[প্রথমপাতা] |
জাপানে পপগুরু আজম
খান এবং শিক্ষাগুরু মোঃ কিবরিয়া স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। জুন ১৪, ২০১১ ।।
বাংলাদেশের শিল্পীজগতের দুই দিকপাল মোহাম্মাদ মাহবুবুল হক খান আজম এবং
মোহাম্মাদ কিবরিয়া স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
পপ সম্রাট আজম খান (২৮শে ফেব্রুয়ারী,১৯৫০-জুন ০৫, ২০১১) গানের মাধ্যমে এবং
শিক্ষাগুরু মোঃ কিবরিয়া চিত্রকলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে
পরিচিত করে স্ব অবস্থানে সুনাম কুড়িয়েছেন।
এই দুই প্রয়াত শিল্পির বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো জন্য সাপ্তাহিক
পাঠক ফোরাম এক স্মরণসভার আয়োজন করে। গত রোববার ওজি হোকুতোপিয়াতে
সন্ধ্যাকালীন এই আয়োজনে মহান এই দুই শিল্পির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জানানোর
জন্য টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এ কে এম মজিবুর রহমান ভূঁইয়া,
দূতাবাসের সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশিষ্ট শিক্ষক ও সাংবাদিক মনজুরুল
হক, গুরু আজম খানের ভক্তকূল এবং সাংস্কৃতিমনা প্রবাসীরা উপস্থিত থেকে তাদের
ভালোবাসা ব্যক্ত করেন।
সাপ্তাহিক পাঠক ফোরামের সভাপতি ছড়াকার বদরুল বোরহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন জুয়েল আহসান কামরুল। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে
সূচনা বক্তব্য রাখেন সাপ্তাহিক এর টোকিও প্রতিনিধি বিশিষ্ট সাংবাদিক রাহমান
মনি। বক্তব্য রাখেন সলিমুল্লাহ কাজল রকি, মীর রেজাউল করিম রেজা, এ জেড এম
জালাল, আলমগীর হোসেন মিঠু, গোলাম ফারুক মেনন, ফজলে মাহমুদ মুক্তা, তসলিম
উদ্দিন, রফিকউদ্দিন ফারাজী, এ কে এম মঞ্জুরুল হক, সাংবাদিক মঞ্জুরুল হক,
রাষ্ট্রদূত এ কে এম মজিবুর রহমান ভূঁইয়া এবং বদরুল বোরহান।
বক্তারা এই দুই দিকপালের জীবনীর উপর বিশেষ আলোকপাত করেন। বিশেষ করে বীর
মুক্তিযোদ্ধা পপ সম্রাট আজম খানের গানের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন
বক্তারা। সলিমুল্লাহ কাজল উভয় দিকপালের সন্নিধ্য পাওয়ার কথা উল্লেখ করে
বলেন, আমার পরম সৌভাগ্য যে চারুকলার ছাত্র হওয়ায় আমি যেমন কিবরিয়া স্যারের
সহচর্য পেয়েছি তেমনি পুরান ঢাকার বাসিন্দা হওয়ায় গুরু আজম খানের সহচর্যও
পেয়েছি। তিনি তাদের স্মৃতিচারণ করলে এই দুই গুনী শিল্পির বিভিন্ন মানবিক
দিক এবং বিনয়ের দিকগুলি উপস্থিত দর্শক শ্রোতার হৃদয় স্পর্শ করে।
সাংবাদিক মঞ্জুরুল হক বলেন, গুরু আজম খানের কথা সবাই বিশদ জানলেও শিল্পী
কিবরিয়ার কথা অনেকেই হয়ত জানেননা। তিনি ছিলেন এক ধরনের আকর্ষনীয় মিষ্টি
স্বভাবের। স্বল্পভাষী হলেও ২০০২ সালে আমি জাপানে তার সাক্ষাতকার নিলে আমার
সাথে যথেষ্ট আলাপ করেছিলেন। তিনি ছিলেন খুবই বিনয়ী এবং অন্যর প্রতি
শ্রদ্ধাশীল। সকলের কাজের স্বীকৃতিদিতেন অবলীলায়।
রাষ্ট্রদূত মজিবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, শিল্পী মাত্রই মানুষ ও সমাজকে ভালো
পথ দেখান। তারা দুজনেই একই সাথে সাধারণ এবং অসাধারণ ছিলেন। এখানেই তাদের
জীবনের স্বার্থকতা। তারা উভয়েই সরবে আবার কখনো নিরবে মানুষের জন্য কাজ করে
গেছেন। তিনি তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
সবশেষে সবার প্রিয় উত্তরণ গ্রুপ শিল্পী আজম খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজম
খানের গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলি একে একে পরিবেশন করেন। এই সময় উপস্থিত দর্শকরা
কেবল শ্রোতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলেননা। সকলেই সমস্বরে গানের সাথে কন্ঠ
মিলান। দলনেতা বাচ্চুর নেতৃত্বে রতন, গোমেজ, মিথুন, মান্না, জাহিদ, শাহীন
এবং স্বরলিপি বাবু বেশ কয়েকটি গান পরিবেশন করেন।
[প্রথমপাতা] |
|