@
জাপানে বাংলাদেশি শ্রম বাজার সম্প্রসারণের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ এবং
উত্তরণের সম্ভাব্য উপায়
@
@
@
মোঃ জয়নাল আবেদিন
৩০ মার্চ ২০২৩ তারিখের জাপান টাইমস এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জাপানে
শ্রমিক ঘাটতি দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে এবং যেহেতু ২০২৭ সাল থেকে জাপানে
Working Age গ্রুপের মানুষের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাবে, ২০৪০ সাল নাগাদ এই
ঘাটতি ১ কোটি ১০ লক্ষে পৌঁছাতে পারে। অপরদিকে, স্থানীয় শ্রমিকের চাহিদা
পূরণের পর বাংলাদেশেঅতিরিক্ত ২ কোটির অধিক Working Age গ্রুপের মানুষ রয়েছে
-যারাবৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে এবং এ ধারা ২০৪০ সাল
পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এভাবে,পরিসংখ্যানগত দিক থেকে
বিবেচনা করলে কর্মী গ্রহণকারী দেশ জাপানেকর্মী প্রেরণকারী দেশ বাংলাদেশের
শ্রম বাজার সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এছাড়া, বর্তমানে জাপানে
বসবাসকারী বিদেশীদের মধ্যে ৮৩% এর অধিক এশিয়ার দেশগুলো থেকে আগত এবং
বিশেষভাবে দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলো থেকে আগতদের সংখ্যা দিন দিন
উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েই চলছে। সুতরাং, উচ্চ বেতন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশের দেশ
জাপানে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বাংলাদেশি শ্রম বাজার ব্যাপকহারে সম্প্রসারণ করা
সম্ভব হলে, তা বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
বর্তমানে জাপানে আইটি ইঞ্জিনিয়ার ও স্পেশালিষ্ট ইন হিউম্যানিটিস/
ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস, নার্সিং কেয়ার, অটোমোবাইলমেইনটেন্যান্স, ড্রাইভিং,
মৎস্য প্রসেসিং এর পাশাপাশি গার্মেন্টস কারখানা, খাদ্য উৎপাদন কারখানা ,
হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি, নির্মাণ কারখানা, জাহাজ
নির্মাণ শিল্প, এভিয়েশন, সাধারণ নির্মাণ কাজ, কৃষি ফার্ম ইত্যাদিতে ১০০
প্রকারের অধিক বিভিন্ন ধরনের কাজে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
শ্রমিক ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বিদেশীদের জন্য জাপান সাধারণত নিম্নলিখিত ৩
ধরণের Working Visa প্রদান করে থাকেঃ
১। টেকনিক্যাল ইন্টার্ন (শর্ত সাপেক্ষে ৩-৫ বছর মেয়াদী)
২। বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী ( Specified Skilled Worker) (সাধারণত ৫ বছর
মেয়াদী)
৩। ইঞ্জিনিয়ার বা স্পেশালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস/হিউম্যানিটিস (
শর্ত সাপেক্ষে ১ বা ৩ – ৫ বছর মেয়াদী)
শর্তপূরণ সাপেক্ষে Visa পরিবর্তন বা নবায়নের মাধ্যমে যেকোনো বিদেশী
দীর্ঘদিন জাপানে অবস্থান ও কাজ করতে পারবে এবং ক্রমিক ২ ও ৩ -এ উল্লিখিত
Visa-ধারীগণ Dependent হিসেবে তার পরিবারের সদস্যদের জাপানে নিয়ে আসতে পারবে।
উল্লিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রে Visa প্রাপ্তির জন্য সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা/দক্ষতার
প্রয়োজন হয়। যেমন-
(১) টেকনিক্যাল ইন্টার্ন Visa প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিকে ১৮ বছর বা
তদুর্ধ্ব বয়সী হতে হবে। জাপানিজ ভাষার বেসিক স্কিল অর্জন অর্থাৎ JLPT N5
Level পর্যায়ের কোর্স / কমপক্ষে ১৬০ ঘন্টার জাপানিজ ভাষা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনোরূপ শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা নেই।
(২) বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী ( Specified Skilled Worker) Visaপ্রাপ্তির
ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিকে ১৮ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী হতে হবে। জাপানিজ ভাষার
JLPT N4 Level/JFT-Basic পরীক্ষায় পাস করতে হবে। এছাড়া, যে স্পেসিফিক
