[প্রথমপাতা] |
জাপানে প্রবাসী
বৌদ্ধদের পক্ষ থেকে
রাষ্ট্রদূতের নিকট
স্মারকলিপি প্রদান
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
অক্টোবর ২৮, ২০১২ ।।
সম্প্রতি কক্সবাজারের
রামু, টেকনাফ, উখিয়া,
পার্বত্য চট্টগ্রামের
কয়েকটি অঞ্চল ও
চট্টগ্রামের পটিয়া,
পদুয়া ও লাখেরার
ঐতিহ্যবাহী শতাধিক
বছরের বৌদ্ধ মন্দির এবং
বৌদ্ধ পল্লীতে ঘৃণ্যতম
আচমকা নারকীয় হামলার
প্রতিবাদে, জাপানে
স্থায়ী ভাবে বসবাসরত
বৌদ্ধদের পক্ষে একটি
প্রতিনিধি দল গেল ৪
অক্টোবর '১২, সন্ধ্যে
সাতটায়, টোকিওস্থ
বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে,
রাষ্ট্রদূতের সংগে দেখা
করে, সংঘটিত সেই
ধ্বংস-যজ্ঞের বিরুদ্ধে
তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ
প্রকাশ করেন।
জাপানে নব নিযুক্ত
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন
মোমেন বৌদ্ধদের সাথে
ঘন্টাখানেক বিস্তারিত
আলাপ করে, বর্বরোচিত
সেই ঘটনার জন্যে
ব্যক্তিগত ভাবে সত্যিই
তিনি লজ্জিত বলে দুঃখ
প্রকাশ করেন। পাশাপাশি
তিনি আরো বলেন- "সরকার
সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত
বিচারের লক্ষ্যে,
অত্যন্ত আন্তরিক এবং
এ'বিষয়ে জোর প্রচেষ্টা
চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি
মনে করি- কিছু দিনের
মধ্যেই সকল দোষী ব্যক্তি
ও সম্পৃক্ত গোষ্ঠিকে
বাংলাদেশ সরকার আইনের
আওতায় আনতে সক্ষম হবে।"
সবশেষে জাপানে বসবাসরত
বাংলাদেশের সকল
বৌদ্ধদের পক্ষ থেকে,
রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে,
সরকারের বরাবরে একটি
গুরুত্বপূর্ণ স্মারকলিপি
দেয়া হয়। এতে বৌদ্ধ
পল্লীতে ঝটিকা হামলায়
আহত ব্যক্তিদের যথাযথ
চিকিৎসা প্রদান,
ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীনদের
দ্রুত পুনর্বাসন এবং
যাবতীয় ক্ষতিপূরণ
প্রদান করা সহ ধ্বংস করে
দেয়া শতাধিক বছরের
ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ
মন্দির গুলো অনতিবিলম্বে
পরিপূর্ণ পুনঃস্থাপন ও
নির্মাণের সম্পূর্ণ
ব্যয় ভার সরকারি ভাবে
বহনের জন্যে জোরালো দাবি
জানানো হয়। একই সাথে,
প্রকৃত দোষীদের
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
দিয়ে, বাংলাদেশের
প্রত্যেক বৌদ্ধ
নাগরিকের সার্বিক
নিরাপত্তা প্রদান ও
ভবিষ্যতে এ'ধরনের
ন্যাক্কারজনক ঘটনার যাতে
পুনরাবৃত্তি না ঘটে,
সে'ব্যাপারে সরকার ও
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে
দ্রুত সন্তোষজনক
পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে
বলিষ্ট দাবিও জানানো হয়।
সেদিনের বৌদ্ধ প্রতিনিধি
দলে উপস্থিত ছিলেন-
অজিত কুমার বড়ুয়া,
শিমূল বড়ুয়া, সজল
বড়ুয়া, রাজেশ বড়ুয়া
(বাবু), দেবাশিষ বড়ুয়া
ও দানবীর বড়ুয়া।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
|