জাপানে চালের দাম বাড়ার আশায় মজুদ করা হচ্ছে বলে সন্দেহঃ রিজার্ভ থেকে চাল
ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে

কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
জাপান সরকার চালের দাম ঊর্ধ্ব্মুখী ঠেকাতে সরকারের নিজস্ব স্টক থেকে চাল
বাজারে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কৃষিমন্ত্রী তাকু ইতো শুক্রবার বলেন,
আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পরিমাণ এবং মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা
হবে।
যদি এই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে বিতরণ ঘাটতি দূর করার উদ্দেশ্যে
এটি হবে জাপানের প্রধান খাদ্যশস্যের মজুদ প্রথমবারের মতো খোলা বাজারে ছেড়ে
দেওয়ার ঘটনা, যার ফলে চালের দাম কমতে পারে।
"যদি দাম আরও বাড়ে, তাহলে ভোক্তারা চাল খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিতে
পারেন," এক সংবাদ সম্মেলনে ইতো বলেন।
একই দিনে প্রকাশিত সরকারি পারিবারিক ব্যয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে, একটি
পরিবারের বাজেটের কত অংশ খাদ্যের পিছনে ব্যয় হয় তার সহগ, ৪৩ বছরের মধ্যে
সর্বোচ্চ ২৮.৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
চালের দাম এখনও বেশি, ডিসেম্বরের ভোক্তা মূল্যের তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে যে
এক বছর আগের তুলনায় চালের দাম ৬৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থিতিশীল চাল
সরবরাহকারী একটি সংস্থার জানুয়ারিতে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে আগামী
তিন মাসে দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে।
সরকার কৃষি সমবায় এবং অন্যান্য পাইকারদের কাছে মজুদকৃত চাল বিক্রি করার
পরিকল্পনা করছে এই শর্তে যে সরকার এক বছরের মধ্যে একই পরিমাণ চাল পাল্টা
কিনতে পারবে।
গত মাসে, কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয় ক্রমবর্ধমান দাম মোকাবেলার পদক্ষেপ
হিসেবে মজুদকৃত চাল বাজারে ছাড়ার নীতি শিথিল করেছে। এই মজুদ রাখা হচ্ছিলো
খারাপ ফসলের সময়গুলি মোকাবেলা করার জন্যে।
"(এই ব্যবস্থা) বাস্তবায়ন না করা বাস্তবসম্মত বিকল্প নয়," ইতো বলেন।
গত গ্রীষ্ম থেকে চালের চাহিদা তীব্র হয়েছে, ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রধান
পরিবেশকদের মজুদের পরিমাণ এক বছর আগের তুলনায় ২১০,০০০ টন কমেছে, যদিও ২০২৪
সালে ধানের উৎপাদন ১৮০,০০০ টন বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সন্দেহ, পাইকার এবং কৃষকরা আরও দাম বৃদ্ধির আশায় চাল মজুদ
করছেন। কিয়োদো।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা]
|