Field-এ কাজের জন্য নির্বাচিত হবে সেই Field এর Skill Test-এ পাস করতে হবে।
তবে এক্ষেত্রেও কোনোরূপ শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা নেই।
(৩) ইঞ্জিনিয়ার বা স্পেশালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস/হিউম্যানিটিস
Visa প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিকে ১৮ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী হতে হবে।
এক্ষেত্রে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট হতে হবে, অথবা জাপানের কোনো
Vocational School থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি Specialized Course সম্পন্ন
করতে হবে। এক্ষেত্রে, জাপানিজ ভাষার দক্ষতা অর্জনের বাধ্যবাধকতা নেই; তবে
ইঞ্জিনিয়ার ব্যতীত অন্যদের ক্ষেত্রে জাপানিজ ভাষার দক্ষতার Level যত High
হবে এবং অভিজ্ঞতা যত বেশি হবে, Visa প্রাপ্তির সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বর্ণিত ৩ টি Visa Category তেই বাংলাদেশিরা
জাপানে আসছে এবং জাপানিজ ভাষার JLPT N4 Level/JFT-Basic পরীক্ষা ছাড়াও ১৬টি
Field এর মধ্যে ৩টি স্পেসিফিক Field-এর Skill Test নিয়মিতভাবে বাংলাদেশে
অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যান্য Field এর Skill Test বাংলাদেশে শুরু করার লক্ষ্যে
জাপানের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও নিয়মিত
যোগাযোগ ও আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। উল্লেখ্য, ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত জাপানে
বাংলাদেশীদের সংখ্যা ছিলো ১৮০৫৫ যা জুন ২০২৪ -এ এসে দাঁড়িয়েছে ৩১৫৩৬ জনে,
অর্থাৎ জাপানে বাংলাদেশীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয় যে, Specified Skilled Worker (SSW)নিয়োগের বিষয়ে
জাপান এবং কর্মী প্রেরণকারী দেশগুলো বিশেষ গুরত্ব দিলেও বাস্তবিকপক্ষে
জাপানের Immigration Services Agency কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করলে
দেখা যায়, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে জাপানিজ Language School-এ
Student হিসেবে অধিক সংখ্যক বিদেশী কাজের উদ্দেশ্যে জাপানে প্রবেশ করছে এবং
Language Course সম্পন্ন করে উল্লিখিত ৩ টি Visa Category-তে জাপানে কাজ
করছে। এমনকি Language Course চলাকালীন একটি নির্দিষ্ট সময় খন্ডকালীন কাজ করে
পড়ার খরচ যোগাড় করার পাশাপাশি দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ করছে।ডিসেম্বর ২০২৪
-এ Immigration Services Agency কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, জাপানে
বসবাসকারী প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার নেপালির মধ্যে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন এবং
Specified Skilled Worker(SSW) এর মোট সংখ্যা মাত্র ৮০৯০ জন কিন্তু
Language School-এর Student ও স্পেশালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস/হিউম্যানিটিস
এর সংখ্যা ১ লক্ষাধিক।
উল্লেখ্য যে, Language School-এ Student হিসেবে জাপানে আসার জন্য একজন
ব্যক্তিকে ১৮ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সী হতে হবে। কমপক্ষে HSC/Equivalent
পরীক্ষায় পাস করতে হবে। জাপানিজ ভাষার বেসিক স্কিল অর্জন অর্থাৎ JLPT N5
Level পর্যায়ের কোর্স / কমপক্ষে ১৬০ ঘন্টার জাপানিজ ভাষা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
করতে হবে।এক্ষেত্রে জাপানে যেতে সেন্ডিং অর্গানাইজেশন বা Recruiting
Agency-কে মাধ্যমে হিসেবে ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা নেই।
এমতাবস্থায়, জাপানিজ ভাষার বেসিক কোর্স সম্পন্ন করে HSC/Equivalent
পরীক্ষায় পাস বা যেকোনো বিষয়ে স্নাতক (পাস/সম্মান) পাস করা লক্ষ লক্ষ
বাংলাদেশির জাপানে এসে নিরাপদ পরিবেশে উচ্চ বেতনে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এ
সুযোগকে কাজে লাগাতে পারলে জাপানে বাংলাদেশি শ্রম বাজার ব্যাপকহারে
সম্প্রসারণসম্ভব হবে।
বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জসমূহঃ
(১) যদিও ফেব্রুয়ারি ২০২৩ হতে Nursing Care (Care Giver), Agriculture ও
JFT-Basic (Japanese Language)এবং ডিসেম্বর ২০২৩ হতে Construction বিষয়ে
নিয়মিতভাবে প্রতিমাসে বাংলাদেশে Skill Test অনুষ্ঠিত হচ্ছে, অনুষ্ঠিত Skill
Test সমূহে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা এবং পাশের হার আশানুরূপ নয়। ফেব্রুয়ারি
২০২৩ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত Skill Test সংক্রান্ত
তথ্যাদি নিম্নরূপঃ
Field
Expected No. of Examinees
Actual No. of Examinees
Successful Examinees
Japanese (JFT-Basic)
9600 (Febf23-Junef24 )
1126
257
Nursing care
700 (Febf23-Mayf24 )
473
234
Japanese for Care Worker
700 (Febf23-Mayf24 )
288
158
Agriculture
1000(Febf23-Junef24 )
609
515
Construction
700 (Decf23- Junef24)
32
1
এমতাবস্থায়, জাপানে আসতে আগ্রহীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান ও পরীক্ষায়
অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
(২) অদ্যাবধি জাপানে কর্মী প্রেরণের জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৯০টির অধিক
সেন্ডিং অর্গানাইজেশন (Recruiting Agency)- কে অনুমোদন প্রদান করা হলেও
অনেক সেন্ডিং অর্গানাইজেশন এখন পর্যন্ত ১ জন কর্মীও প্রেরণ করেনি।
(৩) বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে স্বাক্ষরিত Memorandum of Cooperation-এর
আওতায় মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত Guidelines-এ উল্লিখিত প্রশিক্ষণার্থীর বয়স
ও শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত শর্তাবলীর সাথে BMET এর আওতাধীন TTC গুলোর
ভর্তি কার্যক্রমে নির্ধারিত প্রশিক্ষণার্থীর বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা
সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
(৪) বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত Skill Test ও Japanese Language Test-এ উত্তীর্ণদের
বিস্তারিত তথ্য জাপানের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে সহজপ্রাপ্য নয়।
(৫) জাপানের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের মতে, জাপানের শ্রমবাজারে কর্মী
প্রেরণকারী অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডকুমেন্ট প্রসেসিং-এ
অধিক সময়ের প্রয়োজন হয়।
(৬) TTC ও বিভিন্ন Private Language Training সেন্টারে জাপানিজ ভাষার যোগ্য/অভিজ্ঞ
Trainer এর অভাব।
(৭) কোনো বাংলাদেশি সেন্ডিং অর্গানাইজেশন (Recruiting Agency)বা বাংলাদেশি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির আওতায় কোনো জাপানিজ অর্গানাইজেশন বা
কোম্পানির জাপান থেকে নিজ খরচে ভাষা/দক্ষতা প্রশিক্ষণের জন্য Multiple
Entry-র সুবিধাসহ ১ বা ২ বছর মেয়াদে Trainer পাঠাতে চাইলে Visa প্রদানে
আইনগত জটিলতা সৃষ্টি হয়।
(৮) বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান্সমূহ Language School-এ Studentহিসেবে
বাংলাদেশীদের প্রেরণ ও Visa প্রাপ্তিতে নিম্নলিখিত প্রতিবন্ধকতাসমূহের
মুখোমুখি হয়ে থাকে মর্মে বাংলাদেশ দূতাবাস টোকিও-কে অবহিত করেছে:
(a) বাংলাদেশ থেকে University-র আওতা বহির্ভুত Japanese Language School-এ
টিউশন ফি পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে প্রাধিকার দেয়া নেই। এক্ষেত্রে
সকল ব্যাংককেই বাংলাদেশ ব্যাংক হতে কেসভিত্তিক অনুমোদন গ্রহণ করতে হয়।
(b) University-র আওতাভুক্ত Language School-এর ক্ষেত্রেও কোনো Student এর
অনুকূলে Certificate of Eligibility (COE) বের হবার পর ৩ মাসের মধ্যে ভিসা
নিয়ে জাপানে প্রবেশ করতে হয়। এক্ষেত্রে, প্রাধিকার না থাকায় বেশিরভাগ
ব্যাংকের অনীহা এবং কালক্ষেপণের কারণে টিউশন ফি পাঠাতেই প্রায় ১ মাস লেগে
যায়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সময়মতো Visa পাওয়া সম্ভব হয় না এবং ভর্তি বাতিল হয়ে
