|
তোচিগি-গুনমা কেন প্রবাসী বধুদের উদ্যোগে পিঠা উৎসব
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭ ।।
পিঠার নাম শুনলেই জিভে জল আসেনা এমন বাঙালি পাওয়া যাবে না। পিঠা বাঙালির জীবন ও
সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আজও বাংলাদেশের গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে যে কোন উৎসবে
আনন্দে মিশে আছে রকমারি পিঠা পরিবেশনের আয়োজন। প্রবাসের বাস্তুময় জীবনে উষ্ণ
রোদের মিষ্টি সকালে আমাদের পিঠে খাওয়ার সুযোগ হয়ে উঠে না। তাই গতকাল ৫ই
ফেব্রুয়ারি রোববার জাপানের তোচিগি কেনের আশিকাগা শি তেসুইয়ামা লুবনা, নার্গিস
আইরিন ও টুপ্পা মনির উদ্যোগে হয়ে গেলো পিঠা উৎসবের এক অপূর্ব আয়োজন। আড়াল হতে
এদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে মাইনুল হক দিদার, জাকির হোসাইন,সফিউল আলাম এবং
সুইয়ামা নোমান।
এই পিঠা উৎসবে টোকিও,চিবা,সাইতামা,গুনমা ও তোচিগি এলাকার ভাবিরা বাঙালি নব বধুর
সাজে অংশ গ্রহন করে সাথে ভাইদের পরনে ছিল বাঙালির প্রিয় পোশাক পাঞ্জাবি। আশি জন
মানুষের মিলন মেলায় পরিনত হয় এই পিঠা উৎসব।
দুপুরের খাবারে ছিল ভাবিদের হাতে তৈরি মজাদার নিরাভর্তা, বাদামভর্তা,
আলুভর্তা,কচুরছরাভর্তা, চিংড়িভর্তা, বেগুনভর্তা, মিষ্টিকুমড়াভর্তা ও রুই মাছের
ভর্তা। সাথে ছিল ডালের চচ্ছরি ও ঝাল গরুর মাংসের ভুনা।বাচ্চাদের জন্য ছিল চিকেন,
চপ ও ভেজিটাবল।
সবাই যখন দুপুরের খাওয়া খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছিল তখন আরম্ভ হয় সুইয়ামা নোমান
ও সফিউল আলমের পরিচালানায় দ্বিতীয় পর্বেরসাস্কৃতিক অনুস্টান। কাপলস গেইমে সবার
অভিনয়, বিশেষ করে ঝগড়ার অভিনয়, গানের সাথে নাচ সবার মন জয় করে নেয়। মুক্তাদির
ভাইয়ের দয়াল বাবার সাথে নাচ এবং জনি ভাইয়ের লুঙ্গি ড্যান্সের সময় সবার
অট্টহাসিতে হল কেঁপে উঠে।কাপলস গেইমে সুমধুর কণ্ঠেগান গেয়ে প্রথম পুরুস্কার জয়ী
হন মুন ভাবি। গানে গানে খেলার শেষ গানটি ছিল মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধাজানিয়ে
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানোএকুশে ফেব্রুয়ারি গানটি । এই গানটির সময় হলের সবাই
দাড়িয়ে এক্ সাথেকণ্ঠে মেলান সবার প্রিয় রেনু আনটির সাথে।
সাস্কৃতিক অনুস্টান শেষে ছিল মুল পর্ব পিঠা খাওয়া। ভাবিদের আন্তরিক চেষ্টাই হয়ে
ছিল হরেক রকমের পিঠার সমাহার।উল্লেখ যোগ্য পিঠার মধ্যে ননাসপিঁটা, পুলিপিঠা,
বিবিখানাপিঁটা , হাতেকাটা সেমাই পিঠা, রসমাধুরী পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, দুধ
চিতইপিঠা, ডিমেরপিঠা, লস্কর পিঠা, ডিমেরপানতোয়া, হৃদয় হরনপিঠা। সাথে ছিল রুমি
ভাবি স্পেশালমুগ পাকন, ফুল ঝুড়ি পিঠা,ঝিনুক পিঠা,ঝাল ফ্রাই চিপস ও ঝাল পিঠা
এবংপিঠা উৎসব উপলক্ষে তৈরি করা কাকলি ভাবির অপূর্ব সুন্দর কেক। মিষ্টানোর মধ্যে
ছিল রসগোল্লা, রসমলাই ও জিলাপি। মনে হচ্ছিল বাস্তুময় প্রবাস জীবন ছেড়ে সবাই যেন
একটি দিনের জন্য সবাই হারিয়ে গিয়েছিল ফেলে আসা প্রিয় বাংলাদেশের জীবনে। এত
চমৎকার একটি আয়জনের জন্য আয়োজকদের প্রতি রইল আন্তরি ধন্যবাদ। আবার এমন আয়োজন
করার জন্য অনুরোধ রইল ।
টুম্পামনি ও সুইয়ামা লুবনা
গুনমাওতোচিগিকেন,জাপান
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
|