এনআরবি জাপান আয়োজিত মনোরম সঙ্গীত সন্ধ্যা
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। মে ২৭, ২০১৬ ।।
প্রবাসে একজন প্রবাসীর সহৃদয় সহযোগিতার হাত প্রশস্ত করবার প্রত্যয় নিয়ে এবং
প্রবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার নিয়ে গত বছর যাত্রা শুরু করেছিলো
এনআরবি জাপান। বাংলাদেশের পরমবন্ধু জাপান, জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষীক
সম্পর্কের ৪৫ বছর পূর্তি ও এনআরবি জাপানের প্রথম বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষ্যে
গত রোববার টোকিওর কিতা-কু'র ওজি হোকতোপিয়া হলে জমকালো সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন
করে এনআরবি জাপান।
হল ভর্তি দর্শকদের উপস্থিতিতে সংগঠনের সভাপতি শহীদুর রহমান খান হিরো'র
সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জাইকা'র মহাপরিচালক তাকাও তোদা, বিশেষ অতিথি
ছিলেন বাংলাদেশে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হরিগুচি। অতিথি হিসেবে রাবাব
ফাতিমা এবং প্রবাসী কল্যান মন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন জাপান সফরের ব্যস্ততার কারণে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে
পারেননি। মন্ত্রী এনআরবি'র সাফল্য কামনা করে ভিডিও বার্তা প্রেরণ করেন।
জাইকা প্রধান তার বক্তব্যে আবেগ তাড়িত হয়ে বলে ফেলেন বাংলাদেশ তার দ্বিতীয়
মাতৃভূমি। বাংলাদেশে ঘুরে আসা তার পরিবার ও সন্তানরাও বাংলাদেশকে গভীর
ভালোবাসেন। তথ্য জানাতে গিয়ে জাইকা প্রধান জানান, বাংলাদেশে প্রায় ৩ হাজার
সেতু নির্মাণের সাথে জাপান জড়িত রয়েছে। দেশের বৃহত্তম পদ্মা সেতু নির্মাণের
কাজটি হয়তো আমরা পাইনি তবে ভবিষ্যতে আরো বড় অবকাঠামো নির্মাণে আমরা
বাংলাদেশের পাশে থাকবো। মি হরিগুচি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে তখন থেকে
এখন পর্যন্ত দেশটির এগিয়ে যাওয়াকে সাধুবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের অগ্রসরের
প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন।
এন আর বি জাপান'র স্যুভেনিরটি দেখে তিনি অভিভূত হয়ে বলেন সুন্দর এই
পত্রিকাটি দেখেই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার জোরদার হবে বলে মনে হয়। সভাপতির
বক্তব্যে জনাব হিরো এনআরবি'র কর্মকান্ড শুধুমাত্র মিউজিক কনসার্ট আর জাতীয়
দিবস পালনের আনুষ্ঠানিকতা নয় প্রকৃতই প্রবাসীদের পাশে দাঁড়াতে চায়। সে
ক্ষেত্রে প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
জাপান বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৪৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই আয়োজনকে
কেন্দ্র করে সুশোভিত স্যুভেনির প্রকাশ করেছে এনআরবি। পত্রিকার সম্পাদনায়
রয়েছেন সলিমুল্লাহ কাজল। বাংলাদেশের পরিচিতি ও তথ্য সমৃদ্ধ স্যুভেনিরটি
সবার দৃষ্টি কেড়েছে। জাপান প্রবাসী সাংবাদিক মনজুরুল হক, কাজী ইনসানুল হক,
জেড এম আবুসিনা'র তিনটি ভিন্ন মাত্রার লেখাও সেখানে প্রকাশিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ থেকে আগত লালন শিল্পি মৌসুমি আক্তার এবং
বাংলাদেশ প্রেমী জাপানি শিল্পি তাৎসুয়া কোডা'র গান হল ভর্তি দর্শক উপভোগ
করেন।
মঞ্চপরিকল্পনা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সলিমুল্লাহ কাজল, উপস্থাপনায়
ছিলেন নাবী উল্লাহ আসিফ এবং মীর মোঃ মোহসিন।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly
prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |