সাঙ্গ হলো জাপানে বাংলাদেশীদের সর্ব বৃহত্তম আয়োজন 'বিশতম বৈশাখী মেলা ও
কারি ফেস্টিভ্যাল ২০১৯'
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
এপ্রিল ২৩, ২০১৯ ।।
বছর ব্যাপী অপেক্ষায় থাকা বিশতম বৈশাখী মেলা ও কারি ফেস্টিভ্যাল ২০১৯
অত্যন্ত সাফল্যজনক ভাবেই সমাপ্ত হয়েছে। বরাবরের মতোই এবারের আয়োজনেও
প্রবাসীদের ঢল নেমেছিল। পরিনত হয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশীদের মিলন মেলা।
মেলাটি পরিচিতি পেয়েছিল জাপানে একটুকরো বাংলাদেশ।
২১ এপ্রিল ২০১৯ রোববার টোকিওর প্রাণকেন্দ্র তোশিমা সিটির হিগাশি ইকেবুকুরো
পার্কে দিনব্যাপী এই মেলায় আগমন ঘটেছিল ধর্ম-বর্ণ-দল-মত নির্বিশেষে
সর্বস্তরের প্রবাসীর। শুধু প্রবাসীরাই নয়, স্থানীয় জাপানি অতিথি ছাড়াও
বিভিন্ন দেশের নাগরিকগণ হিগাশি ইকেবুকুরো পার্কে দিনব্যাপী একচিলতে
বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশীয় সংস্কৃতি উপভোগ করেন।
জাপানে বসবাসরত সবার অংশগ্রহণে হয়ে ওঠে জাপান বৈশাখী মেলা। তাই তো জাপানের
বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং তাদের সুহৃদগণ স্বতঃস্ফূর্ত
অংশগ্রহণে মেলা আর মেলাতেই সীমাবদ্ধ থাকে না, হয়ে ওঠে মহামিলন মেলা। তাই
বৈশাখী মেলা হয়ে ওঠে জাপান প্রবাসীদের একক এবং বৃহৎ মিলন মেলা।
মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। বিশেষ
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু
ইজুমি, তোশিমা সিটি ডেপুটি মেয়র মাসাতো সাইতো, জে,বি,এস সভাপতি ওসামু ওতসুবো।
অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ এবং মেলা কমিটির পক্ষ থেকে উপহার প্রদান করা হয়।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাপান-বাংলাদেশ সোসাইটি'র প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশে
নিযুক্ত জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাতসুশিরো হোরিগুচি।
এবার দেশ থেকে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ সৈয়দ আশিকুর
রহমান আশিক এবং চ্যানেল ৯ পাওয়ার ভয়েস রেশমি মির্জা। যন্ত্রে এসেছিলেন
প্রখ্যাত আনিসুর রহমান রাসেল, , পারকাশনিস্ট ও ড্রামার খাদিমুল ইসলাম রাসেল
এবং কি-বোর্ডে সৌরভ কুমার।
আমন্ত্রিত শিল্পীদের মধ্যে সৈয়দ আশিকুর রহমান আশিক প্রবাসীদের মন ভরাতে
সক্ষম হলেও রেশমী মীর্জা তেমন সাড়া জাগাতে পারেননি।
এছাড়াও প্রতিবছরের মতো এবারও শিশুদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন,
উন্মুক্ত অনুষ্ঠান, এবং স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বরলিপি কালচারাল একাডেমী
টোকিও এবং উত্তরণ বাংলাদেশ কালচারাল গ্রুপ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
জাপানী অনুষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আগত জাপানী ব্যান্ড 'বাজনা
বিতো'সঙ্গীত পরিবেশন করে। এছারাও প্রতিবছরের মতো জাপানী ঢাক পরিবেশন করে কো
য়ু দল।
এবছর মেলাতে ১৬টি খাবারের দোকান সহ মোট ২৬টি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পসরা
সাজাবার সুযোগ পায়। মোট ৫২টি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান আর্থিক সহযোগিতার হাত
বাড়ান।
দিনব্যাপী আয়োজনটির উপস্থাপনার দায়িত্ব পালনে ছিলেন জুয়েল আহসান কামরুল,
নারমিন হক এবং নিয়াজ আহমেদ জুয়েল। অতিথি সম্বর্ধনা পর্বটি পরিচালনা করেন
মেলার প্রধান সমন্বয়ক ডঃ শেখ আ্লীমুজ্জামান এবং সহযোগিতা করেন নিয়াজ আহমেদ
জুয়েল , জুয়েল কাম্রুল আহসান ও শেখ আমিনা।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |