|   প্রথমপাতা  |  প্রকাশের তারিখঃ Friday, March 15, 2024 17:05 |

 

বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির আলোচনা শুরু

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।।

বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (ইপিএ) বা অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাপানের সঙ্গে ইপিএ স্বাক্ষর বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের প্রক্রিয়া মসৃণ করবে। ইপিএর মাধ্যমে উভয় দেশের পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে।’ এ সময় তিনি জানান, স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে সহযোগিতা করে আসছে।

অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘ইপিএ চুক্তি কেবল শুল্ক কমানোর মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে না, পাশাপাশি কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স পদ্ধতি ও বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি ঘটাবে। ইপিএ নেগোসিয়েশনে পণ্য ও সেবার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কাস্টমস প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয় স্থান পাবে।’

এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে জাপান। টোকিওর বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জাপানি সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছিল, ২০২৫ সালের মধ্যে দুই দেশ এ বিষয়ে চূড়ান্ত চুক্তিতে উপনীত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

বাংলাদেশ ২০২৬ সালে জাতিসংঘের স্বল্প উন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। এর ফলে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোতে আর শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুযোগ পাবে না। কিন্তু অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির মাধ্যমে জাপানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিষয়টির প্রভাব মোকাবিলা করতে পারে।

টোকিওর আশা, বাংলাদেশকে এই সুবিধা দেওয়ার বিপরীতে তারাও বেশ কিছু সুবিধা পাবে। বিশেষ করে স্টিল ও বিভিন্ন ধরনের গাড়ি আমদানির ওপর শুল্ক কমাবে বলে আশা করছে টোকিও। বর্তমানে জাপানি স্টিল ও গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে যথাক্রমে ১০ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ শুল্ক আছে। দেশটির প্রত্যাশা, যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, তাই আগামী দিনে দেশে অবকাঠামোগত বিকাশের প্রয়োজন পড়বে। যেখানে জাপান অবদান রাখতে চায়।

এ ছাড়া দুই দেশ জাপানি চাল ও মাংসের ওপর শুল্ক কমানোর বিষয়টি নিয়েও আলোচন করে বলে জানিয়েছে নিক্কেই এশিয়া। এর বাইরে টোকিও আশা করছে, জাপান বাংলাদেশে কৃষিপণ্য রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব হবে।

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

 

[প্রথমপাতা]