[প্রথমপাতা] |
টোকিও বৈশাখী মেলায়
প্রাণের ঢল
|
|
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
এপ্রিল ১৬, ২০১২ ।।
রোববার টোকিওর
ইকেবুকুরোতে অবস্থিত
নিশিগুচি উদ্যানে
অনুষ্ঠিত হয়েছে
প্রবাসীদের প্রাণের মেলা
টোকিও বৈশাখী মেলা।
বরাবরের মত এবারও টোকিও
এবং টোকিওর বাইরে
জাপানের বিভিন্ন অংশ
থেকে হাজার হাজার বাঙালী
সমবেত হয়েছিলেন এই
অপরূপ মিলন মেলায়। এই
মহামিলন মেলায় অনেকেই
খুঁজে পান তাদের হারিয়ে
যাওয়া পুরোনো
বন্ধু-বান্ধবদের। শুধু
বাঙালীই কেন পৃথিবীর
বিভিন্ন দেশের
নাগরিকরাও জড় হন
বাঙালীর এই রমমরা মেলা
দেখতে। সেই সাথে অসংখ্য
জাপানিরাতো আছেনই।
মেলায় আগত এক জাপানি
কমিউনিটিকে তার
প্রতিক্রিয়ায় জানালেন,
"এ অপূর্ব। আমি এই নিয়ে
পরপর তিনবার এই মেলায়
এলাম। প্রতিবারই
সুস্বাদু তন্দুরি চিকেন
আর অন্যান্য লোভনীয়
খাবার থেকে নিজেকে সরিয়ে
রাখা দুস্কর।" তবে এবার
তিনি তন্দুরি চিকেনে গত
বছরের স্বাদ পাননি বলেও
জানালেন।
সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানের
উদ্বোধনের পর ছিলো
শিশুকিশোরদের অংশগ্রহনে
অনুষ্ঠান। এর মধ্যে
শিশুদের ফ্যাশন শো ছিলো
খুবই আকর্ষনীয়। এরপর
কোইয়ো গ্রুপের ঢোল বাজনো
-আগত দর্শকদের সবাই
উপভোগ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ
নেন এ বছর স্বাধীনতা
দিবসে সম্মান জানানো
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে
অবদান রাখা
বিদেশিদের
একজন তাকামাসু সুজুকি,
জাপানের সাবেক
প্রধানমন্ত্রী তাকাশি
হায়াকাওয়ার ছেলে ওসামু
হায়াকাওয়া, সাংবাদিক
নোকি উসুই'র স্ত্রী
উনিকো উসুই,
জাপান-বাংলাদেশ
পার্লামেন্টারি লিগের
চেয়ারম্যান নাকাইয়ামা
ইয়োশিকাসু, জাপানের
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী
কোবায়শি কোউকি এমপি,
তোশিমা-কু'র মেয়র তাকানো
ইউকিও, জেবিএস এর
প্রধান ওসামু ওৎসুবু,
তোশিমা-কু'র সংস্কৃতি ও
বানিজ্য বিভাগের প্রধান
মাসাকি সাইকি এবং জাপানে
বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত
রাষ্ট্রদূত ড. জীবন
রঞ্জন মজুমদার।
আগত এসব অতিথিদের ফুল
দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
মেলার থিম সং পরিবেশনের
পর তোশিমা-কু'র মেয়রের
হাতে বৈশাখী মেলা
কমিটির পক্ষ থেকে গত
বছরের প্রলয়ঙ্কারী
ভূমিকম্প ও সুনামিতে
ক্ষতিগ্রস্থদের
পুনর্বাসনের জন্য নগদ ৫
লক্ষ ইয়েন তুলে দেয়া হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে
সংগীত পরিবেশন করে
স্বরলিপি, উত্তরণ।
এবারের মেলা দেখতে আসা
ভোরের কাগজের সম্পাদক
শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ
প্রতিদিনের সম্পাদক নইম
নিজাম এবং বাংলাদেশ
ক্রিকেট দলের সাবেক
অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম
বুলবুলকে ফুল দিয়ে
শুভেচ্ছা জানানো হয়।
সবশেষে সংগীত পরিবেশন
করেন এবারের মেলার
আমন্ত্রিত শিল্পী
হায়দার হোসেন। তিনি
গনতন্ত্র, মুক্তিযোদ্ধা,
ফাইসা গেসি সহ তার বেশ
কতগুলো জনপ্রিয় গান
দর্শকদের উদ্দেশ্যে
পরিবেশন করেন।
মেলার শেষ ভাগে সকলে
মিলে মেলার গান 'মেলায়
যাইরে' পরিবেশন করা হয়।
সন্ধ্যার কনকনে শীতের
বাতাসের মধ্যে দিয়ে
মেলার যবনিকা নেমে আসে।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
|