প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

 এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

জাপানের 'কোচি'র জনপ্রিয় 'ইয়োসাকোই 'গ্রুপ নাচ প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে এক মনোরম সন্ধ্যা

 

 

 

কাজী ইনসানুল হক
উপদেষ্টা সম্পাদক, কমিউনিটি নিউজ ।।


আয়েজনটি কোচি প্রিফেকচারাল গভর্নমেন্টের,উদ্দেশ্য ঐতিহ্যবায়ী 'ইয়োসাকোই'কে আসন্ন টোকিও অলিম্পিকের আগেই ব্যাপক ভাবে পরিচিতি করা।YOSAKOI Promotional Event কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রনে গেল ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় টোকিওর কিনশিচোর TOBU হোটেলের কনভেনশন সেন্টারে উদযাপিত হলো এই জমকালো ইভেন্টটি।

একটি বিশেষ ব্যাক্তির ফোন কল আমাকে অনুস্ঠানে উপস্হিত থাকবার আগ্রহ জুগিয়েছে।তিনি ইয়াসুহারু ইনোইউয়ে ।জাপানে মোবাইল মসজিদ নির্মাণের আইডিয়াটা তার।

২০২০ সালে জাপানের রাজধানী টোকিওতে অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে। ওই সময় অন্যদের সঙ্গে বিশ্বের অনেক মুসলমানও দেশটিতে যাবেন। তাই জাপান সরকার 'মোবাইল মসজিদ' নামের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম বড় এই ক্রীড়া আসরকে সামনে রেখে এই 'মোবাইল মসজিদ' তৈরি করেছে জাপান সরকার। মোবাইল মসজিদের এ ধারণার জনক ইয়াসুহারু ইনোইউয়ে। এর আগে এথেন্সে ২০০৪ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকসে ফুটবাথ তৈরি করেছিলেন তিনি। এরপর ২০১২ সালে লন্ডন গেমসে এক অনুষ্ঠান আয়োজন করেন তিনি। কাতারে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গিয়ে মোবাইল মসজিদ বানানোর এ ধারণা তাঁর চিন্তার মধ্য আসে। তিনি বলেন, 'নামাজ পড়ার আরামদায়ক পরিবেশ তৈরির মধ্য দিয়ে মুসলমানদের ২০২০ সালে টোকিও অলিম্পিকসে আমন্ত্রণ জানাতে চাই।'i

 


টোকিওতে তার বানানো মোবাইল মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলাম।এবং কথায় কথায় টোকিওর অলিম্পিক শেষে কটি মোবাইল মসজিদ বাংলাদেশে সরকারীভাবে দেয়া যায় কিনা ,অনুরোধ করেছিলাম।

পশ্চিম জাপানের কোচি জেলা প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকা ভূস্বর্গ ।প্রশান্ত সাগরের নীল জলরাশী,পাহাড় আর নদীর বিমূর্ত সৌন্দর্যের লীলাভূমি।কোচি জেলার নিইয়োদো নদী সারা জাপানের সবচেয়ে পরিস্কার পানির নদী হিসেবে পরিচিত।মিখাইল নামের একজন বিদেশী ফটোগ্রাফার সারা জাপান ভ্রমণ করেন ও ছবি তোলেন তার মতে , কোচি অন্চলে দেখা ফিরোজা রঙের গিরিসংকট তিনি অন্য কোথাও দেখেননি।
ভারতের কেরালা রাজ্যে কোচি নামের শহরের সাথে নামের মিল আছে।

ইয়োসাকোই নাচ এই জেলা থেকেই এসেছে। ইয়োসাকোই, Yosakoi (よさこい)
জাপানের এক ধরনের ঐতিহ্যবাহী নাচ. সারা জাপান জুড়ে জনপ্রিয় গ্রূপ নাচ হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বাৎসরিক ইভেন্ট ও অঞ্চলভিত্তিক বাৎসরিক মেলায় এ নাচের ব্যাপকতা লক্ষ্য করা যায়।
মূলত ইউকাতা বা হাপি কোট পরে এই ধরনের নাচ পরিবেশন করা হয়।এই নৃত্যদল বেশ বড় হয়, এবং নাচগুলো হয় যথেষ্ট হৈ হুল্লুর করে. ইনস্ট্রুমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয় নারুকো নামের একটা খঞ্জনির মত বাদ্যযন্ত্র।
১৯৫৪ সালে প্রথম কোচি থেকেই তার সূচনা।কোচি প্রিফেকচার এর প্রসিদ্ধ Yosakoi Dance যা বর্তমানে জাপানের ২০০টি এলাকায় আইটেম নাচ ও বিশ্বের ২৮টি দেশে ফেস্টিভ্যাল হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ।
জাকজমক এ অনুস্ঠানে বিদেশী মিডিয়ার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশীদের মধ্যে আমি সহ রাহমান মনি,হাসিনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান পর্বে মূলধারার ইয়োসাকোই নারুকো নাচ পরিবেশন করা হয় Kochi Japanese Classical Dance Association এর Vice President Prof. :Wakayagi Yukimitsu র নেতৃত্বে।
আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন কোচির গভর্নর Masanao Ozaki ও সাবেক জাপানের আন্তজার্তিক রাগবী তারকা Takuma Saito.একান্ত আলাপচারিতায় তরুন রাজনীতিবিদ ও কোচির গভনর্র আগামীতে বাংলাদেশেও ইয়োসাকই পরিবেশনের আগ্রহ দেখান।
Kochi অঞ্চলের বিখ্যাত খাবার ,হস্তশিল্প সহ ভ্রমনপিপাসুদের জন্য কোচির দর্শনীয় স্থান সমূহ পরিদর্শনের নানা স্টলে দর্শকদের সমাগম দেখা যায়।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সবাইকে কোচির নানা খাবার,পানীয় ও ইয়োসাকোই নাচের জন্য জরুরী নারুকো সহ গিফট প্যাক ধরিয়ে দেয়া হয়।

kaziensan@gmail.com

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]