ভুতের ভয় উপেক্ষা করেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা উঠছেন তার সরকারি
বাসভবনে
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা বলেছেন সামরিক বিদ্রোহের সাক্ষী
ঐতিহাসিক স্থানে ভুত থাকার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা গুজব সত্ত্বেও তিনি তার
সরকারি বাসভবনে যেতে আগ্রহী।
পূর্বসূরি ফুমিও কিশিদা পদত্যাগ করার পর অক্টোবরে নির্বাচিত ইশিবা ভবনটির
অসমাপ্ত পরিদর্শন ও মেরামতের কাজ স্থগিত রেখেছেন, তবে শীঘ্রই তিনি সরকারি
বাসভবনে গিয়ে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যদিও নিরাপত্তার কারণে তিনি তারিখ
নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
"আমি বিশেষ ভয় পাচ্ছি না," এক আকস্মিক সংবাদ সম্মেলনে বাসভবনটির ভূতুড়ে
পরিবেশ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ইশিবা বলেন, তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব
সেখানে চলে যেতে চান। "আসলে কিছু একটা দেখা ভয়ঙ্কর হতে পারে, কিন্তু এটি
এমন কিছু নয় যা নিয়ে আমরা চিন্তিত।"
১৯২৯ সালে নির্মিত এবং পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত এই
বাসভবনটিতে ১৯৩২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সুয়োশি ইনুকাইয়ের হত্যার মত
কাণ্ড ঘটেছিলো।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সুতোমু হাতার স্ত্রী ১৯৯৬ সালে এক স্মৃতিকথায়
লিখেছেন, তিনি যখন সেখানে থাকতেন তখন সেখানে এক ভয়ঙ্কর এবং পীড়িত কিছুর
উপস্থিতি অনুভব করতেন।
"সে সময়ে মাঝ রাতে সামরিক কর্মকর্তাদেরকে বাগানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেতো,"
ইয়াসুকো হাতা যোগ করেছেন, আসাহি শিম্বুন জানিয়েছে।
২০০০ সালের গোড়ার দিকে ব্যাপকভাবে সংস্কার করা এই ভবনটি ২০০৫ সাল থেকে
প্রধানমন্ত্রীদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে আসছে।
২০১৩ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ঐ ভবনে স্থানান্তর বিলম্বিত
হওয়ার কারণ হিসেবে সরকার ভবনটিতে ভূত থাকার বিষয়ের কথা অস্বীকার করে। আবে
এবং তার উত্তরসূরি ইয়োশিহিদে সুগাও সেখানে না থাকার সিদ্ধান্ত নেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে কিশিদা যখন সেখানে চলে আসেন, তখন তাকে ভূত সম্পর্কে
জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি উত্তর দিয়েছিলেন যে তিনি কোনও ভূত
দেখেননি এবং সারা রাত ভালো ঘুমিয়েছেন। রয়টার্স।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা]
|