প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

 এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

কানাগাওয়াতে বৈশাখী পিঠা উৎসব

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। মে ১০, ২০১৬ ।।

বাংলাদেশে কত রকম পিঠা আছে? পরিচিত-অপরিচিত অসংখ্য পিঠা, নানান রকমারি তাদের নাম -বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হরেকরকম সব পিঠা নিয়ে রাজধানী টোকিওর দক্ষিণে কানাগাওয়াতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো "বৈশাখী পিঠা উৎসব"। প্রবাসীদের দেশে বসেও যে সব পিঠা খাওয়ার সুযোগ হয়নি সেই সুযোগ যেন এনে দিয়েছিলো এই পিঠা উৎসব।

অবশ্য নামে পিঠা উৎসব হলেও এর ব্যপ্তি ছিলো আরো অনেক। ২০ রকমের ভর্তা, ২৫ রকমের পিঠা সহ আরো নানান ধরনের স্বাদে রসনা ছিলো পরিতৃপ্ত।

 



কানাগাওয়ার ভাবীদের আন্তরিক পরিশ্রমের ফসল এই অনুষ্ঠানটি। দুপুরে বাঙালী স্বাদের নানান খাবার সাথে ভর্তা, সাদা ভাত, পোলাও, চিকেন রোস্ট, গরুর রেজালা, সালাদ -যার যেটা খুশী খান। দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

প্রথমে এক দল শিশু দলবদ্ধ হয়ে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত পাঠ করে। এরপর মঞ্চে চলে আসে সব শিশুরা, আর মঞ্চের বাইরে বড়রা -সবাই মিলে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে ওঠেন। বিদেশ বিভূঁইয়ে দেশ থেকে অনেক দূরে সবার অন্তরের গান "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি" গাইতে গিয়ে অনেককেই কিছুটা আবেগ তাড়িত হয়ে উঠতে দেখা যায়।
 


শিল্পী খালিদ হাসান মিলু'র একটি মা'য়ের গানের মাধ্যমে মা দিবসের বিশেষ একটি পর্ব ছিলো। সবাইকে দেয়া হয় একটি সাদা কাগজ। সকলে নিজেদের মা'কে মনে করে ছোট্ট করে বার্তা লিখে দেন।

এরপর শুরু হয় শিশুদের পরিবেশনায় নাচ, গান, ছড়া, বাঁশি সহ বিভিন্ন আয়োজন। টোকিওর সুপরিচিত কবি মঈনুল ইসলাম মিল্টনের কবিতা আবৃত্তি করেন ববি রহমান, তিনি কবির সাথেও দ্বৈতভাবে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। এ ছাড়াও কবিতা আবৃতি করেন শাহীন আক্তার স্বাতি। অনুষ্ঠানে গান গেয়ে শোনান, ইলিয়াস মুন্সী, তোফাজ্জল হোসেন তপু, কাজী আরিফ, স্বপন মিয়া।
 


অনুষ্ঠানে চ্যানেল আই এর জাপান প্রতিনিধি কাজী ইনসানুল হক তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সবচেয়ে কম বয়সী ভাবী, সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজন ভাবী এবং যিনি সবচেয়ে বেশি সন্তানদের সামলিয়ে পিঠা সহ খাবার বানিয়েছেন তাদের হাতে তিনটি উপহার তুলে দেন।

এ ছাড়াও অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিলো ছোটদের মিউজিক্যাল চেয়ার এবং ভাবীদের পিলোপাসিং।
 


সন্ধ্যায় ছিলো রসগোল্লা, সিঙ্গারা, লাড্ডু, দই, বিভিন্ন রকমের ফল আর নানান রকমের পিঠা। এতো খাবার তো খেয়ে শেষ করাই ছিলো মুশকিল।

সবশেষে সবইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে পিঠা উৎসবের যবনিকা টানা হয়।

অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন আহামেদ জহির কাজল, সুমন রহমান, স্বপন মিয়া এবং জেড এম আবুসিনা।

এবারের অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন নদী সিনা এবং জেড এম আবুসিনা।

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]