যায়।
(c) VSF/ এ্যাম্বাসী থেকে ভিসার আবেদন জমাদানের জন্য সিডিউল পেতেই অনেক সময়
১ মাস লেগে যায় । আবার আবেদন করার পর দেখা যায় কোনো কোনো Student এর ভিসা
হাতে পাইতে প্রায় ৬-৭সপ্তাহ পর্যন্ত লাগে। সম্পূর্ণ কার্যক্রমটি ৪ থেকে ৬
সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করা হলে ভর্তি বাতিলের ঝুঁকি থাকে না।
(d) যদিও জাপানের সংশ্লিষ্ট Language School Interview এর মাধ্যমে
স্টুডেন্ট বাছাই করে থাকে এবং Language School-এ Student হিসেবেগমনের
ক্ষেত্রে জাপানিজ ভাষার কোনো বিশেষ Level পাসের বাধ্যবাধকতা নেই, তবুও দেখা
যায়- JLPT N5 Pass থাকলে Interviewছাড়া ভিসা ইস্যু হয় কিন্তু NAT-Test অথবা
জাপানিজ ভাষার অন্য কোন Test -এ পাস থাকলেও Interview নিয়ে ভিসা প্রদান করা
হয় না। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, কিছু কিছু Student JLPT, NAT-Test ইত্যাদি কোনো
Test-এ পাস না থাকলেও এবং Interview ছাড়াই ভিসা পেয়ে যায়।
(e) অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে COE আসার পর যেখানে কোন ভিসা মিস হয় না,
বাংলাদেশে সেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক COE প্রাপ্ত Student ভিসা পায় না – ফলে
সংশ্লিষ্ট Language School গুলো বাংলাদেশি Student ভর্তির ক্ষেত্রে অনাগ্রহ
দেখায় এবং পরবর্তীতে Student গ্রহণ করে না।
চ্যালেঞ্জসমূহ ঊত্তরণের সম্ভাব্য উপায়ঃ
I. Bureau of Manpower Employment and Training (BMET) এর আওতাধীন
Technical Training Center (TTC)-সহ মন্ত্রণালয় হতে অনুমোদনপ্রাপ্ত Sending
Organizations এর নিজস্ব ট্রেনিং সেন্টার,বেসরকারি ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
ইত্যাদি এর মাধ্যমে যথাযথভাবে জাপানিজ ভাষা প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে।
II. বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত Skill Tests-এ জাপানিজ ভাষা প্রশিক্ষণ প্রদানকারী
প্রত্যেকটি TTC এবং অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রত্যেকটি Sending Organization হতে
নিয়মিতভাবে প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত
করতে হবে।
III. যেহেতু Japanese Language Proficiency Test (JLPT) পরীক্ষা বছরে
দুইবার অনুষ্ঠিত হয়, কিন্তু SSW হিসেবে জাপানে আসার জন্য প্রয়োজনীয় জাপানিজ
ভাষার দক্ষতা বিষয়ক JLPT N4 এর equivalent JFT-Basic পরীক্ষা প্রতি মাসে
অনুষ্ঠিত হচ্ছে; তাই JFT-Basic পরীক্ষায় অধিক সংখ্যক পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
নিশ্চিত করার জন্য অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি বাংলাদেশে JLPT
পরীক্ষা বাস্তবায়নকারীপ্রতিষ্ঠান JUAAB এবং জাপান দূতাবাস, ঢাকার সাথে
সমন্বয়ের মাধ্যমে JLPT-তে অংশগ্রহণকারীদের JFT-Basic পরীক্ষায় অংশগ্রহণের
বিষয়ে উৎসাহিত করা যেতে পারে।
IV. BMET এর আওতাধীন TTC-তে জাপানিজ ভাষা ও দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
গ্রহণকারীদের প্রয়োজনীয় তথ্যসম্বলিত তালিকা BMET, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে
প্রকাশ ও নিয়মিত হালনাগাদকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে,
মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত Sending Organization গুলো একদিকে যেমন demand
letter প্রাপ্তি সাপেক্ষে খুব সহজে বর্ণিত তালিকা থেকে যোগ্যপ্রার্থী বাছাই
করে জাপানে প্রেরণ করতে পারবে, অন্যদিকে জাপানে আগত কর্মীদের অতিরিক্ত অর্থ
খরচ এবং কারো দ্বারা প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
V. BMET এর আওতাধীন TTC-তে জাপানিজ ভাষা ও দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
গ্রহণকারীদের শুধুমাত্র IM Japan ( one of the biggest- among around 3000
of the type- supervising organizations of Japan) এর মাধ্যমে সীমিত সংখ্যক
কর্মী বিনা খরচে জাপানে প্রেরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জাপানে কর্মী
