প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

 এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

হোলি আর্টিজান-এ নিহতদের শ্রদ্ধ্বাভরে স্মরণ করলো জাপান প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। জুলাই ৪, ২০১৮ ।।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ১৭ জন বিদেশী বন্ধু সহ হামলা'র শিকার নিহত সকল কে শ্রদ্ধ্বাভরে স্মরণ করেছে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি । নজিরবিহীন নারকীয় ওই হত্যাকান্ডে ৭ জন ছিলেন জাপানিজ যারা , বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজে জড়িত ছিলেন ।

১ জুলাই রোববার টোকিওর কিতা সিটি আকাবানে বুনকা সেনটার বিভিও হলে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের দুতালয় প্রধান ও প্রথম সচিব মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন সহ প্রবাসী সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী মিডিয়া কর্মীবৃন্দ, এবং সর্বস্তরের প্রবাসীরা ।

সভার শুরুতে দুতালয় প্রধান মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন এর নেতৃত্বে প্রবাসীরা নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে পুস্প স্তবক অর্পণ এবং দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন ।

উপস্থিতদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট হাসিনা বেগম রেখা , আনাফ হিরোকি , আবুল খায়ের , আব্দুল কুদ্দুস , মোল্লা দেলোয়ার হোসেন , বিমান কুমার পোদ্দার , এ জেড এম জালাল , এনামুল হক , চৌধুরী লিটন , চৌধুরী শাহীন , আশরাফুল ইসলাম শেলি , মীর রেজাউল করিম রেজা , সালেহ মোঃ আরিফ , মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন প্রমুখ ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য অসাম্প্রদায়িক চেতনার। এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। সেই জায়গাটিতে ১ জুলাই ২০১৬ হলি আর্টিজানের নারকীয় ঘটনা একটি বড় ধরনের আঘাত। জাতি হিসেবে আমরা কখনোই ভাবিনি বাংলাদেশের মাটিতে এমন ধরনের জঘন্য ঘটনা ঘটতে পারে। বাঙালি জাতি এজন্য প্রস্তুত ছিল না। কারণ কোনো বাঙালি এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে না। এটা আন্তর্জাতিক কোনো সন্ত্রাসী ঘটনার যোগসূত্র হতে পারে।

বক্তারা আরও বলেন, জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। জাপানিরা আমাদের পরম বন্ধু। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময় থেকে শুরু করে অদ্যাবধি জাপান আমাদের দেশে অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন উন্নয়নে অবদান রেখে আসছে। যে ৭ জন জাপানিজকে হত্যা করা হয়েছে তারাও বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করতে গিয়েছিলেন অথচ তাদেরকে লাশ হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে।

তারা , যে সাতজন জাপানি নিহত হয়েছেন তাদের সবার নামে একটি করে মেট্রো রেল ষ্টেশন এর নাম রাখার দাবী জানা । যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে এলাকার নামের সাথে নিহত জাপানিজ নাম জুড়ে নাম রাখার প্রস্তাব রাখেন ।

বক্তারা বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সরকারের কাছে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে অবিলম্বে বিচারের মাধ্যমে শাস্তির দাবী জানান ।

দুতালয় প্রধান মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন বলেন ,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে এমন একটি ঘটনা অত্যন্ত দুঃখ জনক । বিশ্বের বহু দেশেই এমনটি ঘটছে একাধিক বার । যেটা কারোর –ই কাম্য নয় । তবে , আশার আলো হচ্ছে জনগনের সার্বিক সহযোগিতায় আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অনেকটাই সতর্ক রয়েছেন । আমরা প্রাথমিক ধাক্কাটা সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি ।

জাপানিরা ইতোমধ্যে আমাদের দেশে পুনরায় যেতে শুরু করেছে । এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন । কারন আপনারা সর্বদা জাপানীদের সাথে মিশে থাকেন । আপনারাই তাদের ভালো বুঝে থাকেন এবং তারা ও আপনাদের কথায় বিশ্বাস রাখবেন ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গোলাম মাসুম জিকো । পৃষ্ঠপোষকতা করেন চৌধুরী শাহীন , মীর রেজাউল করিম রেজা , আশরাফুল ইসলাম শেলি , গোলাম মাসুম জিকো ।

সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন রাহমান মনি ।

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]