|
টোকিওতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাগরিক সম্বর্ধনা
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। মে ৩০, ২০১৪ ।।
গত বুধবার টোকিওর হোটেল ওকুরাকে জাপানে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে
এক নাগরিক সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। সন্ধ্যে ৭টায় অনুষ্ঠিত এ সম্বর্ধনা
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাসুদুর রহমান। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিশেষ অতিথি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার
আলম, প্রস্তাবিত দু'টি কমিটির সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ, সামসুল আলম ভুট্ট,
সাবেক সভাপতি কাজী মাহফুজুল হক লাল, তাজউদ্দিন মোঃ রবি ও সাকুরা সাবের।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে উপস্থাপনা করেন মাজহারুল ইসলাম মাসুম ও খন্দকার আসলাম
হীরা।
প্রধামন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে কাওসার
হাসান লাইজু, ড. গোলাম কবির ও ওয়াহিদ মোল্লা। যুবলীগ
জাপানের পক্ষ থেকে বিএম শাহজাহান, মোঃ নাহিদ, হাজী আখতার হোসেন, মীর হোসেন
মিলন। বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে শেখ ইমদাদ, শহীদ উদ্দিন, টুবলু বড়ুয়া,
ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে নাবী উল্লাহ আসিফ, বাদল চাকলাদার, জিয়াউল ইসলাম
ও শহিদুর রহমান খান হিরু।
বিশেষ বক্তব্য রাখেন জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। তিনি
এই আয়োজনের জন্যে প্রবাসীদেরকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রবাসীদের পক্ষ থেকে
জাপানে বাংলাদেশ বিমানের সার্ভিস পুনরায় চালু করার জন্যে প্রধানমন্ত্রীকে
অনুরোধ করেন। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, সালেহ মোঃ আরিফ, সামসুল
আলম
ভুট্ট, তাজউদ্দিন মোঃ রবি। মঞ্চে উপবিষ্ট থাকলেও কাজী মাহফুজুল হক লাল এবং
সাকুরা সাবের কোনো বক্তব্য রাখেননি।
বিশেষ অতিথি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জাপানের সর্ববৃহৎ এই ঋণ
সহযোগিতায় প্রমাণ করে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে যতই নেতিবাচক কথা বলা হোক
না কেন বহির্বিশ্ব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপরেই আস্থাশীল। জাপানে বাংলাদেশ
বিমানের ফ্লাইট পুনরায় চালু করা যায় কিনা তা বিবেচনা করবেন বলে তিনি আশ্বাস
দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে বলেন, জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসী
গোষ্ঠির অনেকেই রাতারাতি ভোল পাল্টে ছাত্রলীগে যোগ দিয়ে নানান অপকর্ম করে
বেড়াচ্ছে। আমাদের একটি দুর্বলতা হলো আমাদের অনেকেই দলকে শক্তিশালী করার
বদলে নিজেদের গ্রুপটাকে শক্তিশালী করতে এদেরকে কাছে টেনে নিচ্ছে। আর এরাই
দলে এসে যত রকম খুন-খারাবি অপকর্ম করে যাচ্ছে। আমার কথা হলো সন্ত্রাসী যারা
করবে কোন দল করে কি করে না করে আমি সেটা শুনতে চাই না। তিনি বলেন, বিএনপির
রাজনৈতিক ব্যর্থতার দায়ে বাংলাদেশের জনগন নেবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন,
কারা আপনাদেরকে আশার বাণী শুনিয়েছিলো আমি তা জানিনা, আপনি তাদের দিকে
তাকিয়ে থাকলেন আর বাংলাদেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারলেন! রাজনীতিতে রাজনৈতিক
সিদ্ধান্তটিই হলো গুরুত্বপূর্ণ। সিদ্ধান্ত নিতে কেউ যদি ব্যর্থ হয় সে
দায়িত্ব তাদেরই। সে দায়িত্ব সেই নেতৃত্বেরই।
প্রবাসীদের দেয়া সম্বর্ধনায় অংশ নেয়ার পর রাতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
|