনি আরেকটু বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। দূতাবাসের
কর্মকর্তা-কর্মচারীগন একটি টিম হিসেবে কাজ করেছেন এবং এতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে
সফলও হয়েছেন। তার জন্য তিনি নিজে পুরো কৃতিত্ব না নিয়ে পুরো টিমকেই দিতে চান।
তিনি সবার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এর আগে দূতাবাসে আমন্ত্রিত প্রবাসীরা তাদের বক্তব্যে জনাব মজিবুর রহমান
ভূঁইয়ার বিদায়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। তারা বলেন তাদের সুদীর্ঘ প্রবাস জীবনে
এমন প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা উদ্যমী রাষ্ট্রদূত পাননি। কিন্তু প্রবাসীদের
দুর্ভাগ্য যে এমন মেধাবী একজন সফল কুটনীতিক জাপানে খুব সল্প সময়েই থাকতে
পারলেন। তারা জনাব মজিবুর রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন কামনা করেন।
পরে প্রবাসীরা রাষ্ট্রদূত আয়োজিত এক ভোজসভায় যোগদেন।
[প্রথমপাতা] |