বাংলাদেশে বাইডেন নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ বাতিল, নতুন
রাষ্ট্রদূত নিয়োগ
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
বাংলাদেশ আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পদে পিটার হাসের উত্তরসূরী হিসেবে জো বাইডেন
নিযুক্ত ডেভিড মিলি'র নিয়োগ একেবারে শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়েছে। তার বদলে
নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন'কে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের পর মার্কিন সিনেট ও কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা
ইতিমধ্যেই রিপাবলিকানদের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। সিনেট ও কংগ্রেস
সদস্যদের সমম্বয়ে গঠিত কংগ্রেশনাল বডি'র শুনানিতে ডেভিড মিলির নিয়োগ বাতিল
হয়ে যায়।
আকস্মিক এই পরিবর্তনের ফলে একটি বিষয় প্রায় নিশ্চিত করে ধারণা করা হচ্ছে যে
বাংলাদেশের বিষয়ে আমেরিকা তার অবস্থান পাল্টাচ্ছে। রিপাবলিকানরা বাংলাদেশের
বিষয়ে বাইডেনের ভাবনার চেয়ে অন্য কিছু ভাবছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এ রকম ঘটনা অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে আমেরিকা করে থাকলেও এবার একটু
ব্যাতিক্রম ঘটছে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে। যদিও ২০০৬ সালে তৎকালীন মার্কিন
রাষ্ট্রদূত প্যাট্রিসিয়া বিউটিনিস'কে ১৪ মাস পরে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয় এবং
তার বদলে জেমস এফ মরিয়ার্টি'কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। সে সময়েও বাংলাদেশে
একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছিলো। তবে শেষ পর্যন্ত মরিয়ার্টি আর
বাংলাদেশে আসেননি। তার বদলে গীতা পাসি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করে যান।
যদিও বিশ্বরাজনীতিতে বর্তমান পরিস্থিতির সাথে সে সময়টার প্রেক্ষাপট ভিন্ন।
আগামী ১১ জানুয়ারিতে ট্রেসি জ্যাকবসন বাংলাদেশে তার দায়িত্বে যোগ দেবেন।
ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন একজন পেশাদার দক্ষ কুটনীতিক। ২০১৮ সালে তিনি অবসরে
যান, এবার তাকে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে বাংলাদেশে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যে সব
দেশের সাথে আমেরিকার বিরোধ রয়েছে বা যে সব দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি
টালমাটাল রয়েছে ট্রেসি জ্যাকবসন সে সব দেশে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি ইতিমধ্যেই কসোভো, রাশিয়া, ইথোওপিয়া, লাটভিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া,
আফগানিস্তানে মার্কিন প্রতিনিধির কাজ করেন। তাজিকিস্তান ও আফগানিস্তানে তিনি
বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।
এর থেকে ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি,
বাংলাদেশ-ভারত চলমান বিরোধের পাশাপাশি মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সীমান্তে
উত্তেজনার কথা বিবেচনা করেই ট্রেসিকে বাংলাদেশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যা
বাংলাদেশে মার্কিন নীতি পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আমেরিকার হাত রয়েছে বলেই ব্যাপকভাবে ধারণা
করা হয়। ভারতও এ কথাই মনে করে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও এ দাবি করে থাকে। এ
ছাড়াও বাংলাদেশে এ ধারণাটিই ব্যাপকভাবে মনে করা হয়। তাই বাইডেন মনোনীত
রাষ্ট্রদূত পরিবর্তিত মার্কিন নীতিকে বা ডোলান্ড ট্রাম্পের ইচ্ছাকে
প্রতিফলিত করবেন না এমন একটি ধারণা থেকে ডেভিড মিলিকে দায়িত্ব পালন থেকে
বিরত রাখার সিদ্ধান্ত এসে থাকতে পারে।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা]
|