|
জাপানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে
লাল গালিচা সংবর্ধনা
বাসস ।।
মে ২৭, ২০১৬ ।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাপান
পৌঁছলে তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র আমন্ত্রণে এখানে অনুষ্ঠিতব্য শিল্পোন্নত
দেশসমূহের সম্মেলন জি-৭ এর আউটরিচ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা চারদিনের সরকারি সফরে জাপান পৌঁছেন।
আজ থেকে শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী জি-৭ সম্মেলনের অংশ হিসেবে আউটরিচ বৈঠকটি
মধ্য জাপানের মনোরম দ্বীপ ইশেশিমায় আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি
ফ্লাইট ৭টা ৫ মিনিটে (জাপানের স্থানীয় সময়) নাগোয়ার চুবু সেন্ট্রেইর
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক
পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার মিকি ইয়ামাদা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে
ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সেখানে জাপানের সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব
অনার প্রদান করে। বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সুসজ্জিত মটর শোভাযাত্রা
সহযোগে হোটেল হিল্টন নাগোয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী
সেখানেই অবস্থান করবেন।
এরআগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর
সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাপানের নাগোয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, জন
প্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আসম ফিরোজ,
প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া অ্যাডভাইজার ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পররাষ্ট্র
প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়
বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
এছাড়াও বিমানবন্দরে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধানগণ, ডিপ্লোমেটিক
কোরের ডিনসহ উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট
বোন শেখ রেহানা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে
রয়েছেন।
শুক্রবার দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিমা কানকো হোটেলে জি-৭ সম্মেলনের
আউট রিচ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং সেখানে বক্তব্য প্রদান করবেন। এছাড়া, জি-৭
আউটরিচ লিডারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্কিং লাঞ্চে অংশ নেবেন এবং
সেখানেও বক্তৃতা করবেন। প্রধানমন্ত্রী একইদিনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড
ক্যামেরনের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হবেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মিরথিপালা শ্রিসেনার সঙ্গে
বৈঠক করবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র সঙ্গেও এদিন তাঁর বৈঠকের
কথা রয়েছে। পরে প্রধানমন্ত্রী জাপানের রাজধানী টোকিও’র উদ্দেশ্যে ট্রেনে
নাগোয়া ত্যাগ করবেন। সন্ধ্যায় তিনি টোকিওতে নবনির্মিত বাংলাদেশ চ্যান্সেরি
কমপ্লেক্স উদ্বোধন করবেন।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রাতরাশ
বৈঠকে মিলিত হবেন। সেখানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সংস্থা
এফবিসিসিআই এবং জাপানের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সংস্থা ’জেটরো’র মধ্যে একটি
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জাপান
প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের হেনাদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বিমানের একটি ফ্লাইটে টোকিও ত্যাগ করবেন।
রাত ১১টা ৪৫ (ঢাকার স্থানীয় সময়) মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটির
ঢাকায় অবতরণের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ছাড়াও লাও পিডিআর (লাওস),ভিয়েতনাম,ইন্দোনেশিয়া,পাপুয়া
নিউগিনি,শ্রীলংকা এবং চাঁদকে জি-৭’র আউটরিচ বৈঠকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ
জানানো হয়েছে।
এই আইটরিচ বৈঠক জি-৭ সম্মেলনের অংশ হিসেবে ২৬ এবং ২৭ মে অনুষ্ঠিত হবে।
শিল্পোন্নত জি-৭ গ্রুপের সদস্যরা
হচ্ছে-কানাডা,ফ্রান্স,জার্মানী,ইটালী,জাপান,যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়াও বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও প্রতিনিধিত্ব করে।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly
prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
|