ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক
পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সতর্কবাণী
এ এম আর আলম
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে একটি পারমানবিক বিদ্যুত
কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ দেশের জন্য
ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। জনগন এ বিষয়ে তেমন অবগন নন এবং তাদের অবগতির
জন্যই এ নিবন্ধ।বাংলাদেশে বিদ্যুত ঘাটতি আছে বটে, এবং তা কখনো কখনো
মারাত্মক পর্যায় পৌঁছায় বটে কিন্তু এই ঘাটতি মোকাবেলার জন্য পারমানবিক
বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হলে মানুষ ক্যান্সারের মত দূরারোগ্য ব্যাধির
শিকার হতে পারে।
যদি কোন কারনে এই কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটে তবে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন হুমকির
মুখে পড়বে এবং তার ক্ষতিকর প্রভাবে কেন্দ্রের চারপাশের শত শত কিলোমিটার
এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ তখন শেখ হাসিনাকে আশির্বাদের বললে
অভিশাপ দেবে। যদিও ইতিপূর্বে এ দেশে একবার পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে
স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিলো কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় তা বাস্তবায়ন হয়নি।
উল্লেখ্য রাশিয়ার চেরেনোবিল পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর
তারাই আবার অন্যান্য দেশে বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনে সাহায্য দিচ্ছে।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে তাহলে বাংলাদেশের বিদ্যুত ঘাটতি কি করে মেটানো যাবে।
তা সহজেই সম্ভব যদি এদেশে বিপুল পরিমান অলস পুঁজি কাজে লাগানো যায়। এই পুঁজি
কিম্বা ব্যাংক লোন নিয়ে এদেশের প্রতিটি উপজেলায় মাত্র একটি করে ৫ মেগা
বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করেন তবে বাড়তি ২২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা
যাবে। অথচ তার জন্য বাড়তি বৈদেশিক ঋন ও তার সুদের বোঝা বইতে হবেনা। সুদ দিতে
হলেও তা এ দেশেই থাকবে। অতএব বিপুল বৈদেশিক মূদ্রা ব্যয়ে এই প্রকল্প
স্থাপনে বিরত থাকতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।
প্রসঙ্গত জার্মানিতে যে সব পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিলো
সচেতন জার্মান নাগরিকদের দাবির মুখে তার একটি একটি করে বন্ধ করে দেবার জন্য
জার্মান সরকার অংগীকারাবদ্ধ। এই পরিপ্রেক্ষিতে পারমানবিক বিদ্যুত কেন্দ্র
স্থাপন করা থেকে বিরত থাকার জন্য এদেশের সকল পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার
প্রতিষ্ঠানগুলোর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
[প্রথমপাতা] |