|
অতিরিক্ত শুল্কবৃদ্ধি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জি সেভেনের অন্য সদস্যরা
ঐক্যবদ্ধ

কমিউনিটি নিউজ ।। জুন ৪, ২০১৮ ।।
জাপানে মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকা সংগঠনের সংখ্যা এবং কর্মতৎপরতা তেমনটি
না থাকলেও এশিয়ান পিপলস ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি বা সংক্ষেপে এ,পি,এফ,এস বরাবর ই
ব্যাতিক্রম ছিল এবং এখনো আছে ।
এশিয়া থেকে আগত অভিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় ১৯৮৭ সালের ২০ ডিসেম্বর টোকিওর
ইতাবাশি সিটির তৎকালীন সানবুন হল ( যা বর্তমানে গ্রীন হল হিসেবে পরিচিতি
লাভ করেছে ) এ মাত্র ২২ জন অভিবাসী নিয়ে এ,পি,এফ,এস যাত্রা শুরু করে । যার
২১ জন ই ছিল বাংলাদেশী । সেই থেকে সংগঠনটি প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ
করে আসছে ।
বিশ্ব শ্রমিক দিবস ( মে ডে ) জাপানে সাধারন ছুটি কিংবা সরকারী কোন উদ্যোগে
কোন কর্মসূচি না থাকলেও এপিএফএস নিয়মিত ভাবেই তা পালন করে আসছে সংগঠনটির
প্রাণপুরুষ মানবাধিকার কর্মী কাতসুও ইয়োশিনারি'র সরাসরি তত্বাবধানে ।
১৯৯০ সালের এপ্রিল মাসে জাপান সরকার অভিবাসী ভিসা ও রিফুজি আইনের সংস্কার
করলে অভিবাসীদের অনেকেই তার সঠিক তথ্য জানা থেকে বঞ্চিত ছিলেন । এপিএফএস
তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসলে দূরদূরান্ত থেকে পরামর্শের জন্য প্রতিদিন ই
প্রায় শতাধিক অভিবাসী এপিএফএস এর শরণাপন্ন হতে থাকেন । এপিএফএস ও সাধ্যমতো
সহযোগিতার হাত বাড়াতে থাকে ।
প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এপিএফএস নিয়মিতভাবে অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে তাদের সভা
করে আসছে ।
তার-ই ধারাবাহিকতায় ৩ জুন ইতাবাশি'র গ্রীন হল-এ ( এই হলেই এপিএফএস প্রতিষ্ঠা
পেয়েছিল ) অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য এ,পি,এফ,এস একটি সভা করে । এবারের সভাটি
ছিল এপিএফএস এর ১৯তম ।
১৯তম সভাতে জাপান এবং জাপানের বাহিরে অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে
মুল বক্তা ছিলেন জচি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা তানাকা মাসাকো ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইনুয়ে আতসুকো , ওয়াতাদো ইচিরো , নোরো ইয়শিআকি এবং
এপিএফএস'র প্রতিষ্ঠাতা কাতসুও ইয়োশিনারি ও সাধারন সম্পাদক হাসান ।
অভিবাসীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন গিলবারট ডেগুজমান ( ফিলিপাইন ) , মাউতা
( মিয়ানমার ) , রাহমান মনি ( বাংলাদেশ ) , কাজী ইনসান ( বাংলাদেশ ) ,
জেস্রিল আনবারভিনা ।
অভিবাসী বক্তারা , জাপানে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা এবং বিভিন্ন বঞ্চনার কথা
তুলে ধরে এবং সেই সময় এপিএফএস এর সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন ।
কাতসুও ইয়োশিনারি বলেন , একটা সময় ছিল অভিবাসীরা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও
জাপানে বসবাস করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন । নিজে স্বচ্ছল হয়েছেন , পরিবারের
উন্নতি ঘটিয়েছেন এবং একই সাথে জাপান অর্থনীতিতে অবদান রেখেছেন । কিন্তু
একশ্রেনীর জাপানী মালিক রয়েছেন যারা , বীমা না করে , জাপানের আইন অমান্য করে
প্রবাসী শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছেন । যা আইনের দৃষ্টিতে
অবৈধ বা ইলিগ্যাল । ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও থাকার চেয়ে আইন
অমান্যকারী মালিকবনে যাওয়ারা আরো বেশী খারাপ । আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো
, আপনারা যে যেই কোম্পানি তে কাজ করেন না কেনো অবশ্যই বীমার অধীনে থাকবেন ।
তিনি আরো বলেন , এপিএফএস অতীতে যেমন আপনাদের পার্শ্বে ছিল , আগামীতেও থাকবে
। আমরা সবাই মিলে সকল অন্যায় মোকাবেলা করবো ।
১৯তম সভার ঘোষণা ইংরেজী ভাষায় জেড্ডী নিকোলাস আস্রিদি এবং জাপানী ভাষায় পাঠ
করে শোনান মোনফি সিসিলিয়া আমানকাওয়া ।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
|