বাংলাদেশের অভ্যন্তরে টেকনাফের কিছু অংশ দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মিঃ আরও
অঞ্চল হাতছাড়া হওয়ার আশংকা
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
১৬ই ডিসেম্বর ভারতীয় উপমহাদেশের জনগণের জন্য ছিলো একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন।
১৯৭১ সালের এই দিনে, ৯৩,০০০-এরও বেশি পাকিস্তানি সৈন্য ঢাকায় মিত্রবাহিনীর
কাছে আত্মসমর্পণ করে, যা যুদ্ধের সমাপ্তি এবং স্বাধীন জাতি হিসেবে
বাংলাদেশের জন্মের সূচনা করে। তবে, ৫৪ বছর পরে, বাংলাদেশ তার সার্বভৌমত্ব
এবং নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ এক অভূতপূর্ব সংকটের
মুখোমুখি হচ্ছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী, আরাকান আর্মি (এএ)
বাংলাদেশের টেকনাফ অঞ্চলের কিছু অংশ দখল করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এবং
বাংলাদেশের বিখ্যাত সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কাছাকাছি থাকার কারণে এই অঞ্চলটি
কেবল কৌশলগতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয় যথেষ্ট সংবেদনশীলও বটে।
টিভি৯-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, সীমান্তে আরাকান সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশি
বাহিনীর মধ্যে একাধিকবার গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রের দাবি,
আরাকান সেনাবাহিনী বাংলাদেশি ভূখণ্ডের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে
বাংলাদেশ সরকার এখনও এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, আরাকান আর্মি মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বিশাল
অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং এখন তাদের দৃষ্টি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী
অঞ্চলের দিকে। মংডুর মতো অঞ্চলে সাফল্যের পর, তাদের কৌশল অত্যন্ত
আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে। মনীশ ঝা-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আরাকান আর্মি
সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মতো কৌশলগত এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারের জন্য
বাংলাদেশের দুর্বল সীমান্তকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা]
|