এন আর বি জাপানের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মনোরম সাংস্কৃতিক সন্ধা
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। ডিসেম্বর ১৫, ২০১৬ ।।
সাড়ম্বরে পালিত হলো এন আর বি জাপানের তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১১
ডিসেম্বর,২০১৬, রোববার টোকিওর আকাবানের বিভিও হলে সমবেত হয়েছিলেন জাপান
প্রবাসীরা।প্রচন্ড কনকনে শীত
উপেক্ষা করে হলভর্তী দর্শক প্রায় তিন ঘন্টা জুড়ে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
রাজনৈতিক অনুষ্ঠানগূলোতে মত ও আদর্শের অমিল থাকায় অনেকেই যেতে পারেননা
কিন্তু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগূলোতে প্রবাসীরা যেতে আগ্রহী, দলবেধে পরিবার
পরিজন নিয়ে যান, কুশল বিনিময় করেন। স্বজন ছেড়ে এই পরবাসে এই অনাত্মীয়রাই তো
স্বজন। অনুষ্ঠান গুলো হয় জমজমাট।
এন আর বি র অনুষ্ঠানটি তাই হয়ে ওঠে মিলনমেলা।ওই দিন বিকেলে টোকিও শহীদ
মিনারে জাপান প্রবাসীরা মিয়ানমারে রোহিংগো হত্যা সহ বাংলাদেশে,ভারতে ধর্মীয়
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও মানব বন্ধন করে,সেখান থেকেও অনেকেই এখানে
চলে আসেন। সম্মিলিত জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সুচনা হয়।মন্চে সভাপতি
বা অতিথি বসানোর মতো আনুষ্ঠানিকতা ছিলনা। সন্চালক,সংগঠনের সাধারন সম্পাদক
মীর মোহাম্মদ মোহসিন শীত উপেক্ষা করে অনুষ্ঠানে উপস্হিতির জন্য প্রবাসীদের
কৃতজ্ঞতা জানান।সভাপতি শহিদুর রহমান খান হিরো তার সুচনা
বক্তব্যে সবাইকে মহান বিজয় দিবসের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে এন আর বি জাপানের
কর্মতৎপরতার কথা ব্যাখ্যা করেন।সদ্য প্রয়াত জাপান প্রবাসী সন্জয় দত্তের
মৃতুতে শোক প্রকাশ করা হয।এন আর বি জাপান প্রবাসীদের ডাটাবেজ তৈরীর কাজ
করছেন বলে জানান। অঙ্কের মতে এটি তত সহযসাধ্য নয় কেননা দূতাবাসের এই
উদ্যোগটি বিফল হয়েছে। হোমপেজে ঢূকে নিজেকে রেজিষ্টার্ড করার মত মানসিকতা ও
প্রয়োজনিয়তা প্রবাসীরা ততটা আগ্রহী নন,তাছাড়া ব্যাক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে
তা সংরক্ষনে বিশ্বাশযোগ্যতার বিষয়টাও ভাববার।১ জুলাই ঢাকায় সাত জাপানীর
হত্যাকান্ডের পর এন আর বি জাপান যে শোকসভাটি করেছিল সেটি ছিল প্রশংসাযোগ্য।
প্রবাসীদের অভিমত,শুধূমাত্র মিউজিক কনসার্ট, বর্ষপূর্তির মাধ্যমে অনুষ্ঠান
নয় প্রবাসীদের কল্যানমুলক আরো কিছু করার জন্য এন আর বি জাপানের ভুমিকা নেয়া
প্রয়োজন।
দূতাবাসের পক্ষে নব নিযুক্ত ইকোনমিক মিনিস্টার ড: শাহীদা আকতার শুভেচ্ছা
বক্তব্যে প্রবাসীদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পরবর্তিতে ২০১৩ সালের জূলাই -আগষ্টে জাপানের কাগাওয়া জেলায় তাকামাৎসু শহরে
বাংলাদেশের শিল্প সংস্কৃতি ও জীবনধারা তুলে ধরবার ৪০ দিন ব্যাপী উৎসব "
সেতোউচি ত্রিবার্ষিক শিল্পকলা উৎসব:বেংগল আইল্যান্ড" র উপর নির্মিত জাপানী
পরিচালক সিসিলা অমি কিতাজিমা নির্মিত ডকুমেন্টারী "এ ম্যাসেজ ফ্রম দি
রিভার"প্রদর্শিত হয়।সাংস্কৃতিক পর্বের সূচনা হয় জাপানী শিল্পী কোদা তেসুয়ার
কন্ঠে বাংলা গান দিয়ে, তার কন্ঠে বাংলা গান এবং বাংলাগানের জাপানী সংস্করন
দর্শকরা মূহ মুহ করতালী দিয়ে স্বাগত জানান। জাপানের জনপ্রিয়সসাংস্কৃতিক দল
উত্তরণের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য হয়েছিল।
রাতের সুস্বাদু খাবারের আতিথেয়তা দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly
prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |