[প্রথমপাতা]

 

 

কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে মিলাঃ
বাবা চাননি আমি পেশাদার কণ্ঠ শিল্পী হই

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।।

বাংলাদেশে এখন মিলা অতিপরিচিত একটি নাম। নতুন প্রজন্মের কাছে মিলা এক আইডল। সম্প্রতি কণ্ঠশিল্পী মিলার সাথে কথা বলেছেন কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজের আমাদের ঢাকা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান।

কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজ : নতুন অ্যালবামের খবর কি?
মিলা : নতুন অ্যালবামের কাজ চলছে। এবারের অ্যালবামটি একটু সময় নিয়ে করতে চাচ্ছি। এরই মধ্যে কয়েকটি গানের কাজ শেষ করেছি। আশা করছি, ঈদে শ্রোতাদের মাঝে অ্যালবামটি পরিবেশন করতে পারব।

কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজ : বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে কিছু বলুন?
মিলা : সংগীত চর্চা ছাড়া আমার আর অন্য কোনো বিষয় নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। তবে এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে আমার পরিবারে সবাই মাতামাতি শুরু করেছেন। আমার পরিবারের সবাই আর্জেন্টিনার সমর্থক আর আমিও তাদের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছি।

কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজ : বিশ্বকাপ উপলক্ষে আপনি যে গানটি করেছেন, তা নিয়ে কিছু বলুন।
মিলা : ফুটবল নিয়ে আমার মাতামাতি না থাকলেও বিশ্বকাপ উপলক্ষে একটা গান করার ইচ্ছা ছিল। আর সেই ইচ্ছা থেকেই এ গানটি গাওয়া। এখনো প্রায় প্রতিটি চ্যানেলেই গানটি প্রচারিত হয়।

কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজ : মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুবাষির্ঞ্চকী উপলক্ষে কি করছেন?
মিলা : ছোটবেলা থেকেই মাইকেল জ্যাকসনের গানের প্রতি আমার এক ধরনের দুর্বলতা ছিল। আর যখন গানের চর্চা শুরম্ন করলাম তখন থেকেই একটু একটু মাইকেল জ্যাকসনের গান গাইতাম। এবার ২৪ জুন মাইকেল জ্যাকসনের স্মরণে আমি তিশমা ও শাফিন আহমেদকে নিয়ে একটি নতুন সংগীত আয়োজন করেছি। আগামী ২৫ জুন একুশে টিভি ও দেশ টিভিতে গানগুলো প্রচার হবে।

কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজ : গানের ভুবনে এলেন কিভাবে?
মিলা : আমার বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা আর মা গৃহিণী। বাবা চাননি আমি গানে পেশাদার হই। তবে মা চেয়েছেন আমি একজন ভালো কণ্ঠ শিল্পী হই। আমার মা ভালো গান করতেন। তার কাছেই আমার গানের হাতেখড়ি। তার কাছেই শিখেছি গানের সুর, তাল, লয়। তারপর ওস্তাদের কাছে।

কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজ : অ্যালবাম গুলো সম্পর্কে কিছু বলুন?
মিলা : আমার প্রথম অ্যালবাম ২০০৬ সালে 'ফেলে আসা'-এর অনেক গানই শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়। এর প্রায় এক বছর পর আমার দ্বিতীয় অ্যালবামটি আসে বাজারে। নাম 'চ্যাপটার টু'। গত রোজার ঈদে আমার তৃতীয় অ্যালবাম 'রি-ডিফাইন্ড' আসে বাজারে। এটি আমার বর্ষ শেষ একক অ্যালবাম ছিল। আর সম্প্রতি আমার চতুর্থ অ্যালবামটির কাজ চলছে।

কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজ : আপনার স্টুডিওটির খবর কি?
মিলা : এখন থেকে সব ধরনের কাজ করব এই স্টুডিওতে। আমার চতুর্থ অ্যালবামটির কাজও এখানেই করছি। আমি চেষ্টা করেছি রেকডিংয়ের সব রকম আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে স্টুডিওটি সাজাতে।

কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজ : চলচিত্রে গানের কি অবস্থা?
মিলা : কিছু দিন আগে বাংলাদেশের মুনসুন ফিলস ও কলকাতার যৌথ প্রয়োজনায় ' মোস্ট ওয়েলকাম' নামের চলচিত্রে অনন্য মামুন পরিচালিত একটি গানে আমি কণ্ঠ দিয়েছি। তাছাড়া 'বেইলি রোড' নামে একটি চলচিত্রে আমি আর বাপ্পা মজুমদার একসঙ্গে কাজ করেছি। এটি ছিল চলচিত্রে আমার আর বাপ্পা ভাইয়ের প্রথম কাজ।

কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজ : আপনি তো প্রায়ই দেশের বাইরে যান। ওখানকার শ্রোতাদের নিয়ে কিছু বলুন?
মিলা : গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাঙালিদের আয়োজনে এক উৎসবে গান করতে গিয়েছিলাম সেখানে। বিশটির মতো শো করেছি। সেখানে বাঙালির পাশাপাশি অনেক বিদেশি শ্রোতারাও ছিলেন। আমার কথা হলো আমি একজন ক্ষুদ্র শিল্পী। আমাকে যে এত মানুষ ভালোবাসে সেখানে না গেলে বুঝতাম না।

কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজ : সংগীত নিয়ে ভবিষ্যতের পরিকলনা কি?
মিলা : আমার এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়। আমি চেষ্টা করব ভালো কিছু কাজ করে শ্রোতাদের মনে ঠাঁই করে নিতে।
 

[প্রথমপাতা]