প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

জাপানে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত
 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। অক্টোবর ৪, ২০১৭ ।।

দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ পূজা শুধু বাঙালি হিন্দুদের ভেতরই সীমাবদ্ধ নয়। সম্প্রদায়ের গণ্ডি পেরিয়ে দুর্গোৎসব আজ জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।এ দুর্গোৎসবকে ঘিরে সকলের মধ্যে গড়ে উঠে এক সৌহার্দ্য-প্রীতি ও মৈত্রীর বন্ধন।

জাপানে সাড়ম্বড়ে পালিত হয়েছে সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা । দুর্গা পূজা পালন উপলক্ষে টোকিওর কিতা সিটি আকাবানে কিতা কুমিন সেন্টার এ সজ্জিত করা হয়েছিল অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ

১ অক্টোবর রোববার অস্থায়ী এই পূজা মন্ডপে প্রবাসী বাঙ্গালীদের ঢল নেমে ছিল । শুধুমাত্র পূজারী কিংবা সংশ্লিষ্টরা গিয়েছিল তা কিন্তু নয় । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশের ঐতিহ্য অনুযায়ী দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্ব স্তরের প্রবাসীদের পদচারনায় মুখরিত ছিল পূজা মণ্ডপ । বিশেষ করে শিশুকিশোরদের আনন্দ উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো । কারন পূজায় আনন্দ করার বয়সটা যে ওদেরই ।

সকাল ১১ টা থেকে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও দুপুর ১ টায় অঞ্জলী দেওয়ার পর পূজার প্রসাদ বিতরনের মধ্য দিয়ে তা পরিপূর্ণতা পায় । সন্ধ্যা পর্যন্ত এই প্রসাদ বিতরণ অব্যাহত থাকে ।

বেলা ৩টা৩০থেকে শুরু হয় পূজা বিষয়ক ধর্মীয় আলোচনা পর্ব । এতে প্রধান অতিথী হিসেবে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও , তিনি জাপানের বাহিরে থাকার কারনে তার পরিবর্তে দূতাবাসের কাউন্সেলর ( শ্রম ) মোঃ জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন ।

তনুশ্রী গোলদার বিশ্বাসের উপস্থাপনায় পূজা বিষয়ক আলোচনায় অংশ নেন সার্বজনীন পূজা কমিটি জাপান'র সভাপতি শ্রী সুনীল রায় , সহ সভাপতি তাপস সাহা , সাধারন সম্পাদক রতন বর্মণ , উপদেষ্টা শ্রী সুখেন ব্রহ্ম , মোঃ জাকির হোসেন প্রমুখ ।

সুখেন ব্রহ্ম দুর্গাপূজার তাৎপর্যে ধর্মীয় ব্যাখ্যা দেন । তিনি জাপানী ভাষায়ও তা তর্জমা করেন । দুতাবাস কাউন্সেলর ( শ্রম ) মোঃ জাকির হোসেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান ।

আলোচনা পর্ব শেষ হলে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ।পরিচালনায় ছিলেন ববিতা পোদ্দার । প্রথমেই শিশুদের পর্ব ছিল । একঝাক শিশু এতে অংশ নিয়ে মন্ত্র পাঠ , গল্প ,নাচ , গান , আবৃতি পরিবেশন করে ।

এরপর সৌখিন শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন এবং সবশেষে উত্তরণ ভক্তিমূলক গান ও কীর্তন পরিবেশন করে বরাবরের মতো ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হলে শুরু হয় ঢাকের শব্দে ধুনচি ধুনট হাতে নৃত্যের তালে তালে চলে নাচ। পরিশেষে আরতি, সিঁদুর খেলা, মিষ্টিমুখ ও আলিঙ্গনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের পূজার সকল আয়োজন ।।
 

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]