প্রেরণকারী অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইতোমধ্যে
নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা ফি বা নতুনভাবে পুনঃনির্ধারিত ফি প্রদানপূর্বক
অনুমোদনপ্রাপ্ত Sending Organizations এর মাধ্যমে BMET ও মন্ত্রণালয়ের
তত্বাবধানে অধিক সংখ্যক কর্মী প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।
VI. Students Category সহ Technical Intern Trainee (Ginou Jisshusei),
Specified Skilled Worker (SSW) (Tokute Ginou),Highly Skilled Worker (Gijin
Koku) ইত্যাদি বিভিন্ন Category তে জাপানে আসতে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ
প্রয়োজনীয় খরচ এবং বিনা খরচে আসার বিদ্যমান সুযোগের বিষয়ে জাপানে আসতে
আগ্রহীদের অবহিত করতে হবে এবং অতরিক্ত পরিমাণ খরচ গ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট
Sending Organizations/ Training Institutes এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
VII. দূতাবাস কর্তৃক চাহিদাপত্র সত্যায়নের পরে সংশ্লিষ্ট Sending
Organization কে ২ সপ্তাহের মধ্য মন্ত্রণালয়ে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা
দেয়ার জন্য নির্দেশনা দিতে হবে। অতঃপর জাপানে কর্মী প্রেরণকারী অন্যান্য
প্রতিযোগী দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মন্ত্রণালয়ে নিয়োগানুমতি এবং BMET
কর্তৃক Immigration Clearance Cardপ্রদানের কাজ ৭ দিনের মধ্যে সম্পন্নকরণের
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
VIII. BMET এর আওতাধীন Technical Training Center (TTC)-এ জাপানিজ ভাষা ও
দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মী
হিসেবে জাপানে গমনের পাশাপাশি StudentsCategory-তে জাপান গমনের যে সুযোগ
রয়েছে সে বিষয়ে অবহিত করতে হবে।
IX. BMET এর আওতাধীন Technical Training Center (TTC)-এ জাপানিজ ভাষা ও
দক্ষতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মী
হিসেবে জাপানে গমনের পাশাপাশি StudentsCategory-তে জাপান গমনের যে সুযোগ
রয়েছে সে বিষয়ে অবহিত করতে হবে।
X. স্বচ্ছতার সাথে জাপানিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কর্মী বাছাই ও এ
সংক্রান্ত কার্যক্রম সহজতর করার জন্য বাংলাদেশে ইতোমধ্যে শুরু হওয়া Skill
Test সমূহে বিভিন্ন field -এ উত্তীর্ণদের তালিকা BMET এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ
করা যেতে পারে।
XI. কোনো বাংলাদেশি সেন্ডিং অর্গানাইজেশন (Recruiting Agency)বা বাংলাদেশি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তির আওতায় কোনো জাপানিজ অর্গানাইজেশন বা
কোম্পানির জাপান থেকে নিজ খরচে ভাষা/দক্ষতা প্রশিক্ষণের জন্য Multiple
Entry-র সুবিধাসহ ১ বা ২ বছর মেয়াদে Trainer পাঠাতে চাইলে Visa প্রদানে
আইনগত জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/দপ্তর এর সাথে
আলোচনা করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া, জাপানিজ ভাষার Trainer
হিসেবে বাংলাদেশে Japan Overseas Cooperation Volunteers (JOCV) প্রেরণের
জন্য Economic Relations Division (ERD) এর মাধমে JICA কে অনুরোধ করা যেতে
পারে।
XII. জাপানিজ Language School এর ভর্তিচ্ছু বাংলাদেশি Student দের Visa
প্রদান সংক্রান্ত কার্যক্রম অন্যান্য দেশের ন্যায় সহজতর ও সময়াবদ্ধ করার
জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে Japan Embassy, Dhaka কে
অনুরোধ করা যেতে পারে।
XIII. বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক University-র আওতা বহির্ভুত Japanese
Language School-এ টিউশন ফি পাঠানোর অনুমতি এবং অন্যান্য সকল ব্যাংককে
প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের নির্দেশনা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে
অনুরোধ করা যেতে পারে।
-প্রথম সচিব (শ্রম)
@
@
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
@
[প্রথমপাতা]
@
|